সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা

চারটি মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরিবারের পক্ষ থেকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪টি মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের ছোট ভাইকে হারিয়ে আমরা কি কষ্ট এবং কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আছি তা আল্লাহ তায়ালা এবং পিতা-মাতা, ছোট ভাই শেখ রাসেলকে হারানো বোন আজকের মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বুঝতে পারছেন। আমরা বিশ্বাস করি এ মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই আমাদের ছোট্ট ভাইটির হত্যার বিচার করে আমাদের পরিবারকে কৃতার্থ করতে পারবেন। তিনি বলেন, মোজাক্কির সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কমকা-েও জড়িত ছিলেন। তার এ অল্প বয়সে নিজের রক্ত দান করে ২২ জন মুমূর্ষু রোগীকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন।

শিক্ষা জীবনেও কোন দিন সে দ্বিতীয় হয়নি- সব সময় প্রথম হতো। সর্বশেষ দর্শন শাস্ত্রে অনার্সে প্রথম হয়ে ছিল। তিনি তার ভাইয়ের হত্যা মামলায় তাদের সহায়তা করার জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুজাক্কিরের বৃদ্ধ পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা নোয়াব আলী বলেন, আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করত। তাকে নিয়ে টানাটানি করে তদন্তকারীদের বিব্রত বা বিভ্রান্ত করবেন না। তিনি বলেন, পিবিআই এসপি আমার সঙ্গে কথা বলেছেÑ আমার বিশ্বাস তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমার পুত্রের খুনিদের আইনের হাতে তুলে দিতে পারবেন।

এ সময় তার পাশে বসা মুজাক্কিরের বৃদ্ধ মাতা মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, একটি ভিডিও ভাইরালে তিনি দেখেছেন বসুরহাটে এক ব্যক্তি তার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে চড়-থাপ্পর মেরে তাকে হুমকি দিচ্ছেন। তার ধারণা সে ব্যক্তি তার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার, মা মমতাজ বেগম, বড় ভাই নুর উদ্দিন মুহাদ্দিস ও তার ভগ্নিপতি আবদুস সাত্তারসহ তার পরিবারের লোকজন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলেন- থানায় দায়ের করা মামলাটি ইতিমধ্যে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি মামলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে ও অন্য দুটি মামলা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গলায় ও বুকে ছররাগুলি বিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় গত শনিবার রাত পৌনে ১১টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। তার বড় ভাই বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেন, দেরি হয়ে গেছে। তার অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।

নোয়াখালীতে বিক্ষোভ অব্যাহত

এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দবিতে গতকালও নোয়াখালী ছিল উত্তাল। সকাল ১০টায় মুজাক্কিরের পরিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই জেলার সাংবাদিকসমাজ ক্লাবের শহীদ উদ্দিন এস্কেন্দার মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি প্রতিনিধি আবু নাছের মঞ্জু, জেলা সম্পাদক পরিষদের সেক্রেটারি আকাশ জসিম উদ্দিন, সময় টিভি প্রতিনিধি সাইফুল্লা কামরুল, ৭১ টিভি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, প্রতিবাদ সমাবেশে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয় এবং ঘোষণা করা হয় মুজাক্কির হত্যার বিচার কার্যকর করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

দুপুর ১২টায় কবিরহাট সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কবিরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতির মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, রিপোটার্স ক্লাব সেক্রেটারি মো. সোহেল, দৈনিক দিশারী সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কবিরহাট সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুখ, কবিরহাট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এসএম ফারুক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়ন ও কাউন্সিলররা।

একই দিন বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, চন্দ্রগঞ্জ ও বসুরহাটে সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন মুজাক্কির হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

কবিরহাটের মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিন। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের সম্পদ। সাংবাদিকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তাহলে সমাজ নিরাপদ থাকবে না। সন্ত্রাসীরা সমাজকে তছনছ করে ফেলবে।

এদিকে মুজাক্কির হত্যার তদন্ত সংস্থা পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই তদন্ত করে যাচ্ছে। উদ্ধারকৃত আলামত ও বাজার থেকে উদ্ধার সিসি টিভি ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যত দ্রুততার সঙ্গে এবং নিখুঁতভাবে তদন্ত করে তা মিডিয়াকে জানানো হবে।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৩ রজব ১৪৪২

সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা

চারটি মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

image

সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গতাকাল কবিরহাট প্রেসক্লাবে মানববন্ধন -সংবাদ

কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরিবারের পক্ষ থেকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪টি মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের ছোট ভাইকে হারিয়ে আমরা কি কষ্ট এবং কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আছি তা আল্লাহ তায়ালা এবং পিতা-মাতা, ছোট ভাই শেখ রাসেলকে হারানো বোন আজকের মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বুঝতে পারছেন। আমরা বিশ্বাস করি এ মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই আমাদের ছোট্ট ভাইটির হত্যার বিচার করে আমাদের পরিবারকে কৃতার্থ করতে পারবেন। তিনি বলেন, মোজাক্কির সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কমকা-েও জড়িত ছিলেন। তার এ অল্প বয়সে নিজের রক্ত দান করে ২২ জন মুমূর্ষু রোগীকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন।

শিক্ষা জীবনেও কোন দিন সে দ্বিতীয় হয়নি- সব সময় প্রথম হতো। সর্বশেষ দর্শন শাস্ত্রে অনার্সে প্রথম হয়ে ছিল। তিনি তার ভাইয়ের হত্যা মামলায় তাদের সহায়তা করার জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুজাক্কিরের বৃদ্ধ পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা নোয়াব আলী বলেন, আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করত। তাকে নিয়ে টানাটানি করে তদন্তকারীদের বিব্রত বা বিভ্রান্ত করবেন না। তিনি বলেন, পিবিআই এসপি আমার সঙ্গে কথা বলেছেÑ আমার বিশ্বাস তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমার পুত্রের খুনিদের আইনের হাতে তুলে দিতে পারবেন।

এ সময় তার পাশে বসা মুজাক্কিরের বৃদ্ধ মাতা মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, একটি ভিডিও ভাইরালে তিনি দেখেছেন বসুরহাটে এক ব্যক্তি তার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে চড়-থাপ্পর মেরে তাকে হুমকি দিচ্ছেন। তার ধারণা সে ব্যক্তি তার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার, মা মমতাজ বেগম, বড় ভাই নুর উদ্দিন মুহাদ্দিস ও তার ভগ্নিপতি আবদুস সাত্তারসহ তার পরিবারের লোকজন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলেন- থানায় দায়ের করা মামলাটি ইতিমধ্যে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি মামলা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে ও অন্য দুটি মামলা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গলায় ও বুকে ছররাগুলি বিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় গত শনিবার রাত পৌনে ১১টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। তার বড় ভাই বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেন, দেরি হয়ে গেছে। তার অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।

নোয়াখালীতে বিক্ষোভ অব্যাহত

এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দবিতে গতকালও নোয়াখালী ছিল উত্তাল। সকাল ১০টায় মুজাক্কিরের পরিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই জেলার সাংবাদিকসমাজ ক্লাবের শহীদ উদ্দিন এস্কেন্দার মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি প্রতিনিধি আবু নাছের মঞ্জু, জেলা সম্পাদক পরিষদের সেক্রেটারি আকাশ জসিম উদ্দিন, সময় টিভি প্রতিনিধি সাইফুল্লা কামরুল, ৭১ টিভি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, প্রতিবাদ সমাবেশে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয় এবং ঘোষণা করা হয় মুজাক্কির হত্যার বিচার কার্যকর করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

দুপুর ১২টায় কবিরহাট সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কবিরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতির মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, রিপোটার্স ক্লাব সেক্রেটারি মো. সোহেল, দৈনিক দিশারী সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কবিরহাট সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুখ, কবিরহাট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এসএম ফারুক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়ন ও কাউন্সিলররা।

একই দিন বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি, চাটখিল, চন্দ্রগঞ্জ ও বসুরহাটে সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন মুজাক্কির হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

কবিরহাটের মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিন। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের সম্পদ। সাংবাদিকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তাহলে সমাজ নিরাপদ থাকবে না। সন্ত্রাসীরা সমাজকে তছনছ করে ফেলবে।

এদিকে মুজাক্কির হত্যার তদন্ত সংস্থা পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই তদন্ত করে যাচ্ছে। উদ্ধারকৃত আলামত ও বাজার থেকে উদ্ধার সিসি টিভি ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যত দ্রুততার সঙ্গে এবং নিখুঁতভাবে তদন্ত করে তা মিডিয়াকে জানানো হবে।