গভীর রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের একটি বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হানা দিয়ে হেফাজতে ইসলামের হাটহাজারী উপজেলা শাখার দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় হেফাজতের আরও নেতাকে গ্র্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী বলেন, নাশকতায় জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পেয়ে আমিনুলকে গ্র্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজন হেফাজত নেতাকে গ্রেপ্তারের পর সে ফটিকছড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে রাত দুইটার দিকে তাকে ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাটহাজারীতে নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীর দিন গত ২৬ মার্চ আকস্মিকভাবে হাটহাজারী থানায় আক্রমণ করে ভাঙচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। স্থানীয় ভূমি অফিসেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তান্ডব থামাতে পুলিশের চালানো গুলিতে চারজন নিহত হন। এসব ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মোট নয়টি মামলা দায়ের হয়। এদিকে আমিনুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা বেগমের আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী আরও জানান, হাটহাজারীতে নাশকতার ২৮(০৪)২১ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী তারিখে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। আজকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।