নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ ভোক্তা অধিকারের

রমজান মাসে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখা, পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, পণ্য মজুদের প্রতি নজর রাখাসহ আরও অনেক বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নজর রাখবে বলে জানা গেছে। এসব পদক্ষেপ সঠিক বাস্তবায়ন হলে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের মূল স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দাম বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে- ছোলা, খেজুর, চিনি, ভোজ্যতেল। এছাড়া বেড়েছে চাল, পেঁয়াজ, আলু ও মাংসের দাম। দুই মাসে ধাপে ধাপে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে এবং দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি পণ্যের দাম স্মরণকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় উঠে। প্রতিবছরের মতো এবারও ছাড় দেয়া হলে অসাধুরা সুযোগ নিবে। এতে ভোক্তার বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। তাই অসাধুদের প্রতিরোধ ও নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০-৮৫ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ৭০ টাকা। এ হিসাবে আলোচ্য সময়ে কেজিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। একইভাবে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা দুই মাস আগে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুই মাসে এই পণ্যটির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। রমজানে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে অন্যতম উপাদান চিনি। বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তবে একটু ভালো মানের চিনি বলে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। দুই মাস আগেও এর দাম ছিল ৬৫ টাকা। রমজানের শুরুতে এভাবে দাম বৃদ্ধি হতে শুরু হওয়ায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা।

ভোক্তা অধিকারের পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে জানা গেছে, এসব পদক্ষেপের মধ্যে আটটি পদক্ষেপ হচ্ছে, দেশে আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য গুদাম থেকে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়তা নেয়া, মজুদকৃত পণ্যের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর রাখা, মজুদকৃত পণ্য বাজারে সঠিকভাবে সরবরাহ ও মূল্য যাচাই করতে বিশেষ তদারকি করা, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে বিশেষ নজরদারি, বাজার মনিটরিংয়ে গোয়েন্দা নজর বাড়ানো, রমজানে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রিতে কালোবাজারি রোধে টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালানো ও কেউ অসাধু পথ অবলম্বন করলে করলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যেও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে পণ্যের মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে দাম নিয়ন্ত্রণের ওপর। এটি নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যেন বাজারে দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। এর মাধ্যমে অন্যরাও অসৎ ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। তবে অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে না। অসাধুভাবে কোন ব্যবসায়ী যাতে ভোক্তাকে জিম্মি করে মুনাফা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কৌশল হিসাবে পবিত্র রমজানে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মজুত সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে টিসিবির বিক্রি করা পণ্য-চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা, পেঁয়াজ ক্রয় ও মজুদ পরিস্থিতি শক্তিশালী করার কার্যক্রম চলমান আছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে খোলাবাজারে বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি রমজান উপলক্ষে ১ এপ্রিল থেকে বিশেষভাবে বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেলের বাজার নজরদারি করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ ও বাজার তদারকি করছে। রাজধানীর বাইরে জেলা, থানা ও গ্রামপর্যায়ের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। প্রতিটি বাজারে নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা মূল্য প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করে তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ অবস্থা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসি তথ্য প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকেও। তথ্য সংগ্রহের পর পণ্যভিত্তিক সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা চলছে। রমজানে এ পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে দেশে মজুদ পরিস্থিতি এবং কী পরিমাণে পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করা হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। সে সময় চাহিদার তুলনায় পণ্যের মজুদ বেশি না কম, তা নির্ণয় করা হবে। এর ভিত্তিতে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার বা কমার যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণ বের করে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ , ৯ চৈত্র ১৪২৭ ৮ শাবান ১৪৪২

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ ভোক্তা অধিকারের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

রমজান মাসে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখা, পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, পণ্য মজুদের প্রতি নজর রাখাসহ আরও অনেক বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নজর রাখবে বলে জানা গেছে। এসব পদক্ষেপ সঠিক বাস্তবায়ন হলে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের মূল স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দাম বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে- ছোলা, খেজুর, চিনি, ভোজ্যতেল। এছাড়া বেড়েছে চাল, পেঁয়াজ, আলু ও মাংসের দাম। দুই মাসে ধাপে ধাপে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে এবং দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি পণ্যের দাম স্মরণকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় উঠে। প্রতিবছরের মতো এবারও ছাড় দেয়া হলে অসাধুরা সুযোগ নিবে। এতে ভোক্তার বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। তাই অসাধুদের প্রতিরোধ ও নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০-৮৫ টাকা, যা কিছুদিন আগে ছিল ৭০ টাকা। এ হিসাবে আলোচ্য সময়ে কেজিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। একইভাবে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা দুই মাস আগে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুই মাসে এই পণ্যটির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। রমজানে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে অন্যতম উপাদান চিনি। বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তবে একটু ভালো মানের চিনি বলে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। দুই মাস আগেও এর দাম ছিল ৬৫ টাকা। রমজানের শুরুতে এভাবে দাম বৃদ্ধি হতে শুরু হওয়ায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা।

ভোক্তা অধিকারের পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে জানা গেছে, এসব পদক্ষেপের মধ্যে আটটি পদক্ষেপ হচ্ছে, দেশে আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য গুদাম থেকে সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়তা নেয়া, মজুদকৃত পণ্যের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর রাখা, মজুদকৃত পণ্য বাজারে সঠিকভাবে সরবরাহ ও মূল্য যাচাই করতে বিশেষ তদারকি করা, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে বিশেষ নজরদারি, বাজার মনিটরিংয়ে গোয়েন্দা নজর বাড়ানো, রমজানে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রিতে কালোবাজারি রোধে টিসিবির বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালানো ও কেউ অসাধু পথ অবলম্বন করলে করলে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যেও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে পণ্যের মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে দাম নিয়ন্ত্রণের ওপর। এটি নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যেন বাজারে দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। এর মাধ্যমে অন্যরাও অসৎ ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। তবে অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে না। অসাধুভাবে কোন ব্যবসায়ী যাতে ভোক্তাকে জিম্মি করে মুনাফা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কৌশল হিসাবে পবিত্র রমজানে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মজুত সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে টিসিবির বিক্রি করা পণ্য-চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা, পেঁয়াজ ক্রয় ও মজুদ পরিস্থিতি শক্তিশালী করার কার্যক্রম চলমান আছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে খোলাবাজারে বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি রমজান উপলক্ষে ১ এপ্রিল থেকে বিশেষভাবে বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেলের বাজার নজরদারি করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ ও বাজার তদারকি করছে। রাজধানীর বাইরে জেলা, থানা ও গ্রামপর্যায়ের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। প্রতিটি বাজারে নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা মূল্য প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করে তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ অবস্থা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসি তথ্য প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকেও। তথ্য সংগ্রহের পর পণ্যভিত্তিক সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা চলছে। রমজানে এ পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে দেশে মজুদ পরিস্থিতি এবং কী পরিমাণে পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করা হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। সে সময় চাহিদার তুলনায় পণ্যের মজুদ বেশি না কম, তা নির্ণয় করা হবে। এর ভিত্তিতে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার বা কমার যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণ বের করে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।