দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাদলের নেতৃত্বে হোন্ডা মহড়া

আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দলীয় কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণার দু’দিনের মধ্যে দু’শতাধিক হোন্ডা নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে মহড়া দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ মহড়া চলে বলে তার প্রতিপক্ষ মির্জা আবদুল কাদেরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি হোন্ডায় চাদর পরা অস্ত্রধারীরা ছিল। তারা অনেক হাট-বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে ধরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হোন্ডার বিকট শব্দে হর্ন বাজাচ্ছিল। যেসব হাট-বাজার ও এলাকা দিয়ে এ হোন্ডার বহর গেছে তার পরপরই হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৯/১০টার পর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়। হাট-বাজারের আশপাশে ঘর বাড়িতে নিস্তব্ধতা নেমে আসে।

জানতে চাইলে আবদুল কাদের মির্জা খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অস্ত্রধারীরা ২ শতাধিক হোন্ডা নিয়ে মহড়ার খবর আমার নেতাকর্মীরা আমাকে জানালে আমি তাদেরকে ধৈর্যধারণ করতে এবং নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেই। আপনারা সাংবাদিকরা গিয়ে তদন্ত করে দেখুন। কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি বলেন, নেত্রী নিষেধ করেছে কথা না বলতে তাই আমি কিছু বলব না। আশা করি গোয়েন্দারা তদন্ত করে দলীয় হাই কমান্ডের কছে রিপোর্ট দেবেন।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল আংশিক স্বীকার করে বলেন, কোন হোন্ডা বা অস্ত্রের মহড়া নয়। আমি থানার হাট এলাকায় একটা দাওয়াতে গিয়েছি। সেখানে আমার সঙ্গে ২০/৩০টা হোন্ডা ছিল। কারণ এ সময় আমি একা যেতে নিরাপদ মনে করছিলাম না তাই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গেছি।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৩ রজব ১৪৪২

দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাদলের নেতৃত্বে হোন্ডা মহড়া

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দলীয় কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণার দু’দিনের মধ্যে দু’শতাধিক হোন্ডা নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে মহড়া দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ মহড়া চলে বলে তার প্রতিপক্ষ মির্জা আবদুল কাদেরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি হোন্ডায় চাদর পরা অস্ত্রধারীরা ছিল। তারা অনেক হাট-বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে ধরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হোন্ডার বিকট শব্দে হর্ন বাজাচ্ছিল। যেসব হাট-বাজার ও এলাকা দিয়ে এ হোন্ডার বহর গেছে তার পরপরই হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৯/১০টার পর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়। হাট-বাজারের আশপাশে ঘর বাড়িতে নিস্তব্ধতা নেমে আসে।

জানতে চাইলে আবদুল কাদের মির্জা খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অস্ত্রধারীরা ২ শতাধিক হোন্ডা নিয়ে মহড়ার খবর আমার নেতাকর্মীরা আমাকে জানালে আমি তাদেরকে ধৈর্যধারণ করতে এবং নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেই। আপনারা সাংবাদিকরা গিয়ে তদন্ত করে দেখুন। কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি বলেন, নেত্রী নিষেধ করেছে কথা না বলতে তাই আমি কিছু বলব না। আশা করি গোয়েন্দারা তদন্ত করে দলীয় হাই কমান্ডের কছে রিপোর্ট দেবেন।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল আংশিক স্বীকার করে বলেন, কোন হোন্ডা বা অস্ত্রের মহড়া নয়। আমি থানার হাট এলাকায় একটা দাওয়াতে গিয়েছি। সেখানে আমার সঙ্গে ২০/৩০টা হোন্ডা ছিল। কারণ এ সময় আমি একা যেতে নিরাপদ মনে করছিলাম না তাই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গেছি।