টিকা নিতে দীর্ঘ লাইন পিছিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ

করোনা প্রতিরোধে টিকা গ্রহণে দিন দিন মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। গতকাল সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ের আন্ডার গ্রাউন্ডে স্থাপিত টিকা কেন্দ্রে দেখা গেছে- নিবন্ধিতরা টিকা নেয়ার জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ও বসে অপেক্ষায়। তবে এ কেন্দ্রে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষ তথা রিকশা বা ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষদের তেমন দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, গবেষণা ছাড়া বলা সম্ভব না কেন নিম্ন আয়ের মানুষজনদের মাঝে টিকা নেয়ার আগ্রহ কম। তবে সিটি করপোরেশন, এনজিও, সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিবন্ধন করিয়ে, যানবাহনের ব্যবস্থা করে, বুথ বানিয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর মাঝে হয়তো অনেকটা টিকা নিতে আগ্রহ বাড়বে।

টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, গণহারে টিকা দেয়ার শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৬ দিনে ১২৫৯১ জন নিবন্ধিত মানুষ টিকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আরেক মেডিকেল অফিসার ডা. তাসমিনা জানান, মানুষের মাঝে টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে। ভয়টা কেটে গেছে। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে যারা নিবন্ধনের জন্য এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চালাতে পারেন না যেমন, বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ মানুষ, নি¤œ আয়ের মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানওয়ালা, রিকশাওয়ালা, শ্রমিক এদের বিশেষভাবে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। অর্থাৎ এরা ঢামেক টিকা কেন্দ্রে আসলে স্পট নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ২/৩ জন নিম্ন আয়ের মানুষকে আমরা স্পট নিবন্ধন করে করোনা টিকা দিয়েছি। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে এসএমএস ছাড়া অ্যালাও করছি না।

এদিকে গতকাল দেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন- জ্বর, টিকা দেয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৬৯ জনের। মোট টিকা নেয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৩২ জন এবং নারী ৯ লাখ ২৬ হাজার ৯০৬ জন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৯৯ জন ও নারী ৬৯ হাজার ৮৮৬ জন।

বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬০ হাজার ৭৪০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ৮৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ১৭৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৬১২ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ হাজার ৮৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৩৯৪ জন ও সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ২৮৮ জন রয়েছেন।

এছাড়া গতকাল ঢাকা মহানগরীতে টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ৮৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৯৩ জন ও নারী ৯ হাজার ৮৩৪ জন টিকা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন। এর আগে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।এছাড়া ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম।

টিকা গ্রহণকারী কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া

ঢামেক টিকা কেন্দ্রে টিকা নেয়ার পর কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গেÑ এদের মধ্যে কবি শিহাব সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঢামেকের মতো বড় একটি পাবলিক হাসপাতালে এত স্বাচ্ছন্দ্যে টিকা নিতে পারবো আমি আশা করিনি। খুব আরামে ভ্যাকসিনটি নিয়েছি। যারা এখনও টিকা নেননি আমি তাদের প্রতি আবেদন জানাই টিকাটি নেয়ার জন্য।

কবি সাংবাদিক ওবায়েদ আকাশ জানান, খুবই ভালো লেগেছে। ঢামেকের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট। বিশৃংঙ্খলা থাকতে পারে কিন্তু পরিবেশ ভালো। নেতিবাচক প্রচারণা মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। কবি সাংবাদিক হান্যালা হান জানান, টিকা নেয়ার সময় ভয় লাগেনি। বিশেষ ভয়ের কিছু নেই।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির আহমদ জানান, আমি ও আমার স্ত্রী একসঙ্গে ঢামেক টিকা কেন্দ্রে করোনা টিকা নিয়েছি। পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা দুর্যোগের মধ্যেও দেশের মানুষের জন্য টিকা এনেছেন। এক্ষেত্রে তিনি আবারও দেশ ও জনদরদী প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন।

করোনা টিকা নিতে অভয় দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ টাবলু বলেন, আমি টিকা নিয়েছি। আমার গা ব্যথা, মাথা ব্যথা বা জ্বর হয়নি আল্লাহর রহমতে। টিকা নেয়ার পর কারো জ্বর, গা ব্যথা, মাথাব্যথা হতে পারে। এটা স্বাভাবিক। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সময়মতো ভালো হয়ে যাবে। যারা টিকা নিবে সবাই নিবন্ধিত হয়ে টিকা নিবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১২ ফাল্গুন ১৪২৭ ১২ রজব ১৪৪২

টিকা নিতে দীর্ঘ লাইন পিছিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

করোনা প্রতিরোধে টিকা গ্রহণে দিন দিন মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। গতকাল সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়ের আন্ডার গ্রাউন্ডে স্থাপিত টিকা কেন্দ্রে দেখা গেছে- নিবন্ধিতরা টিকা নেয়ার জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ও বসে অপেক্ষায়। তবে এ কেন্দ্রে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষ তথা রিকশা বা ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষদের তেমন দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, গবেষণা ছাড়া বলা সম্ভব না কেন নিম্ন আয়ের মানুষজনদের মাঝে টিকা নেয়ার আগ্রহ কম। তবে সিটি করপোরেশন, এনজিও, সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিবন্ধন করিয়ে, যানবাহনের ব্যবস্থা করে, বুথ বানিয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর মাঝে হয়তো অনেকটা টিকা নিতে আগ্রহ বাড়বে।

টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, গণহারে টিকা দেয়ার শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৬ দিনে ১২৫৯১ জন নিবন্ধিত মানুষ টিকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আরেক মেডিকেল অফিসার ডা. তাসমিনা জানান, মানুষের মাঝে টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে। ভয়টা কেটে গেছে। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে যারা নিবন্ধনের জন্য এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চালাতে পারেন না যেমন, বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ মানুষ, নি¤œ আয়ের মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানওয়ালা, রিকশাওয়ালা, শ্রমিক এদের বিশেষভাবে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। অর্থাৎ এরা ঢামেক টিকা কেন্দ্রে আসলে স্পট নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ২/৩ জন নিম্ন আয়ের মানুষকে আমরা স্পট নিবন্ধন করে করোনা টিকা দিয়েছি। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে এসএমএস ছাড়া অ্যালাও করছি না।

এদিকে গতকাল দেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন- জ্বর, টিকা দেয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮ জন। তাদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৬৬৯ জনের। মোট টিকা নেয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৩২ জন এবং নারী ৯ লাখ ২৬ হাজার ৯০৬ জন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৫ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৯৯ জন ও নারী ৬৯ হাজার ৮৮৬ জন।

বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬০ হাজার ৭৪০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ৮৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ১৭৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৬১২ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ হাজার ৮৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৩৯৪ জন ও সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ২৮৮ জন রয়েছেন।

এছাড়া গতকাল ঢাকা মহানগরীতে টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ৮৫৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৯৩ জন ও নারী ৯ হাজার ৮৩৪ জন টিকা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন। এর আগে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।এছাড়া ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম।

টিকা গ্রহণকারী কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া

ঢামেক টিকা কেন্দ্রে টিকা নেয়ার পর কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গেÑ এদের মধ্যে কবি শিহাব সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঢামেকের মতো বড় একটি পাবলিক হাসপাতালে এত স্বাচ্ছন্দ্যে টিকা নিতে পারবো আমি আশা করিনি। খুব আরামে ভ্যাকসিনটি নিয়েছি। যারা এখনও টিকা নেননি আমি তাদের প্রতি আবেদন জানাই টিকাটি নেয়ার জন্য।

কবি সাংবাদিক ওবায়েদ আকাশ জানান, খুবই ভালো লেগেছে। ঢামেকের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট। বিশৃংঙ্খলা থাকতে পারে কিন্তু পরিবেশ ভালো। নেতিবাচক প্রচারণা মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। কবি সাংবাদিক হান্যালা হান জানান, টিকা নেয়ার সময় ভয় লাগেনি। বিশেষ ভয়ের কিছু নেই।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির আহমদ জানান, আমি ও আমার স্ত্রী একসঙ্গে ঢামেক টিকা কেন্দ্রে করোনা টিকা নিয়েছি। পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা দুর্যোগের মধ্যেও দেশের মানুষের জন্য টিকা এনেছেন। এক্ষেত্রে তিনি আবারও দেশ ও জনদরদী প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন।

করোনা টিকা নিতে অভয় দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ টাবলু বলেন, আমি টিকা নিয়েছি। আমার গা ব্যথা, মাথা ব্যথা বা জ্বর হয়নি আল্লাহর রহমতে। টিকা নেয়ার পর কারো জ্বর, গা ব্যথা, মাথাব্যথা হতে পারে। এটা স্বাভাবিক। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সময়মতো ভালো হয়ে যাবে। যারা টিকা নিবে সবাই নিবন্ধিত হয়ে টিকা নিবে।