বেকার সমস্যা সমাধানে কর্মমুখী শিক্ষায় গুরুত্বারোপ শিক্ষামন্ত্রীর

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, দক্ষতা না থাকায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্যা সমাধানে শিল্পের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্প-শিক্ষাখাতের সমন্বয়: নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত’ শীর্ষক ওয়েবিনার এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য টেকসই গবেষণা কার্যক্রমে পরিচালনা করতে বেসরকারী খ্যাতকে বিনোয়োগ করতে হবে। এ ধরনের গবেষনা শিল্পখাতের প্রয়োজনীয় মাফিক শিক্ষা কারিক্যুালম প্রস্তুত ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করবে। বৈশি^ক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য শিক্ষা ও শিল্পখাতের বিদ্যমান মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে । একই সাথে নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলতে হবে।’

তিনি শিল্প ও শিক্ষা খাতে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে আনার উপর জোরারোপ করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে । এ সুযোগ কে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের ‘শিক্ষা, শিল্প এবং গবেষণা’ ত্রিপাক্ষিক সমন্বয় বাড়ানো একান্ত অপরিহার্য। তিনি দেশের কারিগরি ও প্রযুক্তি ভিক্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের উপর জোরারোপ করেন। মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি সফট স্কিল বা নরম (সৃজনশীল) দক্ষতা না থাকায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ ধারার পরিবর্তন আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চলছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অভাবনীয় উন্নতি ও এসডিজি ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবর্তন বাংলাদেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন শ্রমবাজারে প্রায় ৬৩.৫ মিলিয়ন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এবং প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ নতুন জনবল শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভের পরও শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে চাকুরী পেতে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়সমূহ হতে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর প্রায় ৩৮.৬% শিক্ষিত তরুণ কর্মহীন হয়ে পড়ে, যা কিনা শিল্পখাতের প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবকেই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।

রিজওয়ান রাহমান আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির প্রায় ৫০ ভাগকেই পুনঃদক্ষ করে তোলতে হবে এবং দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বিশ^বিদ্যালয়গুলো এবং বেসরকারীখাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিনি বিশ^বিদ্যালয়সমূহে কার্যকর গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি সময়োপযোগী শিক্ষা ক্যারিকুলাম প্রণয়ন ও প্রবর্তনের আহ্বান জানান।

বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের শিক্ষা ও শিল্পখাতের মধ্যকার ব্যবধান অত্যন্ত বেশি, যা নিরসন এখন সময়ের দাবী। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে। শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হলে, বিদেশ হতে কর্মী নিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় মেধাবীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহকে বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিকে ক্যারিকুল্যাম প্রণয়নের করতে হবে।

ওয়েবিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়সমূহ শুধুমাত্র প্রতিবছর গ্রাজুয়েট তৈরি করার উপর গুরুত্ব না দিয়ে বরং তারা শিক্ষাজীবনে কতটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে তার উপর অধিক প্রাধান্য দেয়া উচিত।

নির্ধারিত আলোচনায় এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বুয়েট-এর ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পরিচালক তাহমিনা বিনতে মোস্তফা এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার অংশগ্রহণ করেন।

নাসিম মঞ্জুর বলেন, বেসরকারীখাতের পক্ষ হতে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগের অর্থের উপর কর অব্যাহতির সুবিধা প্রদান করলে এ ধরনের কার্যক্রমে বিনিয়োগে বেসরকারীখাত আরো বেশি হারে উদ্ভুদ্ধ হবে। তিনি দেশের মেধাসত্ব আইন ও প্যাটেন্ট আইন-এর যুগোপযোগীকরণের দাবী জানান, যার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় বৃদ্ধিতে সরকারী নীতিসহায়তা খুবই জরুরী। তিনি খাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের পক্ষ হতে একটি ‘এনডাউমেন্ট ফান্ড’ গঠনের প্রস্তাব করেন।

বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার বলেন, উদ্ভাবন ও গবেষণা কার্যক্রম কে একটি মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ খুবই জরুরী বলে মত প্রকাশ করেন। তাহমিনা বিনতে মোস্তফা বলেন, বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী, তবে তাদের কে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তোলতে হবে, যেন তারা শিল্পখাতের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়।

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৫ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৫ রজব ১৪৪২

বেকার সমস্যা সমাধানে কর্মমুখী শিক্ষায় গুরুত্বারোপ শিক্ষামন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশ

image

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, দক্ষতা না থাকায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্যা সমাধানে শিল্পের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্প-শিক্ষাখাতের সমন্বয়: নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত’ শীর্ষক ওয়েবিনার এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য টেকসই গবেষণা কার্যক্রমে পরিচালনা করতে বেসরকারী খ্যাতকে বিনোয়োগ করতে হবে। এ ধরনের গবেষনা শিল্পখাতের প্রয়োজনীয় মাফিক শিক্ষা কারিক্যুালম প্রস্তুত ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করবে। বৈশি^ক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য শিক্ষা ও শিল্পখাতের বিদ্যমান মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে । একই সাথে নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলতে হবে।’

তিনি শিল্প ও শিক্ষা খাতে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে আনার উপর জোরারোপ করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে । এ সুযোগ কে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের ‘শিক্ষা, শিল্প এবং গবেষণা’ ত্রিপাক্ষিক সমন্বয় বাড়ানো একান্ত অপরিহার্য। তিনি দেশের কারিগরি ও প্রযুক্তি ভিক্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের উপর জোরারোপ করেন। মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি সফট স্কিল বা নরম (সৃজনশীল) দক্ষতা না থাকায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ ধারার পরিবর্তন আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চলছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অভাবনীয় উন্নতি ও এসডিজি ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবর্তন বাংলাদেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন শ্রমবাজারে প্রায় ৬৩.৫ মিলিয়ন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এবং প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ নতুন জনবল শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভের পরও শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে চাকুরী পেতে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়সমূহ হতে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর প্রায় ৩৮.৬% শিক্ষিত তরুণ কর্মহীন হয়ে পড়ে, যা কিনা শিল্পখাতের প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবকেই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।

রিজওয়ান রাহমান আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির প্রায় ৫০ ভাগকেই পুনঃদক্ষ করে তোলতে হবে এবং দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বিশ^বিদ্যালয়গুলো এবং বেসরকারীখাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিনি বিশ^বিদ্যালয়সমূহে কার্যকর গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি সময়োপযোগী শিক্ষা ক্যারিকুলাম প্রণয়ন ও প্রবর্তনের আহ্বান জানান।

বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের শিক্ষা ও শিল্পখাতের মধ্যকার ব্যবধান অত্যন্ত বেশি, যা নিরসন এখন সময়ের দাবী। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে। শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব হলে, বিদেশ হতে কর্মী নিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় মেধাবীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বিশ^বিদ্যালয়সমূহকে বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিকে ক্যারিকুল্যাম প্রণয়নের করতে হবে।

ওয়েবিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়সমূহ শুধুমাত্র প্রতিবছর গ্রাজুয়েট তৈরি করার উপর গুরুত্ব না দিয়ে বরং তারা শিক্ষাজীবনে কতটুকু দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে তার উপর অধিক প্রাধান্য দেয়া উচিত।

নির্ধারিত আলোচনায় এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বুয়েট-এর ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পরিচালক তাহমিনা বিনতে মোস্তফা এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার অংশগ্রহণ করেন।

নাসিম মঞ্জুর বলেন, বেসরকারীখাতের পক্ষ হতে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগের অর্থের উপর কর অব্যাহতির সুবিধা প্রদান করলে এ ধরনের কার্যক্রমে বিনিয়োগে বেসরকারীখাত আরো বেশি হারে উদ্ভুদ্ধ হবে। তিনি দেশের মেধাসত্ব আইন ও প্যাটেন্ট আইন-এর যুগোপযোগীকরণের দাবী জানান, যার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, শিল্প ও শিক্ষাখাতের সমন্বয় বৃদ্ধিতে সরকারী নীতিসহায়তা খুবই জরুরী। তিনি খাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের পক্ষ হতে একটি ‘এনডাউমেন্ট ফান্ড’ গঠনের প্রস্তাব করেন।

বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার বলেন, উদ্ভাবন ও গবেষণা কার্যক্রম কে একটি মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ খুবই জরুরী বলে মত প্রকাশ করেন। তাহমিনা বিনতে মোস্তফা বলেন, বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী, তবে তাদের কে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তোলতে হবে, যেন তারা শিল্পখাতের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়।