আইপিওর ১৫ শতাংশ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের সুযোগ রেখে খসড়া প্রকাশ

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের আবেদন করা অর্থের ১৫ শতাংশ শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করার সুযোগ রেখে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়া প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১০ টাকা দরে ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইসে ইস্যু করা যাবে। গত সোমবার বিএসইসির ওয়েবসাইটে এই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।

পছন্দের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আইপিওর এ শেয়ার বিক্রি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট হিসেবে পরিচিত। সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, আইপিও পরবর্তী যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত হবে, সেসব কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

আর আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা হবে, সেসব কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের অন্তত ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এছাড়া আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হবে, আইপিওতে সেসব কোম্পানিকে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এতে বলা হয়েছে, আইপিওর ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়ায় বলা হয়েছে, যদি একটি কোম্পানি আইপিওতে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়, তার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করা যাবে। এ শেয়ার ইস্যুয়ার তার পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবেন। পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা এ শেয়ার দুই বছরের লক-ইন থাকবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগে অন্য আইপিও বিজয়ীদের সঙ্গে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, আইপিওতে আসা কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার এক বছর লক-ইন থাকবে। আইপিও আবেদনে কোম্পানিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট চালান সংগ্রহ করে, তার সার্টিফায়েড কপি কমিশনে জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে। কমিশন প্রয়োজনে ভ্যাট চালান ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যাচাই করবে- বলে সংশোধিত খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোন কোম্পানি আইপিও আবেদনের পূর্ববর্তী দুই বছরে বোনাস শেয়ার ইস্যু ছাড়া অন্য কোন প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। বোনাস শেয়ার ছাড়া অন্য কোনভাবে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো কোম্পানিকে আইপিওতে আসার জন্য কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।

বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১ , ২৫ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৫ রজব ১৪৪২

আইপিওর ১৫ শতাংশ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের সুযোগ রেখে খসড়া প্রকাশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের আবেদন করা অর্থের ১৫ শতাংশ শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করার সুযোগ রেখে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়া প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১০ টাকা দরে ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইসে ইস্যু করা যাবে। গত সোমবার বিএসইসির ওয়েবসাইটে এই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।

পছন্দের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আইপিওর এ শেয়ার বিক্রি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট হিসেবে পরিচিত। সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, আইপিও পরবর্তী যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত হবে, সেসব কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

আর আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা হবে, সেসব কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের অন্তত ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এছাড়া আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হবে, আইপিওতে সেসব কোম্পানিকে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এতে বলা হয়েছে, আইপিওর ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়ায় বলা হয়েছে, যদি একটি কোম্পানি আইপিওতে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়, তার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করা যাবে। এ শেয়ার ইস্যুয়ার তার পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবেন। পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা এ শেয়ার দুই বছরের লক-ইন থাকবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগে অন্য আইপিও বিজয়ীদের সঙ্গে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, আইপিওতে আসা কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার এক বছর লক-ইন থাকবে। আইপিও আবেদনে কোম্পানিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট চালান সংগ্রহ করে, তার সার্টিফায়েড কপি কমিশনে জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে। কমিশন প্রয়োজনে ভ্যাট চালান ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যাচাই করবে- বলে সংশোধিত খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোন কোম্পানি আইপিও আবেদনের পূর্ববর্তী দুই বছরে বোনাস শেয়ার ইস্যু ছাড়া অন্য কোন প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। বোনাস শেয়ার ছাড়া অন্য কোনভাবে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো কোম্পানিকে আইপিওতে আসার জন্য কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।