দেশে করোনায় মৃত্যুহার কমেছে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৩৭৯ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪২৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৭টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৮ হাজার ২৯১টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত পাঁচ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চারজন ও খুলনা বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৩৭৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৩৯ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৪০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৫৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ৪ হাজার ৬৯০ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫২৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬০ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩১৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯০ হাজার ৫৪৪ জন। এখন আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৭৬৯ জন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১২ ফাল্গুন ১৪২৭ ১২ রজব ১৪৪২

দেশে করোনায় মৃত্যুহার কমেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৩৭৯ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪২৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৭টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৬টি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৮ হাজার ২৯১টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত পাঁচ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চারজন ও খুলনা বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৩৭৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৩৯ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৪০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৫৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এরমধ্যে ৪ হাজার ৬৯০ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫২৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬০ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩১৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯০ হাজার ৫৪৪ জন। এখন আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৭৬৯ জন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।