আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত, তারা যত বড় নেতাই হোক, পার পাবে না। আগামী কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ইম্পেরিয়াল হোটেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গুটি কয়েক লোক বদনাম করলে, দল তার বোঝা নিবে না। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে দলে যেকোন পর্যায়ে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য পকেট কমিটি বরদাস্ত করা হবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পর্যায়ক্রমে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তারাই দুঃসময়ে দলের সঙ্গে থাকবে, বসন্তের কোকিলদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পরিবার, যারা এই পরিবারের ঐক্যে ফাটল ধরাবে তাদেরকে কোনভাবেই ক্ষমা করা হবে না। দলের অভ্যন্তরে বিষয়ে কোন বক্তব্য বা দ্বিমত থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে হবে, তাতেও সমাধান না হলে লিখিতভাবে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।