জরুরি ভিত্তিতে আমদানি হবে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। এজন্য আমদানীর সময়সীমা শিথিল করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ দিন করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত দুটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি হতে ব্যয় হবে।

চাল আমদানিতে সময় কমানোর পদক্ষেপ কেন নেয়া হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। চালও উৎপাদন কম হয়েছে। আপনারা জানেন গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। তবে আমরা খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সবসময় এটা দাবি করি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি কোন আগাম বন্যা না হয়, আর যদি কোনো ঝড়ঝঞ্জার মধ্যে না পড়ি তাহলে আমরা স্বাভাবিক থাকব। তাহলে আমাদের আমদানি করারও প্রয়োজন হবে না। যাই হোক আজ যে প্রস্তাবটি এসেছে সেটার দাম নির্ধারণ করা হবে টেন্ডার করার পর। আজ শুধু আমরা সময় দিয়েছি এতদিনের মধ্যে আমদানি করতে হবে। তাদের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) বলে দেয়া হয়েছে, তারা লক্ষ্য রাখবেন আবার বেশি যেন আমদানি করে না ফেলে। বেশি আমদানি হলে আবার বাজারের ওপর প্রভাব পড়বে। এ পুরো বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করবে। যাতে তাদের যেটুকু ঘাটতি আছে বলে তারা মনে করছে সেটুকু আমদানি করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তরিত তথ্য একটু পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা অবহিত করবেন।

এরপর মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সাড়ে পাঁচ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে টেন্ডারের মধ্যে না জিটুজির আওতায় আনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই উদ্যোগী মন্ত্রণালয় (খাদ্য মন্ত্রণালয়) সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রক্রিয়াকরণ করবে।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নীতিগত অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার জন্য বেজা ও বেপজার মধ্যে স্বাক্ষরিতব্য ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, বেজা ও বেপজা দুটিই সরকারি সংস্থা। তাদের মধ্যে একটা ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে। বেজা বেপজাকে জমি দেবে। সেটার ওপর তারা কাজ করবে। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষে আন্তর্জাতিকমানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে ‘ইক্যুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল অন পিপিপি মডেল’ প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

১৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

পল্লী বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চার বিভাগের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনাসহ ২টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্তৃক বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সীগঞ্জ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের মাটি ভরাট (ভূমি উন্নয়ন ও পুকুর খনন করে মাটি ভরাট) কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ লিমিটেডকে ১২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৩১৯ টাকায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-এ-৪৮ এর লট-৫ -এর আওতায় ১৩০ কিলোমিটার ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮০ টাকা। মেসার্স পলি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এসব ক্যাবল সরবরাহ করবে।’

বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১ , ১৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৯ রজব ১৪৪২

জরুরি ভিত্তিতে আমদানি হবে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। এজন্য আমদানীর সময়সীমা শিথিল করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ দিন করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম এবং সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য তিনটি এবং ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত দুটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি হতে ব্যয় হবে।

চাল আমদানিতে সময় কমানোর পদক্ষেপ কেন নেয়া হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। চালও উৎপাদন কম হয়েছে। আপনারা জানেন গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। তবে আমরা খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সবসময় এটা দাবি করি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি কোন আগাম বন্যা না হয়, আর যদি কোনো ঝড়ঝঞ্জার মধ্যে না পড়ি তাহলে আমরা স্বাভাবিক থাকব। তাহলে আমাদের আমদানি করারও প্রয়োজন হবে না। যাই হোক আজ যে প্রস্তাবটি এসেছে সেটার দাম নির্ধারণ করা হবে টেন্ডার করার পর। আজ শুধু আমরা সময় দিয়েছি এতদিনের মধ্যে আমদানি করতে হবে। তাদের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) বলে দেয়া হয়েছে, তারা লক্ষ্য রাখবেন আবার বেশি যেন আমদানি করে না ফেলে। বেশি আমদানি হলে আবার বাজারের ওপর প্রভাব পড়বে। এ পুরো বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করবে। যাতে তাদের যেটুকু ঘাটতি আছে বলে তারা মনে করছে সেটুকু আমদানি করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তরিত তথ্য একটু পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা অবহিত করবেন।

এরপর মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সাড়ে পাঁচ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে টেন্ডারের মধ্যে না জিটুজির আওতায় আনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই উদ্যোগী মন্ত্রণালয় (খাদ্য মন্ত্রণালয়) সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রক্রিয়াকরণ করবে।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নীতিগত অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার জন্য বেজা ও বেপজার মধ্যে স্বাক্ষরিতব্য ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, বেজা ও বেপজা দুটিই সরকারি সংস্থা। তাদের মধ্যে একটা ডেভেলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে। বেজা বেপজাকে জমি দেবে। সেটার ওপর তারা কাজ করবে। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষে আন্তর্জাতিকমানের বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে ‘ইক্যুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল অন পিপিপি মডেল’ প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

১৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

পল্লী বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চার বিভাগের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনাসহ ২টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্তৃক বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সীগঞ্জ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের মাটি ভরাট (ভূমি উন্নয়ন ও পুকুর খনন করে মাটি ভরাট) কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ লিমিটেডকে ১২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৩১৯ টাকায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-এ-৪৮ এর লট-৫ -এর আওতায় ১৩০ কিলোমিটার ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮০ টাকা। মেসার্স পলি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এসব ক্যাবল সরবরাহ করবে।’