ছয় সপ্তাহ পতনের পর উত্থান শেয়ারবাজারে

৬ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে ডিএসইতে

ছয় সপ্তাহ পতনের পর গত সপ্তাহে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীর দেখা পেয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকার ওপর বেড়েছে। অবশ্য আগের টানা ছয় সপ্তাহের পতনে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারায় ডিএসই। এই হিসাবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা হারানোর পর শেয়ারবাজারে ৬ হাজার কোটি টাকা ফিরে এলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকার ওপর বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গেল সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ। আর লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর আগে শেয়ারবাজার টানা ছয় সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকায় ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৩৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ৪৯৩ পয়েন্ট। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি টানা ছয় সপ্তাহ পতনের পর ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ১৭০ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অবশ্য তার আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল। সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর ৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ৫৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৬৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ অবদান ছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬২ পয়েন্ট বা ৩.৫৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮৮ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭.২৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৪৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২০.০৩ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৮.৫৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৮.১৯ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৮০ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১২ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৭৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৬.৮২ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৭৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৪৯.৪৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৮.১৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.২১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৮৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৫.২২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৯.৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১ , ২১ ফাল্গুন ১৪২৭ ২১ রজব ১৪৪২

ছয় সপ্তাহ পতনের পর উত্থান শেয়ারবাজারে

৬ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে ডিএসইতে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ছয় সপ্তাহ পতনের পর গত সপ্তাহে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীর দেখা পেয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকার ওপর বেড়েছে। অবশ্য আগের টানা ছয় সপ্তাহের পতনে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারায় ডিএসই। এই হিসাবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা হারানোর পর শেয়ারবাজারে ৬ হাজার কোটি টাকা ফিরে এলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকার ওপর বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গেল সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ। আর লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর আগে শেয়ারবাজার টানা ছয় সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকায় ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৩৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ৪৯৩ পয়েন্ট। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি টানা ছয় সপ্তাহ পতনের পর ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের ছয় সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ১৭০ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অবশ্য তার আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল। সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির। আর ৬৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ৫৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৬৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ অবদান ছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬২ পয়েন্ট বা ৩.৫৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৮৮ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭.২৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৪৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২০.০৩ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৮.৫৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৮.১৯ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৮০ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১২ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৭৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৬.৮২ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৭৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৪৯.৪৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৮.১৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.২১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৮৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৫.২২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৯.৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।