কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা

কাশ্মীরে বিবাদপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ করে অস্ত্র বিরতি ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই পক্ষের সেনাবাহিনী এ ঘোষণা দিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের।

২০০৩ সালে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় দুই দেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে তা বহাল থাকলেও প্রায়ই লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সরকার গঠনের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রধানরা (ডিজিএমও) সকালে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তারা হিমালয় অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য শান্তি বিনষ্টকারী ও সহিংসতা সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

পরস্পরের উদ্বেগের জায়গাগুলো প্রকাশ করে দু’পক্ষ। পরে এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেয়া হয়।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেয়া আলাদা এক বিবৃতিতে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা ও অন্যান্য সেক্টরে সব ধরনের চুক্তি, সমঝোতা ও অস্ত্র বিরতির ওপর ‘কড়া নজরদারি’ বহাল রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। আজ মধ্যরাত থেকে তা কার্যকর হবে।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৩ রজব ১৪৪২

কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা

image

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী -রয়টার্স

কাশ্মীরে বিবাদপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ করে অস্ত্র বিরতি ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই পক্ষের সেনাবাহিনী এ ঘোষণা দিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের।

২০০৩ সালে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় দুই দেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে তা বহাল থাকলেও প্রায়ই লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সরকার গঠনের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রধানরা (ডিজিএমও) সকালে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তারা হিমালয় অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য শান্তি বিনষ্টকারী ও সহিংসতা সৃষ্টিকারী ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

পরস্পরের উদ্বেগের জায়গাগুলো প্রকাশ করে দু’পক্ষ। পরে এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেয়া হয়।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেয়া আলাদা এক বিবৃতিতে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা ও অন্যান্য সেক্টরে সব ধরনের চুক্তি, সমঝোতা ও অস্ত্র বিরতির ওপর ‘কড়া নজরদারি’ বহাল রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। আজ মধ্যরাত থেকে তা কার্যকর হবে।