টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৭ এপ্রিল থেকে শুরু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন : জ্বর, টিকা দেয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ জন, নারী ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২০ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৩০ জনের। যা মোট গ্রহীতার শতকরা শূন্য দশমিক ০২৫ শতাংশ। পাশাপাশি দেশে এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২৩৫ জন।

গতকাল রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৫ হাজার ৩১৮ জন এবং নারী ৬৭ হাজার ৫৭৮ জন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ২৩৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ হাজার ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭০৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ৬৫১ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ৭৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ২২ হাজার ৮১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৪৪৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৮৬ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়া ভ্যাকসিনবিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম। আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে আজ কর্মসূচি শুরু হবে।

এদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ৭ এপ্রিল থেকে করোনা প্রতিরোধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে যাচ্ছি। কারণ, তখন আট সপ্তাহ হবে। এর মূল কারণ হলো আট সপ্তাহে টিকার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়। এটি গাইডলাইন।

গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ মাসে ৫০ লাখ টিকা পাঠানোর কথা থাকলেও ওরা পাঠিয়েছে ২০ লাখ। এর ফলে ৩০ লাখ টিকার ঘাটতি আগামী মাসে পূরণ করে দেবে বলে জানিয়েছে সেরাম।’

তিনি বলেন, ‘ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সেরামের ওপর টিকার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। এ মাসে যা দিয়েছে, আগামী মাসে তারা আরও বাড়িয়ে দেবে। কতটা বাড়িয়ে দেবে, সেটা তারা আমাদের কনফার্ম করলে আমরা আপনাদের তা জানিয়ে দেব।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে ৪০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় চার কোটি। তাদের সবাইকে টিকা দিতে গেলে প্রয়োজন হবে আট কোটি ডোজ। আমাদের তিন কোটি ডোজের চুক্তি করা আছে ভারতের সেরামের সঙ্গে। ২০ লাখ অতিরিক্ত পেয়েছি। ভারত সরকার তা আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে।’

ভারতের বায়োটেক এবং চীনের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে টিকা তাপমাত্রার কারণে সংরক্ষণ করা কঠিন, সেগুলোর বিষয়ে সরকারের আগ্রহ কম। যেগুলো মাইনাস টোয়েন্টি, মাইনাস সেভেন্টি সেগুলো আমাদের দেশে বর্তমানে রাখা এবং দেয়াটা একটু কষ্টকর। সে কারণে আমাদের ওসব টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে- যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৩৬ লাখের ওপর। প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেয়ার যে রেট আছে, সেটা আড়াই লাখের কাছাকাছি। তবে কখনও বেশি কখনও কম হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন এর চেয়ে বেশি হয়।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘যে হারে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে এবং যে হারে ভ্যাকসিন গ্রহণ করছে, সেই হারে যাতে ভ্যাকসিন পাই, সে চেষ্টা আমাদের রয়েছে।’ টিকা গ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটু পিছিয়ে আছে। আমরা আহ্বান করব- নারীরা যাতে আরও বেশি করে এগিয়ে আসেন। যাতে নারী-পুরুষ সমান সমান হয়।’ নারীদের টিকাগ্রহণ কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেভাবে গবেষণা করি নাই। কিন্তু আমরা মনে করি, নারীরা যেহেতু বের হন কম এবং তারা কর্মক্ষেত্রেও কম, সেসব একটি কারণ হতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হলে টিকা দেয়া হবে না। অন্যদের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে টিকা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১১ ফাল্গুন ১৪২৭ ১১ রজব ১৪৪২

টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৭ এপ্রিল থেকে শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ২১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন : জ্বর, টিকা দেয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ জন, নারী ৮ লাখ ৫৭ হাজার ২০ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৩০ জনের। যা মোট গ্রহীতার শতকরা শূন্য দশমিক ০২৫ শতাংশ। পাশাপাশি দেশে এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২৩৫ জন।

গতকাল রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৫ হাজার ৩১৮ জন এবং নারী ৬৭ হাজার ৫৭৮ জন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ২৩৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ হাজার ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭০৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ৬৫১ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ৭৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ২২ হাজার ৮১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৪৪৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৮৬ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়া ভ্যাকসিনবিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম। আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে আজ কর্মসূচি শুরু হবে।

এদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ৭ এপ্রিল থেকে করোনা প্রতিরোধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে যাচ্ছি। কারণ, তখন আট সপ্তাহ হবে। এর মূল কারণ হলো আট সপ্তাহে টিকার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়। এটি গাইডলাইন।

গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ মাসে ৫০ লাখ টিকা পাঠানোর কথা থাকলেও ওরা পাঠিয়েছে ২০ লাখ। এর ফলে ৩০ লাখ টিকার ঘাটতি আগামী মাসে পূরণ করে দেবে বলে জানিয়েছে সেরাম।’

তিনি বলেন, ‘ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সেরামের ওপর টিকার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। এ মাসে যা দিয়েছে, আগামী মাসে তারা আরও বাড়িয়ে দেবে। কতটা বাড়িয়ে দেবে, সেটা তারা আমাদের কনফার্ম করলে আমরা আপনাদের তা জানিয়ে দেব।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে ৪০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় চার কোটি। তাদের সবাইকে টিকা দিতে গেলে প্রয়োজন হবে আট কোটি ডোজ। আমাদের তিন কোটি ডোজের চুক্তি করা আছে ভারতের সেরামের সঙ্গে। ২০ লাখ অতিরিক্ত পেয়েছি। ভারত সরকার তা আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে।’

ভারতের বায়োটেক এবং চীনের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে টিকা তাপমাত্রার কারণে সংরক্ষণ করা কঠিন, সেগুলোর বিষয়ে সরকারের আগ্রহ কম। যেগুলো মাইনাস টোয়েন্টি, মাইনাস সেভেন্টি সেগুলো আমাদের দেশে বর্তমানে রাখা এবং দেয়াটা একটু কষ্টকর। সে কারণে আমাদের ওসব টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে- যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৩৬ লাখের ওপর। প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেয়ার যে রেট আছে, সেটা আড়াই লাখের কাছাকাছি। তবে কখনও বেশি কখনও কম হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন এর চেয়ে বেশি হয়।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘যে হারে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে এবং যে হারে ভ্যাকসিন গ্রহণ করছে, সেই হারে যাতে ভ্যাকসিন পাই, সে চেষ্টা আমাদের রয়েছে।’ টিকা গ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটু পিছিয়ে আছে। আমরা আহ্বান করব- নারীরা যাতে আরও বেশি করে এগিয়ে আসেন। যাতে নারী-পুরুষ সমান সমান হয়।’ নারীদের টিকাগ্রহণ কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেভাবে গবেষণা করি নাই। কিন্তু আমরা মনে করি, নারীরা যেহেতু বের হন কম এবং তারা কর্মক্ষেত্রেও কম, সেসব একটি কারণ হতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হলে টিকা দেয়া হবে না। অন্যদের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে টিকা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।