রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর বুজরুগ সন্তোষপুর গ্রামে দশ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে রাজা মিয়া নামে এক যুবক। হত্যার পর লাশ ঘরের ভেতরে খাটের নিচে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ খুনি রাজার বাড়ি ঘেরাও করে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুর মরদেহ গতকাল দুপুরে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দুপুর থেকে বজরুক সন্তোষপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ১০ বছরের শিশু কন্যার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে দিনভর খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে রাতে এলাকায় মাইকিং করে। তবে রাতে পার্শ্ববর্তী শাহিন মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া (২০) এর গতিবিধি ও চালচলনে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। বিষয়টি টের পেয়ে খুনি রাজা মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর সারা রাত এলাকাবাসী ও স্বজনরা রাজা মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। বৃহস্পতিবার মিঠাপুকুর থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে বাড়িতে প্রবেশ করে খুনি রাজা মিয়ার নানি হালিমা খাতুনের ঘরের ভেতর থেকে গর্ত করে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর গলায় কাটা দাগ দেখা গেছে। তাকে ধর্ষণ করার পর প্রথমে শ্বাস রোধ পরে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের বি-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানিয়েছেন। এ ঘটনায় খুনি রাজা মিয়ার নানি হালিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আসার পর রাজা মিয়ার বাড়ি তল্লাশি করে খাটের নিচে গর্ত করে লাশ পুঁতে রাখার জায়গাটি মাটি দিয়ে লেপে দেয়ায় সন্দেহ হয়। পরে সেখানে খুঁড়ে তার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ঘটনার সঙ্গে রাজা ও তার নানিসহ যারা জড়িত সবার ফাঁসি দাবি করেন। স্বজন ও এলাকাবাসী খুনি রাজাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর জবাই করে হত্যা করেছে খুনি রাজা মিয়া। এরপর ঘরের ভেতরেই মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখে। এ নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্তে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পুলিশ নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৫ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর বুজরুগ সন্তোষপুর গ্রামে দশ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে রাজা মিয়া নামে এক যুবক। হত্যার পর লাশ ঘরের ভেতরে খাটের নিচে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ খুনি রাজার বাড়ি ঘেরাও করে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুর মরদেহ গতকাল দুপুরে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দুপুর থেকে বজরুক সন্তোষপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ১০ বছরের শিশু কন্যার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে দিনভর খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে রাতে এলাকায় মাইকিং করে। তবে রাতে পার্শ্ববর্তী শাহিন মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া (২০) এর গতিবিধি ও চালচলনে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। বিষয়টি টের পেয়ে খুনি রাজা মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর সারা রাত এলাকাবাসী ও স্বজনরা রাজা মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। বৃহস্পতিবার মিঠাপুকুর থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে বাড়িতে প্রবেশ করে খুনি রাজা মিয়ার নানি হালিমা খাতুনের ঘরের ভেতর থেকে গর্ত করে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর গলায় কাটা দাগ দেখা গেছে। তাকে ধর্ষণ করার পর প্রথমে শ্বাস রোধ পরে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের বি-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানিয়েছেন। এ ঘটনায় খুনি রাজা মিয়ার নানি হালিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আসার পর রাজা মিয়ার বাড়ি তল্লাশি করে খাটের নিচে গর্ত করে লাশ পুঁতে রাখার জায়গাটি মাটি দিয়ে লেপে দেয়ায় সন্দেহ হয়। পরে সেখানে খুঁড়ে তার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ঘটনার সঙ্গে রাজা ও তার নানিসহ যারা জড়িত সবার ফাঁসি দাবি করেন। স্বজন ও এলাকাবাসী খুনি রাজাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর জবাই করে হত্যা করেছে খুনি রাজা মিয়া। এরপর ঘরের ভেতরেই মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখে। এ নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্তে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পুলিশ নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।