মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ মুজিব আমাদের সব ভালো কাজের অনুপ্রেরণা : অর্থমন্ত্রী

মুজিব জন্মশতবর্ষে জনতা ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে মুজিব কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের ১২ তলায় স্থাপিত মুজিব কর্নার অনলাইনে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ‘মুজিব কর্নার’ স্থাপন করেছে জনতা ব্যাংক। এটা জাতির পিতার প্রতি আমাদের সম্মান। জাতির পিতা মৃত্যুঞ্জয়ী। জাতির পিতা আমাদের সব ভালো কাজের অনুপ্রেরণা। তিনি আমাদের পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম তারই দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করবে এই মুজিব কর্নার। মার্চ মাস ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। এ মাসে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ৭ মাচের্র ভাষণ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও হচ্ছে এ মাসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সব ধরনের অনিয়ম-অপচয় রোধ করে জাতির পিতার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করব। জনতা ব্যাংকে নির্মিত মুজিব কর্নার দেখার জন্য ব্যাংকের অনুরোধের জবাবে তিনি জানান, আপনারা আরও কঠোর পরিশ্রম করুন, ব্যাংকের অবস্থা আরও উন্নত হোক গভর্নর সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে আমি আনন্দচিত্তে জনতা ব্যাংকে যাব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, জনতা ব্যাংকের আমানত ও তারল্য শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এটা আশার কথা। তবে জনতা ব্যাংককে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। ঋণ আদায়ে আরও কঠোর শ্রম দিতে হবে। তাহলে সম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। মূলধন পর্যাপ্ততায়ও ইতবাচক প্রভাব ফেলবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি হিসেবে মুজিব কর্নার নির্মাণ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীলগ্নে এর উদ্বোধন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রধান নির্বাহীদের মাঝে জনতা ব্যাংকেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রধান নির্বাহী রয়েছেন। এটা জনতা ব্যাংকের জন্য সৌভাগ্য।

জনতা ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মুজিব কর্নার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার কেন্দ্র এবং নতুন প্রজন্মের সবার জন্য প্রেরণার একটি প্রতিষ্ঠান যা আলোকিত মানুষ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আগামী মাস থেকে ব্যাংক ভবনের লবিতে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ব্যাংকের প্রবেশপথে একটি ¯িœগ্ধ পরিবেশে সবাই প্রামাণ্যচিত্র দেখতে পাবেন। ব্যাংকটিকে সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করাতে তিনি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জনতা ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দুটি কাজের মধ্যে একটি হলো কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আর অন্যটি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্যাংকে মুজিবকর্নার স্থাপন। বিগত এক বৎসরের কোভিড আক্রান্তের ফলে সারা পৃথিবীর প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেখানে সংকুচিত সেখানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি ও গতিশীল নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।’

সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১ , ৮ চৈত্র ১৪২৭ ৭ শাবান ১৪৪২

জনতা ব্যাংক ভবনে মুজিব কর্নার উদ্বোধন

মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ মুজিব আমাদের সব ভালো কাজের অনুপ্রেরণা : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মুজিব জন্মশতবর্ষে জনতা ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে মুজিব কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের ১২ তলায় স্থাপিত মুজিব কর্নার অনলাইনে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ‘মুজিব কর্নার’ স্থাপন করেছে জনতা ব্যাংক। এটা জাতির পিতার প্রতি আমাদের সম্মান। জাতির পিতা মৃত্যুঞ্জয়ী। জাতির পিতা আমাদের সব ভালো কাজের অনুপ্রেরণা। তিনি আমাদের পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম তারই দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করবে এই মুজিব কর্নার। মার্চ মাস ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। এ মাসে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ৭ মাচের্র ভাষণ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও হচ্ছে এ মাসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সব ধরনের অনিয়ম-অপচয় রোধ করে জাতির পিতার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করব। জনতা ব্যাংকে নির্মিত মুজিব কর্নার দেখার জন্য ব্যাংকের অনুরোধের জবাবে তিনি জানান, আপনারা আরও কঠোর পরিশ্রম করুন, ব্যাংকের অবস্থা আরও উন্নত হোক গভর্নর সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে আমি আনন্দচিত্তে জনতা ব্যাংকে যাব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, জনতা ব্যাংকের আমানত ও তারল্য শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এটা আশার কথা। তবে জনতা ব্যাংককে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। ঋণ আদায়ে আরও কঠোর শ্রম দিতে হবে। তাহলে সম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। মূলধন পর্যাপ্ততায়ও ইতবাচক প্রভাব ফেলবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি হিসেবে মুজিব কর্নার নির্মাণ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীলগ্নে এর উদ্বোধন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রধান নির্বাহীদের মাঝে জনতা ব্যাংকেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রধান নির্বাহী রয়েছেন। এটা জনতা ব্যাংকের জন্য সৌভাগ্য।

জনতা ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মুজিব কর্নার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার কেন্দ্র এবং নতুন প্রজন্মের সবার জন্য প্রেরণার একটি প্রতিষ্ঠান যা আলোকিত মানুষ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আগামী মাস থেকে ব্যাংক ভবনের লবিতে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ব্যাংকের প্রবেশপথে একটি ¯িœগ্ধ পরিবেশে সবাই প্রামাণ্যচিত্র দেখতে পাবেন। ব্যাংকটিকে সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করাতে তিনি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জনতা ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দুটি কাজের মধ্যে একটি হলো কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আর অন্যটি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্যাংকে মুজিবকর্নার স্থাপন। বিগত এক বৎসরের কোভিড আক্রান্তের ফলে সারা পৃথিবীর প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেখানে সংকুচিত সেখানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি ও গতিশীল নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।’