বাংলার প্রসারে গণমাধ্যম

বর্তমানে আমাদের টেলিভিশন খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির আধিপত্য, ফলে অনেক সময় দেখা যায় বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের পরিবারের ছোটরা অনর্গল বিদেশি ভাষা বলতে পারলেও সঠিকভাবে বাংলা বলতে পারে না। বাংলা বলা ও লিখা যেন এখন খানিকটা অশিক্ষা ও মূর্খতার লক্ষণ। এফএম রেডিও চ্যানেলগুলোতে এখন বিভিন্ন বিদেশি ভাষার গান বাজানো হলেও শুদ্ধ বাংলা কবিতা, ছড়া কিংবা গল্প পাঠের আসর আর তেমন সম্প্রচার করে না। এফএম রেডিও কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কিছু কিছু অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বা উপস্থাপিকাগণ তাদের উপস্থাপনায় অতি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে গিয়ে মাঝেমধ্যে বাংলা শব্দ এমন বিদঘুটেভাবে উচ্চারণ করেন যে শব্দ অভিধান ঘেঁটে তছনছ করে ফেললেও তার অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। অনুষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ কথোপকথনই থাকে খটমটে বিদেশি শব্দে ঠাসা।

আমাদের টেলিভিশন ও এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো কিন্তু মাতৃভাষার প্রচার প্রসারের ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-১ চ্যানেলগুলো প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও হারিয়ে যাওয়া বাংলা গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি পাঠের আসর সম্প্রচার করতে পারেন।

২) শুদ্ধ বাংলা ভাষা শেখা, বলা ও উচ্চারণের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।

৩) বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ ‘পুঁথিপাঠ’ সম্প্রচার করতে পারেন।

৪) বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-র মতো বাংলা বিতর্কের আয়োজন করতে পারেন।

৫) এছাড়া আরেকটি মজার কাজ করতে পারেন, সেটি হলো চ্যানেলগুলো তাদের প্রতিটা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পূর্বে একটি নতুন বাংলা শব্দ ও তার অর্থ সম্প্রচার করতে পারেন। এর ফলে নতুন প্রজন্ম নতুন নতুন বাংলা শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং শিখতে পারবেন।

শেখ রফিকউজ্জামান

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১১ ফাল্গুন ১৪২৭ ১১ রজব ১৪৪২

বাংলার প্রসারে গণমাধ্যম

বর্তমানে আমাদের টেলিভিশন খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির আধিপত্য, ফলে অনেক সময় দেখা যায় বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের পরিবারের ছোটরা অনর্গল বিদেশি ভাষা বলতে পারলেও সঠিকভাবে বাংলা বলতে পারে না। বাংলা বলা ও লিখা যেন এখন খানিকটা অশিক্ষা ও মূর্খতার লক্ষণ। এফএম রেডিও চ্যানেলগুলোতে এখন বিভিন্ন বিদেশি ভাষার গান বাজানো হলেও শুদ্ধ বাংলা কবিতা, ছড়া কিংবা গল্প পাঠের আসর আর তেমন সম্প্রচার করে না। এফএম রেডিও কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কিছু কিছু অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বা উপস্থাপিকাগণ তাদের উপস্থাপনায় অতি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে গিয়ে মাঝেমধ্যে বাংলা শব্দ এমন বিদঘুটেভাবে উচ্চারণ করেন যে শব্দ অভিধান ঘেঁটে তছনছ করে ফেললেও তার অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। অনুষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ কথোপকথনই থাকে খটমটে বিদেশি শব্দে ঠাসা।

আমাদের টেলিভিশন ও এফএম রেডিও চ্যানেলগুলো কিন্তু মাতৃভাষার প্রচার প্রসারের ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-১ চ্যানেলগুলো প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও হারিয়ে যাওয়া বাংলা গল্প, কবিতা, ছড়া ইত্যাদি পাঠের আসর সম্প্রচার করতে পারেন।

২) শুদ্ধ বাংলা ভাষা শেখা, বলা ও উচ্চারণের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।

৩) বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ ‘পুঁথিপাঠ’ সম্প্রচার করতে পারেন।

৪) বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-র মতো বাংলা বিতর্কের আয়োজন করতে পারেন।

৫) এছাড়া আরেকটি মজার কাজ করতে পারেন, সেটি হলো চ্যানেলগুলো তাদের প্রতিটা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পূর্বে একটি নতুন বাংলা শব্দ ও তার অর্থ সম্প্রচার করতে পারেন। এর ফলে নতুন প্রজন্ম নতুন নতুন বাংলা শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং শিখতে পারবেন।

শেখ রফিকউজ্জামান