খাল খননে অনিয়ম-দুর্নীতি

ডুমুরিয়া উপজেলা পানি-উনন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিক্সটি ফোর জেলা প্রকল্পের ৩৪ লাখ টাকার বরাদ্দ খালটি খননে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী হতে মাটি কাটা হচ্ছে দেখে স্থানিয় জনতা খাল খনন কাজে বাঁধা দিয়েছে। নিয়ম নিতি মেনে কাজ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ১৯-২০ অর্থবছরে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ২৬ নং পোল্ডারের খানাবারিয়া নদীটি পূন-খনন কাজের জন্য সিক্সটি ফোর প্রকল্পের বরাদ্ধ ৪ কিলোমিটার ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম বছর মাত্র ২ কিলো খনন কাজ শেষ করেন বাকি কাজ চলতি বছরে খনন শুরু করেন ঠিকাদার সামিম। খনন স্থানে তদারকি লোক না থাকায় বেকু মেশিন ড্রাইভার তার ইচ্ছায় কাজ পরিচালনা করছেন। যে কারণে কাজের গুনাগত মানে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখে যায়, ওই এলাকার কিছ লোক প্রতিবাদের ঝর তোলে। গাবতলা বাজারের ব্যাবসায়ী বাশার খান বলেন, বেকু মেশিন ব্যাবহার না করে পানি ভরাট নদী থেকে কিছু লিভার দিয়ে পলিমাটি তুলে খনন কাজ করছে মাত্র ১ ফুট ডিপ করে। যে কারণে স্থানিয় জনগণ প্রতিবাদ করছে। কিন্তু থেমে নেই তাদের খনন কাজ। পানির নিচু থেকে খনন চলমান। লিভার সরদার উজির আলী বলেন, ওই এলাকার কুদ্দুজ এর ছেলে মনজু ও ইউনুজ আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন ক্লাবের কথা বলে। না দেয়ায় চক্রান্ত করে আমার কাজে বাধা ও কাজের বদ্ধনাম করছে।

এব্যাপারে পানি উনন্নয়ন বোর্ড এস ও হাসনাত আলী বলেন খালের পানি সেচ করে দেওয়ার কোনো জায়গা পাওয়া যায়নি। তবে সিডিউল অনুযায় কাজ করা হবে তা না করলে কোন বিল হবে না এবং সেখানে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করানো হবে তা না হলে খননে বাঁধা হচ্ছে। নদী খননে কিছু কিছু স্থানে কমবেশি ডিপ হবে ৩ ফুট, তলি ৩২ ফুট আর মূখ নিধারন করা নেই। ঠিকাদার সামিম বলেন, আমার ছোট খাটো কাজ দেখার সমায় নেই, আপনি এস ও হাসনাতের সঙ্গে কথা বলেন উনি খনন কাজ করাচ্ছেন।

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

খাল খননে অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রতিনিধি, ডুমুরিয়া (খুলনা)

ডুমুরিয়া উপজেলা পানি-উনন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিক্সটি ফোর জেলা প্রকল্পের ৩৪ লাখ টাকার বরাদ্দ খালটি খননে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী হতে মাটি কাটা হচ্ছে দেখে স্থানিয় জনতা খাল খনন কাজে বাঁধা দিয়েছে। নিয়ম নিতি মেনে কাজ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ১৯-২০ অর্থবছরে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ২৬ নং পোল্ডারের খানাবারিয়া নদীটি পূন-খনন কাজের জন্য সিক্সটি ফোর প্রকল্পের বরাদ্ধ ৪ কিলোমিটার ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম বছর মাত্র ২ কিলো খনন কাজ শেষ করেন বাকি কাজ চলতি বছরে খনন শুরু করেন ঠিকাদার সামিম। খনন স্থানে তদারকি লোক না থাকায় বেকু মেশিন ড্রাইভার তার ইচ্ছায় কাজ পরিচালনা করছেন। যে কারণে কাজের গুনাগত মানে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখে যায়, ওই এলাকার কিছ লোক প্রতিবাদের ঝর তোলে। গাবতলা বাজারের ব্যাবসায়ী বাশার খান বলেন, বেকু মেশিন ব্যাবহার না করে পানি ভরাট নদী থেকে কিছু লিভার দিয়ে পলিমাটি তুলে খনন কাজ করছে মাত্র ১ ফুট ডিপ করে। যে কারণে স্থানিয় জনগণ প্রতিবাদ করছে। কিন্তু থেমে নেই তাদের খনন কাজ। পানির নিচু থেকে খনন চলমান। লিভার সরদার উজির আলী বলেন, ওই এলাকার কুদ্দুজ এর ছেলে মনজু ও ইউনুজ আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন ক্লাবের কথা বলে। না দেয়ায় চক্রান্ত করে আমার কাজে বাধা ও কাজের বদ্ধনাম করছে।

এব্যাপারে পানি উনন্নয়ন বোর্ড এস ও হাসনাত আলী বলেন খালের পানি সেচ করে দেওয়ার কোনো জায়গা পাওয়া যায়নি। তবে সিডিউল অনুযায় কাজ করা হবে তা না করলে কোন বিল হবে না এবং সেখানে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করানো হবে তা না হলে খননে বাঁধা হচ্ছে। নদী খননে কিছু কিছু স্থানে কমবেশি ডিপ হবে ৩ ফুট, তলি ৩২ ফুট আর মূখ নিধারন করা নেই। ঠিকাদার সামিম বলেন, আমার ছোট খাটো কাজ দেখার সমায় নেই, আপনি এস ও হাসনাতের সঙ্গে কথা বলেন উনি খনন কাজ করাচ্ছেন।