আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। পতনের কারণে সাপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ১২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬৮ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৫ টাকা বা ২৬.৯২ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬২ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪.১৬ পয়েন্ট বা ২.১৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪.৬৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮.০৯ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮০.৭৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২৪৭.৬৮ এবং ২০৭৩.৮৯ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের, কমেছে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির বা ২৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ১৫২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৩ টাকা বা ৫৪.২৮ শতাংশ কম হয়েছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫০.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.১৯ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৩৯.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৬.২০ পয়েন্ট বা ২.৯২ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৮৩ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫০০.৭৬ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৭৫.২৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৩.৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.২২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৭টির বা ১৯.৩২ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬১টির বা ৫৪.৫৮ শতাংশের কমেছে এবং ৭৭টির বা ২৬.১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে (১৪ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইরপিই ছিল ১৭.২৩ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৩ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯০ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.১৮ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭.১৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৮০ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.৭৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৭.২৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫১.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৫৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১৭ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৭৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৪১.১৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫০.৩৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৯.৫৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৩৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৩৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.১৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৬.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে লুব- রেফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৪.৭০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৩.১০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধান কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৬০ টাকা বা ২১.২১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে লুব-রেফ ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১৩.১৫ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ১২.৮৫ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১২.৩৬ শতাংশ, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১১.৮০ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১.৭৪ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১১.৫৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ১১.৫২ শতাংশ, আইডিএলসির ১১.৪৭ শতাংশ এবং ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ১০.৭৬ শতাংশ কমেছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আজিজ পাইপসের। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে আজিজ পাইপসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৭.৫০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১১৭.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০.৪০ টাকা বা ২০.৯২ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে আজিজ পাইপস ডিএসই সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের ১৯.৬৫ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৩.৬৪ শতাংশ, আরামিটের ১৩.০২ শতাংশ, সোনালী আঁশের ১২.২৬ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৯.৮৬ শতাংশ, স্টাইলক্রাফটের ৮.৩৪ শতাংশ, সিলকো ফার্মার ৮.০৪ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ৭.২৮ শতাংশ এবং আনলিমা ইয়ার্নের শেয়ার দর ৭.২৩ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১ , ৬ চৈত্র ১৪২৭ ৫ শাবান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। পতনের কারণে সাপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ১২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬৮ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৫ টাকা বা ২৬.৯২ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬২ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা কম হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪.১৬ পয়েন্ট বা ২.১৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪.৬৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮.০৯ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮০.৭৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২৪৭.৬৮ এবং ২০৭৩.৮৯ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের, কমেছে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির বা ২৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ১৫২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৩ টাকা বা ৫৪.২৮ শতাংশ কম হয়েছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫০.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.১৯ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৩৯.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৬.২০ পয়েন্ট বা ২.৯২ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৮৩ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫০০.৭৬ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৭৫.২৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৩.৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.২২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৭টির বা ১৯.৩২ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬১টির বা ৫৪.৫৮ শতাংশের কমেছে এবং ৭৭টির বা ২৬.১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে (১৪ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইরপিই ছিল ১৭.২৩ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৩ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯০ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.১৮ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭.১৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৮০ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.৭৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৭.২৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫১.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৫৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১৭ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৭৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৪১.১৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৯৩.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫০.৩৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৯.৫৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৩৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৩৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.১৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৬.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে লুব- রেফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৪.৭০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৩.১০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধান কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৬০ টাকা বা ২১.২১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে লুব-রেফ ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১৩.১৫ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ১২.৮৫ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১২.৩৬ শতাংশ, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১১.৮০ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১.৭৪ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১১.৫৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ১১.৫২ শতাংশ, আইডিএলসির ১১.৪৭ শতাংশ এবং ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ১০.৭৬ শতাংশ কমেছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আজিজ পাইপসের। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে আজিজ পাইপসের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৭.৫০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১১৭.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০.৪০ টাকা বা ২০.৯২ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে আজিজ পাইপস ডিএসই সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রহিমা ফুডের ১৯.৬৫ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৩.৬৪ শতাংশ, আরামিটের ১৩.০২ শতাংশ, সোনালী আঁশের ১২.২৬ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৯.৮৬ শতাংশ, স্টাইলক্রাফটের ৮.৩৪ শতাংশ, সিলকো ফার্মার ৮.০৪ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ৭.২৮ শতাংশ এবং আনলিমা ইয়ার্নের শেয়ার দর ৭.২৩ শতাংশ বেড়েছে।