আমেরিকান ডিগ্রি লাভ করলেন শ্রাবন্তী

আমেরিকান ডিগ্রি লাভ করলেন ঈপশিতা শ্রাবন্তী। আমেরিকার নিউইয়র্কের জামাইকা’তে অবস্থিত ‘অ্যালেন স্কুল অব হেলথ সাইন্সেস’ থেকে তিনি নয় মাস’র মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট কোর্স সম্পন্ন করার পর গত ২১ মে শ্রাবন্তী স্কুলটি থেকে সার্টফিকেট লাভ করেন। এই অর্জনের খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও গত ২১ মে রাতে শেয়ার করেন শ্রাবন্তী। মুঠোফোনে আমেরিকার ব্রুকলেন থেকে শ্রাবন্তী তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে কী যে সময়টাতে আমি মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম, সেই সময়টাতেই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আমাকে আমেরিকাতে সম্মানের সঙ্গে থাকতে হলে ভালো একটা কিছু করতে হবে। সেই সময়েই আসলে এই কোর্সটি করার সিদ্ধান্ত নেই। সেই সময় আমার দুই কন্যা’কে লালন পালন করা, নিজের সংসারের সবকিছু সামাল দিয়ে এই কোর্সটি করা আমার জন্য অনেক কষ্টের হলেও আমি সব মেনে নিয়েই কোর্সটি করেছি। এর মধ্যে আম্মুকেও হারালাম। সব মিলিয়ে কষ্টেও ছিলাম। অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছেন। কিন্তু অনেক বেশি মানুষ আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় সুবর্ণা মুস্তাফা আপা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, যে কারণে আরো বেশি সাহস নিয়ে কোর্সটি করেছি আমি। যারা আমার পাশে থেকেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভালোলাগছে এই ভেবে যে আমেরিকায় এখন বেশ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারবো। আমার দুই সন্তানের ভবিষ্যতটাও বেশ ভালোভাবে গড়তে পারব-ইনশাআল্লাহ।’

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

আমেরিকান ডিগ্রি লাভ করলেন শ্রাবন্তী

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

আমেরিকান ডিগ্রি লাভ করলেন ঈপশিতা শ্রাবন্তী। আমেরিকার নিউইয়র্কের জামাইকা’তে অবস্থিত ‘অ্যালেন স্কুল অব হেলথ সাইন্সেস’ থেকে তিনি নয় মাস’র মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট কোর্স সম্পন্ন করার পর গত ২১ মে শ্রাবন্তী স্কুলটি থেকে সার্টফিকেট লাভ করেন। এই অর্জনের খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও গত ২১ মে রাতে শেয়ার করেন শ্রাবন্তী। মুঠোফোনে আমেরিকার ব্রুকলেন থেকে শ্রাবন্তী তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে কী যে সময়টাতে আমি মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম, সেই সময়টাতেই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আমাকে আমেরিকাতে সম্মানের সঙ্গে থাকতে হলে ভালো একটা কিছু করতে হবে। সেই সময়েই আসলে এই কোর্সটি করার সিদ্ধান্ত নেই। সেই সময় আমার দুই কন্যা’কে লালন পালন করা, নিজের সংসারের সবকিছু সামাল দিয়ে এই কোর্সটি করা আমার জন্য অনেক কষ্টের হলেও আমি সব মেনে নিয়েই কোর্সটি করেছি। এর মধ্যে আম্মুকেও হারালাম। সব মিলিয়ে কষ্টেও ছিলাম। অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছেন। কিন্তু অনেক বেশি মানুষ আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় সুবর্ণা মুস্তাফা আপা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, যে কারণে আরো বেশি সাহস নিয়ে কোর্সটি করেছি আমি। যারা আমার পাশে থেকেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভালোলাগছে এই ভেবে যে আমেরিকায় এখন বেশ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারবো। আমার দুই সন্তানের ভবিষ্যতটাও বেশ ভালোভাবে গড়তে পারব-ইনশাআল্লাহ।’