আরও ১ বছর পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় বিএমবিএ

পুঁজিবাজারে ২০২২ সাল পর্যন্ত অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আর নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫ শতাংশ ও লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

বিএমবি সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। নির্ধারিত এই কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি এবং এর পাশাপাশি মেয়াদ আরও এক বছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে গেট হার ১০ শতাংশ করা এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে করপোরেট ট্যাক্স কমানো, করোনা বিবেচনায় বীমা এজেন্টদের অগ্রিম ৫ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধের বিধান দুই বছর স্থগিত করা, জীবনবীমা পলিসি হোল্ডারদের মুনাফার ওপর গেইন ট্যাক্স কর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক। আপনাদের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহ পর্যালোচনা করবে রাজস্ব বোর্ড। আমরা রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে চাইছি, এজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে। সভায় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১ , ২০ ফাল্গুন ১৪২৭ ২০ রজব ১৪৪২

আরও ১ বছর পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় বিএমবিএ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পুঁজিবাজারে ২০২২ সাল পর্যন্ত অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আর নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫ শতাংশ ও লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

বিএমবি সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। নির্ধারিত এই কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি এবং এর পাশাপাশি মেয়াদ আরও এক বছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে গেট হার ১০ শতাংশ করা এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে করপোরেট ট্যাক্স কমানো, করোনা বিবেচনায় বীমা এজেন্টদের অগ্রিম ৫ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধের বিধান দুই বছর স্থগিত করা, জীবনবীমা পলিসি হোল্ডারদের মুনাফার ওপর গেইন ট্যাক্স কর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক। আপনাদের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহ পর্যালোচনা করবে রাজস্ব বোর্ড। আমরা রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে চাইছি, এজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে। সভায় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।