পরপর তিন দিন পর উত্থান শেয়ারবাজারে

টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর গতকাল উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজারের। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১২.১৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৪৬ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩২.২৮ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১৩.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩.৯৪ পয়েন্ট, ২০৬৬.৮৬ পয়েন্ট এবং ১১৫৩.৩২ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসই ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮৮টির বা ৫৩.৪১ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৫৬টির বা ১৫.৯১ শতাংশের এবং ১০৮টির বা ৩০.৬৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯১.২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৭৭.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২১৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৯টির আর ৪৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬০টি শেয়ার ৫৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনিলিভারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের।

এছাড়া আর্গন ডেনিমসের ৫ লাখ টাকার, বিবিএস ক্যাবলসের ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ টাকার, সিটি ব্যাংকের ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ৫ লাখ টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ টাকার, ন্যাশনাল টিউবসের ৩৬ লাখ ৮ হাজার টাকার, ওয়ান ব্যাংকের ৩৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬টির বা ১৫.৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে জিবিবি পাওয়ারের। গত রোববার জিবিবি পাওয়ারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৮.৮০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৪.৩১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে জিবিবি পাওয়ার ডিএসইর টপটেন লুজারের শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জুট স্পিনার্সের ৩.৬৫ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৭৩ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনের ২.৭০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ২.৫১ শতাংশ, বিআইএফসির ২.৪৩ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ২.৩৯ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ২.১৪ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১.৭৭ শতাংশ এবং মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের শেয়ার দর ১.৭৪ শতাংশ কমেছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তর পর লেনদেনের প্রথম দিনই শেয়ার দর বেড়ে শীর্ষে উঠেছে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। আর প্রথম দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.২০ টাকা বা ৩২ শতাংশ বেড়ে ১৩.২০ টাকায় দাঁড়ায়। এর মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ডিএসইতে গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ৯.৫২ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ৯.০৯ শতাংশ, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের ৮.৮০ শতাংশ, আমান কটনের ৮.১৩ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৮.১২ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫১ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৬.২৫ শতাংশ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৬.১২ শতাংশ এবং আরামিটের শেয়ার দর ৬.০২ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংক চালু থাকলে শেয়ারবাজারও

চালু থাকবে : বিএসইসি

করোনা মহামারীকালসহ যেকোন সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে শেয়ারবাজারের লেনদেন অব্যাহতভাবে চালু থাকবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসি এ তথ্য জানিয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীকালসহ যেকোন সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারবাজারের সব লেনদেন যথাবিহিত অব্যাহতভাবে চালু থাকবে। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কোন রকম গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ , ৯ চৈত্র ১৪২৭ ৮ শাবান ১৪৪২

পরপর তিন দিন পর উত্থান শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিকব বার্তা পরিবেশক

image

টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর গতকাল উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজারের। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১২.১৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯.৪৬ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩২.২৮ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১৩.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩.৯৪ পয়েন্ট, ২০৬৬.৮৬ পয়েন্ট এবং ১১৫৩.৩২ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসই ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮৮টির বা ৫৩.৪১ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৫৬টির বা ১৫.৯১ শতাংশের এবং ১০৮টির বা ৩০.৬৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯১.২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৭৭.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২১৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৯টির আর ৪৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৩২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬০টি শেয়ার ৫৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনিলিভারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের।

এছাড়া আর্গন ডেনিমসের ৫ লাখ টাকার, বিবিএস ক্যাবলসের ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ টাকার, সিটি ব্যাংকের ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ৫ লাখ টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ টাকার, ন্যাশনাল টিউবসের ৩৬ লাখ ৮ হাজার টাকার, ওয়ান ব্যাংকের ৩৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, রানার অটোমোবাইলসের ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬টির বা ১৫.৯১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে জিবিবি পাওয়ারের। গত রোববার জিবিবি পাওয়ারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৮.৮০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৪.৩১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে জিবিবি পাওয়ার ডিএসইর টপটেন লুজারের শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জুট স্পিনার্সের ৩.৬৫ শতাংশ, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৭৩ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনের ২.৭০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ২.৫১ শতাংশ, বিআইএফসির ২.৪৩ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ২.৩৯ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ২.১৪ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১.৭৭ শতাংশ এবং মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের শেয়ার দর ১.৭৪ শতাংশ কমেছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তর পর লেনদেনের প্রথম দিনই শেয়ার দর বেড়ে শীর্ষে উঠেছে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। আর প্রথম দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.২০ টাকা বা ৩২ শতাংশ বেড়ে ১৩.২০ টাকায় দাঁড়ায়। এর মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ডিএসইতে গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ৯.৫২ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ৯.০৯ শতাংশ, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের ৮.৮০ শতাংশ, আমান কটনের ৮.১৩ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৮.১২ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫১ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৬.২৫ শতাংশ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৬.১২ শতাংশ এবং আরামিটের শেয়ার দর ৬.০২ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংক চালু থাকলে শেয়ারবাজারও

চালু থাকবে : বিএসইসি

করোনা মহামারীকালসহ যেকোন সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে শেয়ারবাজারের লেনদেন অব্যাহতভাবে চালু থাকবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসি এ তথ্য জানিয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীকালসহ যেকোন সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে শেয়ারবাজারের সব লেনদেন যথাবিহিত অব্যাহতভাবে চালু থাকবে। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কোন রকম গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।