দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ছয় এনজিওর সঙ্গে ব্র্যাকের চুক্তি

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনতে ছয়টি এনজিওর সঙ্গে পার্টনারশিপ চুক্তি করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এই ছয়টি এনজিওসমূহ হচ্ছে সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, প্রোগ্রাম ফর হেলফলেস অ্যান্ড ল্যাগেড সোসাইটিজ (পালস), অ্যালায়েন্স ফর কো অপারেশন এইডস বাংলাদেশ (অ্যাকলাব), জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা (জেনাস), নোঙর, ও হেলপ-কক্সবাজার।

এই চুক্তির আওতায় এইসব এনজিওসমূহ স্থানীয় উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি, জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নারী, বয়স্ক ও শিশু সুরক্ষা, এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মূলত কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করবে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নে এগুলো কাজ করবে। মূলত সংস্থাগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, অঞ্চলভিত্তিক কাভারেজ, কাজ বাস্তবায়নের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, কাজে গতিশীলতা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা, ব্র্যাকের মূল্যবোধের সঙ্গে সমন¦য়ের ভিত্তিতে এসব এনজিওগুলোকে পার্টনার হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

গত  সোমবার ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) কক্সবাজার কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সংস্থাটির  এইচসিএমপি-এর এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক। অন্যান্য সংস্থা থেকে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি-এর আওতাধীন হোস্ট কমিউনিটি কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুল মতিন সরদার, একই কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন) মোজহারুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবু কায়সার। এছাড়া পার্টনার এনজিও থেকে উপস্থিত ছিলেন হেলপ কক্সবাজার-এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, পালস-এর নির্বাহী পরিচালক আবু মুরশেদ চৌধুরী, শেড-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ উমরা ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।   

অনুষ্ঠানে হাসিনা আখতার হক বলেন, ‘এই পার্টনারশিপ কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গতিশীলতা ও গুণগত পরিবর্তন আনার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ^াস করি। এখন কাজটা কিভাবে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, আমাদের সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

তিনি নির্ধারিত সময়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য পার্টনার এনজিওগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আগত পার্টনার এনজিওসমূহগুলোর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা সফলভাবে কাজ বাস্তবায়নে ব্র্যাকের সার্বিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১ , ৩ চৈত্র ১৪২৭ ২ শাবান ১৪৪২

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ছয় এনজিওর সঙ্গে ব্র্যাকের চুক্তি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনতে ছয়টি এনজিওর সঙ্গে পার্টনারশিপ চুক্তি করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এই ছয়টি এনজিওসমূহ হচ্ছে সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, প্রোগ্রাম ফর হেলফলেস অ্যান্ড ল্যাগেড সোসাইটিজ (পালস), অ্যালায়েন্স ফর কো অপারেশন এইডস বাংলাদেশ (অ্যাকলাব), জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা (জেনাস), নোঙর, ও হেলপ-কক্সবাজার।

এই চুক্তির আওতায় এইসব এনজিওসমূহ স্থানীয় উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি, জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নারী, বয়স্ক ও শিশু সুরক্ষা, এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মূলত কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করবে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নে এগুলো কাজ করবে। মূলত সংস্থাগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, অঞ্চলভিত্তিক কাভারেজ, কাজ বাস্তবায়নের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, কাজে গতিশীলতা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা, ব্র্যাকের মূল্যবোধের সঙ্গে সমন¦য়ের ভিত্তিতে এসব এনজিওগুলোকে পার্টনার হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

গত  সোমবার ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) কক্সবাজার কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সংস্থাটির  এইচসিএমপি-এর এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক। অন্যান্য সংস্থা থেকে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি-এর আওতাধীন হোস্ট কমিউনিটি কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুল মতিন সরদার, একই কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন) মোজহারুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবু কায়সার। এছাড়া পার্টনার এনজিও থেকে উপস্থিত ছিলেন হেলপ কক্সবাজার-এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, পালস-এর নির্বাহী পরিচালক আবু মুরশেদ চৌধুরী, শেড-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ উমরা ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।   

অনুষ্ঠানে হাসিনা আখতার হক বলেন, ‘এই পার্টনারশিপ কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গতিশীলতা ও গুণগত পরিবর্তন আনার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ^াস করি। এখন কাজটা কিভাবে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, আমাদের সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

তিনি নির্ধারিত সময়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য পার্টনার এনজিওগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আগত পার্টনার এনজিওসমূহগুলোর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা সফলভাবে কাজ বাস্তবায়নে ব্র্যাকের সার্বিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।