এনটিভিতে কাল ‘অদৃশ্যপট’

হাসান রেজাউল নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘অদৃশ্যপট’। নাটকটি রচনা করেছেন মাসুম মাহমুদ। এতে অভিনয়ে করেছেন- এফ এস নাঈম, জাকিয়া বারী মম, এজাজ বারী, জেরিন কাশফী, রাজকুমার, ফারহানা প্রিয়া, বাশার বাপ্পী ও অনেকে। ২৪ মে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে।

নাটকের গল্পে- নাম রিদওয়ান একজন সিজোফ্রেনিয়া পেশেন্ট। কিন্তু তাকে দেখলেই সেটা বুঝা যায় যায় না। রিদওয়ান তার কল্পনার মেয়েটিকে আঁকে। তুলির শেষ আঁচড় দিয়ে ছবিটায় গভীর মনোযোগে তাকায়। ছবি থেকে বেরিয়ে আসে ছবির মানুষটা। অদ্ভূত মুগ্ধতা নিয়ে সে প্রশ্ন করে, ‘কি দেখছো অমন করে?’ ‘তোমাকে। ’ বলে রিদওয়ান।

ছবিটায় হাত রেখে মেয়েটি বলে, ‘আমার কি নাম দেবে ভাবলে?’ সমুখে অদৃশ্যে তাকিয়ে রিদওয়ান উত্তর দেয়, ‘অদৃশ্যা। তুমি অদৃশ্যে ছিলে। আমার চৈতন্যে, কল্পনা জুড়ে। আজ তুলির আঁচড়ে তোমায় রূপ দিয়েছি।’

অদৃশ্যা বলে, ‘কি আমাদের সম্পর্ক?’ রিদওয়ান হাসে। বলে, বন্ধু তুমি, প্রেমিকা, কখনো বউ। মাঝেমধ্যে রিদওয়ানের কল্পনাকে ঘিরে সে আসে। কখনো বন্ধু হয়ে, কখনো

প্রেমিকা বা স্ত্রীরূপে। রিদওয়ানের এমন কর্মকা-ের সাক্ষী তার সমবয়সী কাজিন লিজা। সে ভাই ভাবীর সংসারে থাকে। রিদওয়ানকে ভালোবাসে। নিজের করে পেতে চায়। এটা কাউকেই বুঝতে দেয় না। একদিন রাস্তায় হাঁটছে রিদওয়ান। হঠাৎ দেখে অবিকল অদৃশ্যার মতো একটি মেয়ে বাচ্চাসহ স্বামীর সঙ্গে হাঁটছে। দেখেই মেয়েটির কাছে দৌড়ে যায় সে। মেয়েটির নাম তটিনী। তটিনীর কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে বলে, ‘তুমি তো আমার, ওরা কে তোমার সঙ্গে? তুমি আর কারো হতে পারো না।’ মেয়েটি স্বামীর সামনে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে। মেয়েটির স্বামীর ওপর রিদওয়ান রীতিমতো হাত উঠায়। অপ্রীতিক এ ঘটনার পর থেকেই রিদওয়ান অনেকটা সাইলেন্স হয়ে যায়। তার ভেতরের তুমুল কষ্টটা সে রংয়ের খেলায় প্রকাশ করে। এভাবে করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গল্প এগিয়ে যায় এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দিকে, যা প্রত্যশা কেউ করেনি হয়তো।

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

এনটিভিতে কাল ‘অদৃশ্যপট’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

হাসান রেজাউল নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘অদৃশ্যপট’। নাটকটি রচনা করেছেন মাসুম মাহমুদ। এতে অভিনয়ে করেছেন- এফ এস নাঈম, জাকিয়া বারী মম, এজাজ বারী, জেরিন কাশফী, রাজকুমার, ফারহানা প্রিয়া, বাশার বাপ্পী ও অনেকে। ২৪ মে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে।

নাটকের গল্পে- নাম রিদওয়ান একজন সিজোফ্রেনিয়া পেশেন্ট। কিন্তু তাকে দেখলেই সেটা বুঝা যায় যায় না। রিদওয়ান তার কল্পনার মেয়েটিকে আঁকে। তুলির শেষ আঁচড় দিয়ে ছবিটায় গভীর মনোযোগে তাকায়। ছবি থেকে বেরিয়ে আসে ছবির মানুষটা। অদ্ভূত মুগ্ধতা নিয়ে সে প্রশ্ন করে, ‘কি দেখছো অমন করে?’ ‘তোমাকে। ’ বলে রিদওয়ান।

ছবিটায় হাত রেখে মেয়েটি বলে, ‘আমার কি নাম দেবে ভাবলে?’ সমুখে অদৃশ্যে তাকিয়ে রিদওয়ান উত্তর দেয়, ‘অদৃশ্যা। তুমি অদৃশ্যে ছিলে। আমার চৈতন্যে, কল্পনা জুড়ে। আজ তুলির আঁচড়ে তোমায় রূপ দিয়েছি।’

অদৃশ্যা বলে, ‘কি আমাদের সম্পর্ক?’ রিদওয়ান হাসে। বলে, বন্ধু তুমি, প্রেমিকা, কখনো বউ। মাঝেমধ্যে রিদওয়ানের কল্পনাকে ঘিরে সে আসে। কখনো বন্ধু হয়ে, কখনো

প্রেমিকা বা স্ত্রীরূপে। রিদওয়ানের এমন কর্মকা-ের সাক্ষী তার সমবয়সী কাজিন লিজা। সে ভাই ভাবীর সংসারে থাকে। রিদওয়ানকে ভালোবাসে। নিজের করে পেতে চায়। এটা কাউকেই বুঝতে দেয় না। একদিন রাস্তায় হাঁটছে রিদওয়ান। হঠাৎ দেখে অবিকল অদৃশ্যার মতো একটি মেয়ে বাচ্চাসহ স্বামীর সঙ্গে হাঁটছে। দেখেই মেয়েটির কাছে দৌড়ে যায় সে। মেয়েটির নাম তটিনী। তটিনীর কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে বলে, ‘তুমি তো আমার, ওরা কে তোমার সঙ্গে? তুমি আর কারো হতে পারো না।’ মেয়েটি স্বামীর সামনে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে। মেয়েটির স্বামীর ওপর রিদওয়ান রীতিমতো হাত উঠায়। অপ্রীতিক এ ঘটনার পর থেকেই রিদওয়ান অনেকটা সাইলেন্স হয়ে যায়। তার ভেতরের তুমুল কষ্টটা সে রংয়ের খেলায় প্রকাশ করে। এভাবে করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গল্প এগিয়ে যায় এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দিকে, যা প্রত্যশা কেউ করেনি হয়তো।