সেনাদের হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে

মায়ানমারে ধর্মঘট

মায়ানমারে সামরিক জান্তাদের অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ডাকা ধর্মঘটে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারফিউ, রাস্তা অবরোধ, গণগ্রেপ্তার ও হুমকি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ এই ধর্মঘট পালন করে। সেনাশাসনের অবসান, নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ শত শত নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় মায়ানমারে বিক্ষোভ চলছে। এরই অংশ হিসেবে সেনাশাসক উৎখাতে ধর্মঘটের ডাক দেয় দেশটির আন্দোলনকারীরা। রয়টার্স

মায়ানমারে সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্য সকল কার্যক্রম।

দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের হ্লেডান মোড়ে সান সান মো নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘বিক্ষোভে সবাই যোগ দিচ্ছে। আমাদের রাজপথে নামতে হবে।’

২২ বছর বয়সী তেত তেত হ্লাইং জানান, বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করেছেন। তিনি ভীত, তবে তাকে মোটেই বিক্ষোভে অংশ নেয়া থেকে রোখা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক জান্তা সরকার চাই না, গণতন্ত্র চাই। নিজেদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই রচনা করতে চাই। আমার মা আমাকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আটকাননি। তিনি আমাকে আমার খেয়াল রাখতে বলেছেন।’ ধর্মঘটের বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি। এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জনগণ বিশেষ করে আবেগপ্রবণ কিশোর ও তরুণদের উসকানি দিচ্ছে। তারা কিশোর-তরুণদের সংঘাতের মুখে ঠেলছে। এতে তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

মিয়ানমারের রাজনীতিতে তারিখের সংখ্যাকে শুভ ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। ধর্মঘটের ২২.২.২০২১ তারিখকে ৮.৮.১৯৮৮ তারিখের সঙ্গে তুলনা করছে দেশটির আন্দোলনকারীরা।

মায়ানমারের আগের প্রজন্ম ৮৮৮৮ গণ-অভ্যুত্থানে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ে। সে সময় হাজারখানেক মানুষের মৃত্যু হয়।

গত শনিবার দেশটির মান্দালয় শহরে বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে দুই জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ছিল।

মান্দালয়ে দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দমেনি মায়ানমারের জনগণ। পরের দিন মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেয়।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১০ ফাল্গুন ১৪২৭ ১০ রজব ১৪৪২

সেনাদের হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে

মায়ানমারে ধর্মঘট

image

মান্দালয় শহরে বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজারো মানুষ -এএফপি

মায়ানমারে সামরিক জান্তাদের অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ডাকা ধর্মঘটে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারফিউ, রাস্তা অবরোধ, গণগ্রেপ্তার ও হুমকি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ এই ধর্মঘট পালন করে। সেনাশাসনের অবসান, নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ শত শত নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় মায়ানমারে বিক্ষোভ চলছে। এরই অংশ হিসেবে সেনাশাসক উৎখাতে ধর্মঘটের ডাক দেয় দেশটির আন্দোলনকারীরা। রয়টার্স

মায়ানমারে সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্য সকল কার্যক্রম।

দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের হ্লেডান মোড়ে সান সান মো নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘বিক্ষোভে সবাই যোগ দিচ্ছে। আমাদের রাজপথে নামতে হবে।’

২২ বছর বয়সী তেত তেত হ্লাইং জানান, বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আগে তিনি প্রার্থনা করেছেন। তিনি ভীত, তবে তাকে মোটেই বিক্ষোভে অংশ নেয়া থেকে রোখা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক জান্তা সরকার চাই না, গণতন্ত্র চাই। নিজেদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই রচনা করতে চাই। আমার মা আমাকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আটকাননি। তিনি আমাকে আমার খেয়াল রাখতে বলেছেন।’ ধর্মঘটের বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি। এতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জনগণ বিশেষ করে আবেগপ্রবণ কিশোর ও তরুণদের উসকানি দিচ্ছে। তারা কিশোর-তরুণদের সংঘাতের মুখে ঠেলছে। এতে তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

মিয়ানমারের রাজনীতিতে তারিখের সংখ্যাকে শুভ ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। ধর্মঘটের ২২.২.২০২১ তারিখকে ৮.৮.১৯৮৮ তারিখের সঙ্গে তুলনা করছে দেশটির আন্দোলনকারীরা।

মায়ানমারের আগের প্রজন্ম ৮৮৮৮ গণ-অভ্যুত্থানে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ে। সে সময় হাজারখানেক মানুষের মৃত্যু হয়।

গত শনিবার দেশটির মান্দালয় শহরে বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে দুই জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ছিল।

মান্দালয়ে দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দমেনি মায়ানমারের জনগণ। পরের দিন মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেয়।