শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চান ময়মনসিংহবাসী

আসন্ন বাজেট নিয়ে ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ার পর এ অঞ্চলের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে বেকারত্ব দূরীকরণ, নগরীর রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঢাকার সঙ্গে ডবল লাইনের দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন যোগাযোগসহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন যোগাযোগের উন্নয়ন, নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে এর দুই তীরে শহর সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং পর্যটন সম্ভাবনার অঞ্চল হিসেবে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা। এছাড়া বিভাগীয় কার্যালয় সমূহের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করে বিভাগ গঠনের স্বাদ গ্রহণ করবে। কিন্তু এ পাঁচ বছরে এর কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। বিগত সময়ে জাতীয় বাজেটের এর কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন এ অঞ্চলের সুশীল সমাজ ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা দরকার যা প্রতিটি বিভাগে ও অনেক জেলায় রয়েছে। এ অর্থনৈতিক জোনে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে এ এলাকার বেকারত্ব দূর হবে। আর এই সঙ্গে এ বিভাগে একটি ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট দরকার যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছন্দে যোগাযেযাগ করতে পারবে। এছাড়ও এ অঞ্চলের হালুয়াঘাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ইমেগ্রেশন চালু করার অনুমোদন ও অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উনয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।

ময়মনসিংহ সুশীল সমাজের নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত এবারের বাজেটে অবহেলিত ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের আশা প্রকাশ করে বলেন, ময়মনসিংহ একটি কৃষিসমৃদ্ধ এলাকা। প্রচুর পরিমাণ ধান পাটসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি ফসল উৎপন্ন হয় এ অঞ্চলে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে সুস্বাদু আনারস ও কাঁঠাল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। দ্রুত পচনশীল এসব উৎপন্ন ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার ও প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপন করা জরুরি। এ অঞ্চলে পশুর চামড়ার একটি বড় বাজার রয়েছে তাই ময়মনসিংহে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও একটি সরকারি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। কৃষি খাতে সরকারিভাবে দ্রুত ধানকাটার যন্ত্র ক্রয়ের বরাদ্দ এবং ময়মনসিংহের বিখ্যাত শম্ভুগঞ্জ জুট মিলটি বর্তমানে বেসরকারি খাতে দেয়া আছে কিন্তু এখনও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকরা প্রচুর পাট উৎপাদন করে কিন্তু ন্যায্যদাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই জুট মিলটিকে রেসরকারি খাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় খাতে চালানোর জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি উত্থাপন করেন।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবারের বাজেটে ময়মনসিংহের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ ও নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে অনেকগুণ বেশি কিন্তু বিভাগে উন্নয়নের পর ময়মনসিংহের তেমন কোন উন্নয়নই হয়নি। এ বছর একটি উন্নয়ন বাজেট দেয়া হলেও নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে তা অপ্রতুল। তাই অর্থমন্ত্রী বরাবরে এ বিভাগে ও সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশপাশি এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূর করতে শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ রাখার প্রত্যাশা করছি। এছাড়া ময়মনসিংহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক পথে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ অনুমোদন হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন ও ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহের ডবল লাইন স্থাপন করে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থায় এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন। ময়মনসিংহে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থাননের ব্যবস্থা হলে এবং ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে মানুষ ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় অফিস করে ময়মনসিংহে ফিরে আসতে পারবে। এতে ঢাকা নগরীতে মানুষের ক্রমবর্ধমান চাপ কমে আসবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চিকিৎসক সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভূঁইয়া এবারের বাজেটে ময়মনসিংহের চিকিৎসা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি একটি অতি প্রাচীন হাসপাতাল। তবে এখানে একটি নতুন ভবন হলেও এ অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিক দিয়ে তা অপ্রতুল। বর্তমানে এ হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলানো কঠিন। সে কারণেই এই হাসপাতাল সম্প্রসারণ, এর অপারেশন থিয়েটারের সংখ্যা বাড়ানো, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে অত্যাধুনিক রেডিওথেরাপি মেশিন স্থাপন যা অন্যান্য বিভগীয় হাসপাতালগুলোতে আছে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেই। ডায়ালাইসিস মেশিননের সংখ্যাসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ময়মনসিংহের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নে এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও প্রতিটি জেলার মতো ময়মনসিংহ জেলায়ও একটি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য বাজটে বরাদ্দের দাবি জানান।

মানবাধিকার কর্মী শিব্বির আহমেদ লিটন বলেন, ময়মনসিংহ একটি প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের অঞ্চল। প্রচুর পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে এ অঞ্চলে। এই স্থানগুলোকে পর্যটক আকর্ষণের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে নান্দনিকরূপ দিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলতে সারাদেশের চেয়ে পিছিয়েপড়া এই ময়মনসিংহকে এগিযে নিতে এবারের বাজেটে পর্যটন খাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী।

উল্লিখিত চাহিদাগুলোকে বাস্তবায়নের বিবেচনায় এনে অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেন, তবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রার যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি সরকারের রাজস্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহের সুশীল সমাজের নেতারা।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ শাওয়াল ১৪৪২

শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্প প্রতিষ্ঠান চান ময়মনসিংহবাসী

শরীফুজ্জামান টিটু, ময়মনসিংহ

image

আসন্ন বাজেট নিয়ে ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ার পর এ অঞ্চলের মানুষ প্রত্যাশা করেছিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে বেকারত্ব দূরীকরণ, নগরীর রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঢাকার সঙ্গে ডবল লাইনের দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন যোগাযোগসহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন যোগাযোগের উন্নয়ন, নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে এর দুই তীরে শহর সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং পর্যটন সম্ভাবনার অঞ্চল হিসেবে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা। এছাড়া বিভাগীয় কার্যালয় সমূহের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করে বিভাগ গঠনের স্বাদ গ্রহণ করবে। কিন্তু এ পাঁচ বছরে এর কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। বিগত সময়ে জাতীয় বাজেটের এর কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন এ অঞ্চলের সুশীল সমাজ ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা দরকার যা প্রতিটি বিভাগে ও অনেক জেলায় রয়েছে। এ অর্থনৈতিক জোনে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে এ এলাকার বেকারত্ব দূর হবে। আর এই সঙ্গে এ বিভাগে একটি ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট দরকার যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছন্দে যোগাযেযাগ করতে পারবে। এছাড়ও এ অঞ্চলের হালুয়াঘাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ইমেগ্রেশন চালু করার অনুমোদন ও অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উনয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।

ময়মনসিংহ সুশীল সমাজের নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত এবারের বাজেটে অবহেলিত ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের আশা প্রকাশ করে বলেন, ময়মনসিংহ একটি কৃষিসমৃদ্ধ এলাকা। প্রচুর পরিমাণ ধান পাটসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি ফসল উৎপন্ন হয় এ অঞ্চলে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে সুস্বাদু আনারস ও কাঁঠাল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। দ্রুত পচনশীল এসব উৎপন্ন ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগার ও প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপন করা জরুরি। এ অঞ্চলে পশুর চামড়ার একটি বড় বাজার রয়েছে তাই ময়মনসিংহে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও একটি সরকারি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। কৃষি খাতে সরকারিভাবে দ্রুত ধানকাটার যন্ত্র ক্রয়ের বরাদ্দ এবং ময়মনসিংহের বিখ্যাত শম্ভুগঞ্জ জুট মিলটি বর্তমানে বেসরকারি খাতে দেয়া আছে কিন্তু এখনও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকরা প্রচুর পাট উৎপাদন করে কিন্তু ন্যায্যদাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই জুট মিলটিকে রেসরকারি খাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় খাতে চালানোর জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখার দাবি উত্থাপন করেন।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবারের বাজেটে ময়মনসিংহের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ ও নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে অনেকগুণ বেশি কিন্তু বিভাগে উন্নয়নের পর ময়মনসিংহের তেমন কোন উন্নয়নই হয়নি। এ বছর একটি উন্নয়ন বাজেট দেয়া হলেও নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে তা অপ্রতুল। তাই অর্থমন্ত্রী বরাবরে এ বিভাগে ও সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশপাশি এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূর করতে শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ রাখার প্রত্যাশা করছি। এছাড়া ময়মনসিংহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক পথে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ অনুমোদন হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন ও ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহের ডবল লাইন স্থাপন করে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থায় এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন। ময়মনসিংহে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থাননের ব্যবস্থা হলে এবং ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে মানুষ ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় অফিস করে ময়মনসিংহে ফিরে আসতে পারবে। এতে ঢাকা নগরীতে মানুষের ক্রমবর্ধমান চাপ কমে আসবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চিকিৎসক সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভূঁইয়া এবারের বাজেটে ময়মনসিংহের চিকিৎসা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি একটি অতি প্রাচীন হাসপাতাল। তবে এখানে একটি নতুন ভবন হলেও এ অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিক দিয়ে তা অপ্রতুল। বর্তমানে এ হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলানো কঠিন। সে কারণেই এই হাসপাতাল সম্প্রসারণ, এর অপারেশন থিয়েটারের সংখ্যা বাড়ানো, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে অত্যাধুনিক রেডিওথেরাপি মেশিন স্থাপন যা অন্যান্য বিভগীয় হাসপাতালগুলোতে আছে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেই। ডায়ালাইসিস মেশিননের সংখ্যাসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে ময়মনসিংহের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নে এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও প্রতিটি জেলার মতো ময়মনসিংহ জেলায়ও একটি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য বাজটে বরাদ্দের দাবি জানান।

মানবাধিকার কর্মী শিব্বির আহমেদ লিটন বলেন, ময়মনসিংহ একটি প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের অঞ্চল। প্রচুর পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে এ অঞ্চলে। এই স্থানগুলোকে পর্যটক আকর্ষণের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে নান্দনিকরূপ দিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলতে সারাদেশের চেয়ে পিছিয়েপড়া এই ময়মনসিংহকে এগিযে নিতে এবারের বাজেটে পর্যটন খাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী।

উল্লিখিত চাহিদাগুলোকে বাস্তবায়নের বিবেচনায় এনে অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেন, তবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রার যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি সরকারের রাজস্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহের সুশীল সমাজের নেতারা।