এফডিআই আনতে সিঙ্গাপুর কনভেনশনে ‘সই করা জরুরি’

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজের (সাউথ) যৌথ উদ্যোগে গতকাল অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশনে স্বাক্ষর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেখানে এক বক্তা বলেন, অধিকতর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আনতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি।

ওয়েবিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ কেন সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করবে?’ ওয়েবিনারটির লক্ষ্য ছিল সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার কীভাবে দেশে অধিকতর এফডিআই আকৃষ্ট করতে পারে, যেহেতু বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অধিকতর সমঝোতামূলক পদ্ধতি, তথা মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতা পছন্দ করে থাকেন। চলমান কভিড-১৯ সংকট জরুরিভিত্তিতে সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন আমাদের সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে। অধিকন্তু, এ কনভেনশন আন্তঃসীমানা বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচকরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী মুখ্য আলোচক হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকার কর্তৃক সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি। তিনি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনায় শামিল হতে বাংলাদেশকে মধ্যস্থতা পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।

বিয়াক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রায়ই সালিসি পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়ে থাকে, যেহেতু নিউইয়র্ক কনভেনশন ১৯৫৮ অনুযায়ী তা দ্রুত বাস্তবায়নের বিধান রয়েছে। সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করলে বাংলাদেশ মধ্যস্থতা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃত উপায়ে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি সহজতর করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় স্থির করা, আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন করা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশনের উপকারিতা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বিয়াকের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আন্তঃসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন অধিকতর নিশ্চয়তা প্রদান করে। তার মতে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো সংক্রান্ত আন্তঃসীমানা প্রকল্প বাস্তবায়নে এ কনভেনশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় বিবেচনায় সরকারের উচিত সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করা। বিয়াকের মধ্যস্থতার বিধি থাকলেও দেশের জন্য মধ্যস্থতার আইন প্রণয়ন জরুরি।

লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজের অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ চৌধুরী এলসিএলএস (সাউথ) ও বিয়াক কর্তৃক বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির ওপর আরও প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ওয়েবিনারে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা, এডিআর বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, আইনজ্ঞ, সরকারি ও করপোরেট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এলসিএলএসের (সাউথ) হেড অব লজ ব্যারিস্টার ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী এফসিআইএআরবি ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অধিকতর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আনয়নের জন্য সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুর কনভেনশন বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক দ্রুত স্বাক্ষরের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাল্টিল্যাটারাল ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের মহাপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সন্ধিক্ষণে ও ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করার সরকারের ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মপরিচালনার পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন সই করা অত্যন্ত জরুরি। দেশের আদালতে লাখ লাখ মামলা বিচারাধীন থাকায় মধ্যস্থতার মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার পক্ষে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

লন্ডনভিত্তিক এডিআরমঙ্গলবার ওডিআর ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ব্যারিস্টার রহিম শামজী বলেন, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও এডিআরের ক্ষেত্রে অসাধারণ কর্মক্ষমতা সৃষ্টি করতে পেরেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাজ্ঞ ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত মধ্যস্থতাকারী সৃষ্টিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ প্রতিভা ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি আকর্ষণ করা, সেজন্য সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আসান, ঢাকার প্রধান পরামর্শক শিরিন শেখ মঈনুদ্দিন সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশনের একটি রূপরেখা প্রদান করেন। তিনি বলেন, এ কনভেনশন স্বাক্ষর করলে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে মধ্যস্থতা প্রয়োগে সাফল্য অর্জন করবে।

প্যানেল আলোচক, সিঙ্গাপুর চাংগারোথ চেম্বার্স এলএলসির মেডিয়েটর ও আরবিট্রেটর অনিল চাংগারোথ বলেন, সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী মহলের অধিকতর আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। তার মতে, এতে মধ্যস্থতা পদ্ধতি অন্য সব এডিআর পদ্ধতির চেয়ে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যক্তি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তঃদেশীয় প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বদানে সহায়তা করবে।

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১১ ফাল্গুন ১৪২৭ ১১ রজব ১৪৪২

এফডিআই আনতে সিঙ্গাপুর কনভেনশনে ‘সই করা জরুরি’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজের (সাউথ) যৌথ উদ্যোগে গতকাল অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশনে স্বাক্ষর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেখানে এক বক্তা বলেন, অধিকতর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আনতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি।

ওয়েবিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ কেন সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করবে?’ ওয়েবিনারটির লক্ষ্য ছিল সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার কীভাবে দেশে অধিকতর এফডিআই আকৃষ্ট করতে পারে, যেহেতু বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অধিকতর সমঝোতামূলক পদ্ধতি, তথা মেডিয়েশন বা মধ্যস্থতা পছন্দ করে থাকেন। চলমান কভিড-১৯ সংকট জরুরিভিত্তিতে সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন আমাদের সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে। অধিকন্তু, এ কনভেনশন আন্তঃসীমানা বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচকরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী মুখ্য আলোচক হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকার কর্তৃক সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি। তিনি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনায় শামিল হতে বাংলাদেশকে মধ্যস্থতা পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।

বিয়াক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রায়ই সালিসি পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়ে থাকে, যেহেতু নিউইয়র্ক কনভেনশন ১৯৫৮ অনুযায়ী তা দ্রুত বাস্তবায়নের বিধান রয়েছে। সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করলে বাংলাদেশ মধ্যস্থতা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃত উপায়ে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি সহজতর করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় স্থির করা, আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন করা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশনের উপকারিতা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বিয়াকের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আন্তঃসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন অধিকতর নিশ্চয়তা প্রদান করে। তার মতে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো সংক্রান্ত আন্তঃসীমানা প্রকল্প বাস্তবায়নে এ কনভেনশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সময় ও অর্থ সাশ্রয় বিবেচনায় সরকারের উচিত সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশন স্বাক্ষর করা। বিয়াকের মধ্যস্থতার বিধি থাকলেও দেশের জন্য মধ্যস্থতার আইন প্রণয়ন জরুরি।

লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজের অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ চৌধুরী এলসিএলএস (সাউথ) ও বিয়াক কর্তৃক বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির ওপর আরও প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ওয়েবিনারে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা, এডিআর বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, আইনজ্ঞ, সরকারি ও করপোরেট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এলসিএলএসের (সাউথ) হেড অব লজ ব্যারিস্টার ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী এফসিআইএআরবি ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অধিকতর সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আনয়নের জন্য সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুর কনভেনশন বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক দ্রুত স্বাক্ষরের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাল্টিল্যাটারাল ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের মহাপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সন্ধিক্ষণে ও ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করার সরকারের ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মপরিচালনার পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুর কনভেনশন সই করা অত্যন্ত জরুরি। দেশের আদালতে লাখ লাখ মামলা বিচারাধীন থাকায় মধ্যস্থতার মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার পক্ষে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

লন্ডনভিত্তিক এডিআরমঙ্গলবার ওডিআর ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ব্যারিস্টার রহিম শামজী বলেন, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও এডিআরের ক্ষেত্রে অসাধারণ কর্মক্ষমতা সৃষ্টি করতে পেরেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাজ্ঞ ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত মধ্যস্থতাকারী সৃষ্টিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ প্রতিভা ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি আকর্ষণ করা, সেজন্য সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আসান, ঢাকার প্রধান পরামর্শক শিরিন শেখ মঈনুদ্দিন সিঙ্গাপুর মেডিয়েশন কনভেনশনের একটি রূপরেখা প্রদান করেন। তিনি বলেন, এ কনভেনশন স্বাক্ষর করলে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে মধ্যস্থতা প্রয়োগে সাফল্য অর্জন করবে।

প্যানেল আলোচক, সিঙ্গাপুর চাংগারোথ চেম্বার্স এলএলসির মেডিয়েটর ও আরবিট্রেটর অনিল চাংগারোথ বলেন, সিঙ্গাপুর কনভেনশন স্বাক্ষর করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী মহলের অধিকতর আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। তার মতে, এতে মধ্যস্থতা পদ্ধতি অন্য সব এডিআর পদ্ধতির চেয়ে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যক্তি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তঃদেশীয় প্রতিযোগিতায় নেতৃত্বদানে সহায়তা করবে।