বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডবি্লউটিসিসিআই)। এছাড়া, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন বিডবি্লউটিসিসিআইয়ের সভাপতি সেলিমা আহমাদ। এ সময় এনবিআর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেলিমা আহমাদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যবসা ক্ষেত্রে কঠিন সময় পার করছেন। বিডবি্লউটিসিসিআই বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেটে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে।

২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছাড়া সংগঠনটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সার্ভিস সেক্টরে (বিশেষত বুটিক, বিউটি পার্লার ও ক্যাটারিং, রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান ও খাদ্যপণ্যের ব্যবসা) নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা, নারীদের জন্য ব্যক্তিগত আয়কর সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখের বদলে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পুনরায় শুরুর পর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ভ্যাট এবং ট্যাক্স মওকুফ করা, নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরুর প্রথম তিন বছরের ট্যাক্স মাফ করা, নতুন ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের ফি ও নবায়ন ফি অর্ধেক করা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই সেক্টরে ২০২১-২২ সালে ব্যাংক ঋণ (প্রণোদনা প্যাকেজ বহির্ভূত) ৪ শতাংশ হারে সুদ এবং ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ নির্ধারণ ও বিতরণ করা, সরকার ঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজ ২০২১-২২ অর্থবছরে চলমান রাখা এবং নারীদের জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ শতাংশের বদলে বিশেষভাবে ১৫ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ রাখা, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায়ী শো-রুমের ওপর মূসক অব্যাহতি প্রদান’ ঘোষণার বাস্তবায়ন ও নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক আমদানিকৃত মেশিনারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃক নিজস্ব উদ্যোগে আমদানিকৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন। এনবিআরের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১ , ২৫ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৫ রজব ১৪৪২

বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

image

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডবি্লউটিসিসিআই)। এছাড়া, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন বিডবি্লউটিসিসিআইয়ের সভাপতি সেলিমা আহমাদ। এ সময় এনবিআর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেলিমা আহমাদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যবসা ক্ষেত্রে কঠিন সময় পার করছেন। বিডবি্লউটিসিসিআই বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেটে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে।

২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছাড়া সংগঠনটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সার্ভিস সেক্টরে (বিশেষত বুটিক, বিউটি পার্লার ও ক্যাটারিং, রেস্টুরেন্ট, খাবারের দোকান ও খাদ্যপণ্যের ব্যবসা) নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা, নারীদের জন্য ব্যক্তিগত আয়কর সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখের বদলে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পুনরায় শুরুর পর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ভ্যাট এবং ট্যাক্স মওকুফ করা, নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরুর প্রথম তিন বছরের ট্যাক্স মাফ করা, নতুন ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের ফি ও নবায়ন ফি অর্ধেক করা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই সেক্টরে ২০২১-২২ সালে ব্যাংক ঋণ (প্রণোদনা প্যাকেজ বহির্ভূত) ৪ শতাংশ হারে সুদ এবং ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ নির্ধারণ ও বিতরণ করা, সরকার ঘোষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজ ২০২১-২২ অর্থবছরে চলমান রাখা এবং নারীদের জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ শতাংশের বদলে বিশেষভাবে ১৫ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ রাখা, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায়ী শো-রুমের ওপর মূসক অব্যাহতি প্রদান’ ঘোষণার বাস্তবায়ন ও নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক আমদানিকৃত মেশিনারি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃক নিজস্ব উদ্যোগে আমদানিকৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত আমদানি কর হ্রাস করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন। এনবিআরের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন নেতাও উপস্থিত ছিলেন।