ভোলায় বিধি লঙ্ঘন জরিমানা লক্ষাধিক

ভোলায় ২৮ ফেব্রুয়ারির পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে জমজমাট প্রচারণার পাশপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘন অপরাধে ২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক করার পাশপাশি জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ২শ টাকা। এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবী প্রতীকের ভোট চেয়ে প্রচারণায় নামায় ঢাকা থেকে আসা দুই সরকারি কর্মকর্তা কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। অপরদিকে ২নং ওয়ার্ডে অফিসার পাড়া এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে প্রার্থীর স্ত্রী ইসমত আরা লিপির নেতৃত্বাধীন মহিলা টিম প্রতিপক্ষ ব্লাকবোর্ড প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। এ সময় ৫ নারী আহত হন। ব্লাকবোর্ড প্রার্থী রাজিব হাসান লিপু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিকেলে বেশকিছু বহিরাগত মহিলা তার নির্বাচনী অফিসের ভেতর ঢুকে ভাড়ায় আসা টাকা পরিশোধ নিয়ে বাগ্বিত-ায় লিপ্ত হয়। ওই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা উচ্চ স্বরে কথা বলতে নিষেধ করায় ওই মহিলাদের সঙ্গে আসা কয়েক যুবক উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসলে বাক বিতন্ডা হয়। উট পাখির প্রচারনার জন্য ওই নারীদের বাপ্তা এলাকা থেকে ভাড়া আনা হয়ে ছিল। ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অবিনাশ নন্দী অভিযোগ করেন , ডালিম প্রতীকের প্রার্থী মনজুরুল আলমের ভাই জিয়াদ, ম্যানেজার বেনু, ইউছুফ, আবুল হোসেনসহ বহিরাগত বেশকিছু ক্যাডার বাহিনী সংখ্যালঘু পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধানের শীষ ও ডালিম প্রতীকে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। প্রমাণসহ তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। মনঞ্জুরুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। ৭নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর প্রার্থী শাহে আলম লিখিত অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ আসিব মাহামুদ মার্সেলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা করছেন, ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে কর্মরত লিয়াকত হোসেন মিলন ও অডিট দপ্তরে কর্মরত আব্দুর রহমান জুয়েল। প্রচারনার ভিডিও ফুটেজসহ অভিযোগ দেয়ায়, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ওই সরকারি কর্মজীবীদের সতর্ক করেন। জেলা প্রশাসক জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কাউকে ছাড় দিেিচ্ছন না। যিনিই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাকেই জরিমানা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৩ রজব ১৪৪২

ভোলায় বিধি লঙ্ঘন জরিমানা লক্ষাধিক

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলায় ২৮ ফেব্রুয়ারির পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে জমজমাট প্রচারণার পাশপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘন অপরাধে ২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক করার পাশপাশি জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ২শ টাকা। এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবী প্রতীকের ভোট চেয়ে প্রচারণায় নামায় ঢাকা থেকে আসা দুই সরকারি কর্মকর্তা কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। অপরদিকে ২নং ওয়ার্ডে অফিসার পাড়া এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে প্রার্থীর স্ত্রী ইসমত আরা লিপির নেতৃত্বাধীন মহিলা টিম প্রতিপক্ষ ব্লাকবোর্ড প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। এ সময় ৫ নারী আহত হন। ব্লাকবোর্ড প্রার্থী রাজিব হাসান লিপু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিকেলে বেশকিছু বহিরাগত মহিলা তার নির্বাচনী অফিসের ভেতর ঢুকে ভাড়ায় আসা টাকা পরিশোধ নিয়ে বাগ্বিত-ায় লিপ্ত হয়। ওই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা উচ্চ স্বরে কথা বলতে নিষেধ করায় ওই মহিলাদের সঙ্গে আসা কয়েক যুবক উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসলে বাক বিতন্ডা হয়। উট পাখির প্রচারনার জন্য ওই নারীদের বাপ্তা এলাকা থেকে ভাড়া আনা হয়ে ছিল। ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অবিনাশ নন্দী অভিযোগ করেন , ডালিম প্রতীকের প্রার্থী মনজুরুল আলমের ভাই জিয়াদ, ম্যানেজার বেনু, ইউছুফ, আবুল হোসেনসহ বহিরাগত বেশকিছু ক্যাডার বাহিনী সংখ্যালঘু পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধানের শীষ ও ডালিম প্রতীকে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। প্রমাণসহ তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। মনঞ্জুরুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। ৭নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর প্রার্থী শাহে আলম লিখিত অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ আসিব মাহামুদ মার্সেলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা করছেন, ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে কর্মরত লিয়াকত হোসেন মিলন ও অডিট দপ্তরে কর্মরত আব্দুর রহমান জুয়েল। প্রচারনার ভিডিও ফুটেজসহ অভিযোগ দেয়ায়, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ওই সরকারি কর্মজীবীদের সতর্ক করেন। জেলা প্রশাসক জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কাউকে ছাড় দিেিচ্ছন না। যিনিই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাকেই জরিমানা করা হচ্ছে।