পতনের পরও শেয়ারবাজারে ফিরেছে হাজার কোটি টাকা মূলধন

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৪৭.৩৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৭ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯.৬০ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬.৩৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৬১ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.৭৮ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২২৫.৮৮ এবং ২০৬৫.৮০ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির বা ৩৩.১৫ শতাংশের, কমেছে ১২৬টির বা ৩৪.৫২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির বা ৩২.৩৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫১ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ কম হয়েছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০.৬৬ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫০.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১০৩.২২ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৫.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৩.৫৩ পয়েন্ট বা ১.৯৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৪.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৪৪১.১৫ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৩৩.৭১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৯৪.৩৮ পয়েন্টে এবং ৯৮৭.৮৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির বা ৩০.০৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৮টির বা ৪৬.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৬৩টির বা ২৩.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৩৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৬ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.২৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৪৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৬৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.৬৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৮.৪৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৮.৬৪ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২৭.৯১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.০৬ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৮০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৬.৬১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৪৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫০.২০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৭.০২ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.১৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৭৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৯.৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৪ রজব ১৪৪২

পতনের পরও শেয়ারবাজারে ফিরেছে হাজার কোটি টাকা মূলধন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২ হাজার ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৪৭.৩৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৭ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ১৭০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯.৬০ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬.৩৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৬১ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯.৭৮ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২২৫.৮৮ এবং ২০৬৫.৮০ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির বা ৩৩.১৫ শতাংশের, কমেছে ১২৬টির বা ৩৪.৫২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির বা ৩২.৩৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৭ কোটি ৮ লাখ ৩৫১ টাকা বা ২৭.৭৮ শতাংশ কম হয়েছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭০.৬৬ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫০.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১০৩.২২ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৩৫.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৩.৫৩ পয়েন্ট বা ১.৯৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৪.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৪৪১.১৫ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৩৩.৭১ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৯৪.৩৮ পয়েন্টে এবং ৯৮৭.৮৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির বা ৩০.০৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৮টির বা ৪৬.৮৯ শতাংশের কমেছে এবং ৬৩টির বা ২৩.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৩৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৬ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.২৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৪৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৬৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.৬৮ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৮.৪৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৮.৬৪ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২৭.৯১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.০৬ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৮০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৬.৬১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৪৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫০.২০ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৭.০২ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.১৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৭৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৯.৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।