প্রান্তিকজনের বাজেট ভাবনা

জিনিসপত্রের দাম কমানো হোক রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন

বাজেট নিয়ে নিজের কোন ভাবনা নেই কুমিল্লার রিকশাচালক শাহাবুদ্দিনের। তবে বাজেটে জিনিপত্রের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গরিব মানুষের আবার বাজেট ভাবনা কী? বাজেট বড় লোকের ব্যাপার। তবে আমাদের মতো গরিব মানুষের বড় চাওয়া হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম কমানো। তবেই আমরা যা আয় করি তা দিয়ে ভালোভাবে মুঠো ভাত খেয়ে দিন কাটাতে পারব।

জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদে ঘামে নাকাল রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন, চেহারাজুড়ে হতাশা ও ক্লান্তির ছাপ। কুমিল্লার তেলিকানা মোড়ে সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে গামছা দিয়ে কপালের ঘাম মুছছেন এবং যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি এসব কথা বলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর কাটাবিল এলাকার হতদরিদ্র আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৩৫)। পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে প্রাইমারির গ-িও পেরোতে পারেননি তিনি। সংসারে স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন রিকশা চালানো। এ রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে পরিবারের ভরন-পোষণের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। নিরুপায় হয়ে তার স্ত্রীও কুমিল্লা ইপিজেডে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। বাজেটের কাছে তার চাওয়া কী জানতে চাইলে রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময়ে চাল-তেলের দাম কমবে বলা হয়, কিন্তু কখনও দাম কমেনি। তাই বাজেটের চিন্তা করে আমাদের লাভ নেই।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাজেট দিয়ে তো আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। আজ যদি রিকশা না চালাই, আর আমার বউ যদি ইপিজেডে কাজ না করে তাহলে আমাদের ঘরে খাওন জুটব না। তাহলে বাজেট দিয়ে আমি কি করমু।’

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

প্রান্তিকজনের বাজেট ভাবনা

জিনিসপত্রের দাম কমানো হোক রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন

জাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা

image

বাজেট নিয়ে নিজের কোন ভাবনা নেই কুমিল্লার রিকশাচালক শাহাবুদ্দিনের। তবে বাজেটে জিনিপত্রের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গরিব মানুষের আবার বাজেট ভাবনা কী? বাজেট বড় লোকের ব্যাপার। তবে আমাদের মতো গরিব মানুষের বড় চাওয়া হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম কমানো। তবেই আমরা যা আয় করি তা দিয়ে ভালোভাবে মুঠো ভাত খেয়ে দিন কাটাতে পারব।

জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদে ঘামে নাকাল রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন, চেহারাজুড়ে হতাশা ও ক্লান্তির ছাপ। কুমিল্লার তেলিকানা মোড়ে সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে গামছা দিয়ে কপালের ঘাম মুছছেন এবং যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে সংবাদকে তিনি এসব কথা বলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর কাটাবিল এলাকার হতদরিদ্র আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৩৫)। পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে প্রাইমারির গ-িও পেরোতে পারেননি তিনি। সংসারে স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন রিকশা চালানো। এ রিকশা চালিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে পরিবারের ভরন-পোষণের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। নিরুপায় হয়ে তার স্ত্রীও কুমিল্লা ইপিজেডে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। বাজেটের কাছে তার চাওয়া কী জানতে চাইলে রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময়ে চাল-তেলের দাম কমবে বলা হয়, কিন্তু কখনও দাম কমেনি। তাই বাজেটের চিন্তা করে আমাদের লাভ নেই।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাজেট দিয়ে তো আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। আজ যদি রিকশা না চালাই, আর আমার বউ যদি ইপিজেডে কাজ না করে তাহলে আমাদের ঘরে খাওন জুটব না। তাহলে বাজেট দিয়ে আমি কি করমু।’