বৈদেশিক সহায়তা : দশ মাসে ৬৫ শতাংশ অর্থ ছাড়

মেট্রো রেলে প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৮ জনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা হিসেবে দাতাদের প্রতিশ্রুতি অর্থের মধ্যে থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে যতটুকু ছাড় করা হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রার ৬৫ শতাংশ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বৈদেশিক খাত থেকে ৭৪১ কোটি ডলার বা ৬৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৪৮১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে।

এর মধ্যে ৪৬৭ কোটি ৭১ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে, বাকি ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন ধারার একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে অর্থবছরের প্রথম দিকে গতি বাড়াতে না পারা। শেষ দিকে এসে গতি বাড়ায়।

আবার অনেক সময় অনেক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে গেলেও অর্থছাড় পিছিয়ে পড়ে। শেষ দিকে এসে কাজের গতি এবং অর্থছাড়ের গতি বেড়ে যায়। সে হিসেবে বাকি দুই মাসে কাজের গতি এবং অর্থ ছাড় বৃদ্ধি পেয়ে লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি যাবে বলে আমার মনে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ১২৯ কোটি ডলারের বেশি ছাড় করেছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। বিশ্বব্যাংক করেছে ৯৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ছাড় করেছে ৭৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। রাশিয়া ছাড় করেছে ৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। চীন ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং প্রতিবেশী ভারত ছাড় করেছে ৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশ মাসে দাতাসংস্থা ও দেশ মিলে নতুন করে আরও ৫২৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার ঋণ হিসেবে এবং ৫৯ কোটি ৩১ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত দশ মাসের প্রতিশ্রুতি ছিল ৩৭৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

এদিকে এই দশ মাসে দাতাদের পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে বাংলাদেশ ঋণ ও আসল হিসেবে পরিশোধ করেছে ১৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে ৪২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং আসল হিসেবে ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে দাতাদের কাছে পরিশোধ করেছিল ১০৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২

বৈদেশিক সহায়তা : দশ মাসে ৬৫ শতাংশ অর্থ ছাড়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মেট্রো রেলে প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৮ জনের হিসাবে ব্যস্ততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা হিসেবে দাতাদের প্রতিশ্রুতি অর্থের মধ্যে থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে যতটুকু ছাড় করা হয়েছে, তা লক্ষ্যমাত্রার ৬৫ শতাংশ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে বৈদেশিক খাত থেকে ৭৪১ কোটি ডলার বা ৬৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৪৮১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে।

এর মধ্যে ৪৬৭ কোটি ৭১ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে, বাকি ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন ধারার একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে অর্থবছরের প্রথম দিকে গতি বাড়াতে না পারা। শেষ দিকে এসে গতি বাড়ায়।

আবার অনেক সময় অনেক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে গেলেও অর্থছাড় পিছিয়ে পড়ে। শেষ দিকে এসে কাজের গতি এবং অর্থছাড়ের গতি বেড়ে যায়। সে হিসেবে বাকি দুই মাসে কাজের গতি এবং অর্থ ছাড় বৃদ্ধি পেয়ে লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি যাবে বলে আমার মনে হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ১২৯ কোটি ডলারের বেশি ছাড় করেছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। বিশ্বব্যাংক করেছে ৯৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ছাড় করেছে ৭৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। রাশিয়া ছাড় করেছে ৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। চীন ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং প্রতিবেশী ভারত ছাড় করেছে ৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশ মাসে দাতাসংস্থা ও দেশ মিলে নতুন করে আরও ৫২৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার ঋণ হিসেবে এবং ৫৯ কোটি ৩১ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত দশ মাসের প্রতিশ্রুতি ছিল ৩৭৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

এদিকে এই দশ মাসে দাতাদের পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে বাংলাদেশ ঋণ ও আসল হিসেবে পরিশোধ করেছে ১৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে ৪২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং আসল হিসেবে ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে দাতাদের কাছে পরিশোধ করেছিল ১০৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার।