সিনোফার্মের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

দেশে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্র্থী অনন্যা সালাম সমতা প্রথম এই ভ্যাকসিন নেন।

চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে প্রয়োগ করা হয়েছে এই টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ৫০১ জনের কারও কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

টিকা দেয়া চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সিনোফার্মের এই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ৫০১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪৬ জন এবং নারী ২৫৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৭১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ১৩০ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজে ৪৩ জন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ১৫৭ জন এই টিকা নিয়েছেন।

ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, চীন সরকারের দেয়া করোনার পাঁচ লাখ টিকা পেয়েছি, যা আড়াই লাখ মানুষকে দেয়া হবে। জুন থেকে আমরা আরও বেশি মানুষকে টিকা দিতে পারব।

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত অবস্থায় আছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুন থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে তিন চালানে এই টিকা আসবে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ কথা জানান।

উদ্বোধনের পর শাহীন আহমেদ ও নিয়ামুল হক নামে আরও দুইজনকে টিকা দেয়া হয়। এদিন আরও ২৫৭ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।

মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাড়াও আরও তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজের এক হাজার শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিকা দেয়া হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে গতকাল এই টিকা দেয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চীনের টিকার প্রথম ডোজ নেন শিক্ষার্থী সমতা। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ সেশনের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী। প্রথম টিকা নেয়ার বিষয়ে সমতা বলেন, টিকা নেয়ার পর ভয়টা কেটে গেছে। আশা করছি, হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় পুরনো কার্যক্রমে ফিরে যাব। করোনাকালীন পুরো সময়টা আমরা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে রোগীদের কাছাকাছি ছিলাম।

সমতা বলেন, আগমী এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। তবে এসএমএস-এর মাধ্যমে ও কলেজ থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি উল্লিখিত কথাগুলো গতকাল ঢামেক অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে চীনের টিকা নেয়ার পর সংবাদকে জানান।

শাহীন আহমেদ নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী গতকাল ঢামেক প্রাঙ্গণে চীনের টিকা নেয়ার পর সংবাদকে জানান, টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়নি, শরীরে ব্যথা অনুভব হয়নি। সুস্থ আছি। ভ্যাকসিন নিলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ রকম কমপ্লিকেশন আমার শরীরে দেখা দেয়নি। আল্লাহর রহমতে এখনও ভালো আছি।

আমি যেহেতু ভ্যাকসিন নিয়েছি তাই সামনে কাজ করতে সুবিধা। হাসপাতালে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে যেতে হবে। চীনের টিকা নেয়ার পর ভয়টা কেটে গেছে। তাছাড়া টিকা নেয়ার পর আশা করি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। স্বস্তি পেলাম। একথাগুলো চীনের টিকা নেয়া ঢামেক এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মোল্লা নিয়ামুল হকের।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা প্রতিরোধ টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে ১৭১ জন ঢামেক মেডিকেল শিক্ষার্র্থীকে চীনের টিকা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর দেয়া শুরু হবে। তবে নির্ধারিত তারিখ ঢামেক অফিস থেকে টিকা গ্রহণকারীদের জানিয়ে দেয়া হবে। আর ঢামেক টিকা কেন্দ্রে রাজধানীর আটটি মেডিকেল কলেজের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সিকদার মেডিকেল কলজ, বারডেম মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে টিকা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ’র মহাসচিব এমএ আজিজ, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রমুখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ১৭১ জন শিক্ষার্র্থী চীনের টিকা গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে সব সরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মুখসারির কর্মীদের টিকা দেয়া হবে।

গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার দেয় চীন। সেই টিকা থেকে গতকাল টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়া, চীন থেকে টিকা কিনবে বাংলাদেশ। সে সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চীনের এই ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে চীন সরকারের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হলো।

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

সিনোফার্মের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

খন্দকার জাফর আহমদ

image

দেশে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্র্থী অনন্যা সালাম সমতা প্রথম এই ভ্যাকসিন নেন।

চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে প্রয়োগ করা হয়েছে এই টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ৫০১ জনের কারও কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

টিকা দেয়া চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সিনোফার্মের এই টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ৫০১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪৬ জন এবং নারী ২৫৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৭১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ১৩০ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজে ৪৩ জন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ১৫৭ জন এই টিকা নিয়েছেন।

ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, চীন সরকারের দেয়া করোনার পাঁচ লাখ টিকা পেয়েছি, যা আড়াই লাখ মানুষকে দেয়া হবে। জুন থেকে আমরা আরও বেশি মানুষকে টিকা দিতে পারব।

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত অবস্থায় আছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুন থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে তিন চালানে এই টিকা আসবে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ কথা জানান।

উদ্বোধনের পর শাহীন আহমেদ ও নিয়ামুল হক নামে আরও দুইজনকে টিকা দেয়া হয়। এদিন আরও ২৫৭ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।

মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাড়াও আরও তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজের এক হাজার শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিকা দেয়া হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে গতকাল এই টিকা দেয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চীনের টিকার প্রথম ডোজ নেন শিক্ষার্থী সমতা। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ সেশনের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী। প্রথম টিকা নেয়ার বিষয়ে সমতা বলেন, টিকা নেয়ার পর ভয়টা কেটে গেছে। আশা করছি, হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় পুরনো কার্যক্রমে ফিরে যাব। করোনাকালীন পুরো সময়টা আমরা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে রোগীদের কাছাকাছি ছিলাম।

সমতা বলেন, আগমী এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। তবে এসএমএস-এর মাধ্যমে ও কলেজ থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার নির্ধারিত তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি উল্লিখিত কথাগুলো গতকাল ঢামেক অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে চীনের টিকা নেয়ার পর সংবাদকে জানান।

শাহীন আহমেদ নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী গতকাল ঢামেক প্রাঙ্গণে চীনের টিকা নেয়ার পর সংবাদকে জানান, টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়নি, শরীরে ব্যথা অনুভব হয়নি। সুস্থ আছি। ভ্যাকসিন নিলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ রকম কমপ্লিকেশন আমার শরীরে দেখা দেয়নি। আল্লাহর রহমতে এখনও ভালো আছি।

আমি যেহেতু ভ্যাকসিন নিয়েছি তাই সামনে কাজ করতে সুবিধা। হাসপাতালে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে যেতে হবে। চীনের টিকা নেয়ার পর ভয়টা কেটে গেছে। তাছাড়া টিকা নেয়ার পর আশা করি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। স্বস্তি পেলাম। একথাগুলো চীনের টিকা নেয়া ঢামেক এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মোল্লা নিয়ামুল হকের।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা প্রতিরোধ টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে ১৭১ জন ঢামেক মেডিকেল শিক্ষার্র্থীকে চীনের টিকা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর দেয়া শুরু হবে। তবে নির্ধারিত তারিখ ঢামেক অফিস থেকে টিকা গ্রহণকারীদের জানিয়ে দেয়া হবে। আর ঢামেক টিকা কেন্দ্রে রাজধানীর আটটি মেডিকেল কলেজের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সিকদার মেডিকেল কলজ, বারডেম মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে টিকা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ’র মহাসচিব এমএ আজিজ, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক প্রমুখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ১৭১ জন শিক্ষার্র্থী চীনের টিকা গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে সব সরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মুখসারির কর্মীদের টিকা দেয়া হবে।

গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার দেয় চীন। সেই টিকা থেকে গতকাল টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়া, চীন থেকে টিকা কিনবে বাংলাদেশ। সে সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চীনের এই ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে চীন সরকারের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হলো।