মায়ানমারে রোহিঙ্গাসহ ১০৮৬ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মালয়েশিয়া সরকার রোহিঙ্গাসহ এক হাজার ৮৬ জনকে মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।

বেশ কয়েকটি বাস ও ট্রাকে করে প্রথমে মালয়েশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে নেয়া হয় মায়ানমারের ওই ব্যক্তিদের। পরে সেখান থেকে মায়ানমার নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের। রয়টার্স

এক সপ্তাহ আগেই কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বলছে, মায়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ছিল। সেনা অভ্যুত্থানের পর তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আরও বড় ঝুঁকিতে ফেলা হলো। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের কেউই আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন না। এদের মধ্যে রোহিঙ্গাও নেই। অভিবাসন নীতিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল জামি দাউদ এক বিবৃতিতে জানান, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চেয়েছে, কেবল তাদেরই ফেরত পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধিত কোন আশ্রয়প্রার্থীকে নিজ দেশে ফিরতে চাপ প্রয়োগ না করার আশ্বাস দিয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার। ইউএনএইচসিআরের বলছে, মায়ানমারে ফিরতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জনের শরণার্থী নিবন্ধন রয়েছে।

রাখাইন ছাড়াও সংঘাতপীড়িত শান ও কচিন প্রদেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়া অনেক মানুষও ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১২ ফাল্গুন ১৪২৭ ১২ রজব ১৪৪২

মায়ানমারে রোহিঙ্গাসহ ১০৮৬ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মালয়েশিয়া সরকার রোহিঙ্গাসহ এক হাজার ৮৬ জনকে মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।

বেশ কয়েকটি বাস ও ট্রাকে করে প্রথমে মালয়েশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে নেয়া হয় মায়ানমারের ওই ব্যক্তিদের। পরে সেখান থেকে মায়ানমার নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের। রয়টার্স

এক সপ্তাহ আগেই কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার বলছে, মায়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ছিল। সেনা অভ্যুত্থানের পর তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আরও বড় ঝুঁকিতে ফেলা হলো। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের কেউই আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন না। এদের মধ্যে রোহিঙ্গাও নেই। অভিবাসন নীতিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল জামি দাউদ এক বিবৃতিতে জানান, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চেয়েছে, কেবল তাদেরই ফেরত পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধিত কোন আশ্রয়প্রার্থীকে নিজ দেশে ফিরতে চাপ প্রয়োগ না করার আশ্বাস দিয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার। ইউএনএইচসিআরের বলছে, মায়ানমারে ফিরতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জনের শরণার্থী নিবন্ধন রয়েছে।

রাখাইন ছাড়াও সংঘাতপীড়িত শান ও কচিন প্রদেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়া অনেক মানুষও ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।