চসিক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে শাহাদতের মামলা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে পুনর্নির্বাচন দাবি করে সিইসি, নির্বাচন কমিশন সচিব, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম আদালতের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু করেন বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও অ্যাড. আরশাদ হোসেন। কারচুপির অভিযোগে তিনি গত ৩১ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইসির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

গতকাল মামলায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। কিন্তু তাকে আরও সাড়ে তিন লাখ ভোট যোগ করে মেয়র বানানো হয়েছে। মামলায় বলা হয়, মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চসিক নির্বাচনের ভোটের হিসাব চেয়ে এখনও পাননি। কোন কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেয়া হয়নি। নির্বাচনে তাকে জোর করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

মামলা দায়ের শেষে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিক নির্বাচনে মোট ৪৮৮৫টি কেন্দ্রে ইভিএমএ ভোট গ্রহণ করা হলেও মাত্র ২০টি কেন্দ্রে মেশিনে প্রিন্টেড ফলাফল দিয়েছে। বাকি ৪৬৬৫টি কেন্দ্রের হাতে লেখা ফলাফল প্রকাশ করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে সবগুলো কেন্দ্রের প্রিন্টেড ফলাফলের লিখিত আবেদন জানালেও তারা তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ২২টি কেন্দ্রে আমাকে শূন্য ভোট এবং ১৭৮টি কেন্দ্রে ১০টির কম ভোট দেখিয়েছে যা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও ভোট জালিয়াতি জ্বলন্ত নমুনা। এসবের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়াও নির্বাচনের পর প্রথমে আমাদের যে ফলাফলের তালিকা দিয়েছিল তাতে আমার শূন্য ভোট ছিল মাত্র দুই কেন্দ্রে, কিন্তু ফাইনাল তালিকায় শূন্য ভোট দেখানো হয়েছে ২২টি কেন্দ্রে। এর কারণ কি? এর থেকে তো বুঝতে হবে তারা ভোট ডাকাতি করলেও সেটা সেটা সুক্ষভাবে করতে জানেনি।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১২ ফাল্গুন ১৪২৭ ১২ রজব ১৪৪২

চসিক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে শাহাদতের মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে পুনর্নির্বাচন দাবি করে সিইসি, নির্বাচন কমিশন সচিব, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম আদালতের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজু করেন বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও অ্যাড. আরশাদ হোসেন। কারচুপির অভিযোগে তিনি গত ৩১ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইসির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

গতকাল মামলায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। কিন্তু তাকে আরও সাড়ে তিন লাখ ভোট যোগ করে মেয়র বানানো হয়েছে। মামলায় বলা হয়, মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চসিক নির্বাচনের ভোটের হিসাব চেয়ে এখনও পাননি। কোন কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেয়া হয়নি। নির্বাচনে তাকে জোর করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

মামলা দায়ের শেষে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিক নির্বাচনে মোট ৪৮৮৫টি কেন্দ্রে ইভিএমএ ভোট গ্রহণ করা হলেও মাত্র ২০টি কেন্দ্রে মেশিনে প্রিন্টেড ফলাফল দিয়েছে। বাকি ৪৬৬৫টি কেন্দ্রের হাতে লেখা ফলাফল প্রকাশ করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে সবগুলো কেন্দ্রের প্রিন্টেড ফলাফলের লিখিত আবেদন জানালেও তারা তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ২২টি কেন্দ্রে আমাকে শূন্য ভোট এবং ১৭৮টি কেন্দ্রে ১০টির কম ভোট দেখিয়েছে যা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও ভোট জালিয়াতি জ্বলন্ত নমুনা। এসবের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়াও নির্বাচনের পর প্রথমে আমাদের যে ফলাফলের তালিকা দিয়েছিল তাতে আমার শূন্য ভোট ছিল মাত্র দুই কেন্দ্রে, কিন্তু ফাইনাল তালিকায় শূন্য ভোট দেখানো হয়েছে ২২টি কেন্দ্রে। এর কারণ কি? এর থেকে তো বুঝতে হবে তারা ভোট ডাকাতি করলেও সেটা সেটা সুক্ষভাবে করতে জানেনি।