হেফাজতের ৪৬ নেতার সম্পদের হিসাব চেয়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় দুদকের চিঠি

হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরী ও বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ সংগঠনটির ৪৬ নেতার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারি ৪টি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক আকতার হোসেন গত সোমবার হেজাফতের ওই নেতাদের আয়-ব্যয়, আয়ের উৎস, অবৈধ ও হিসাববহির্ভূত সম্পদের খোঁজে চিঠি পাঠিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি ৪ দপ্তরগুলো হলোÑ বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ), চার জেলার (ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনা) পুলিশ সুপার, তিন থানার (ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও পটিয়া) সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার। বিএফআইইউর প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে সবার ব্যাংক হিসাবের তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে আর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারকে পাঠানো চিঠিতে হেফাজত নেতাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমির দাগ, খতিয়ানসহ নথি চাওয়া হয়েছে।

যেসব হেফাজত নেতার সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক তারা হলোÑ হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমেদ আবদুল কাদের ও মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির, জালাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী ও আজাহারুল ইসলাম, মুসা বিন ইসহাক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন ও সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, সহকারী অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন ইজাহার, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ, সহকারী প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাসেমী, ইসলামি বক্তা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, নুর হোসাইন নুরানী, মাহমুদুল হাসান গুনবী, বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান, আজহারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কাসেমী।

এছাড়া সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আবদুর রহিম কাসেমী, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মুহসিনুল করিম, জামিয়া ইসলামিয়া হলিমিয়া মধুপুর মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম ওবায়দুল্লাহ কাসেমী, মধুপুরের পীরের ছেলে আবু আম্মার আবদুল্লাহ, হেফাজতের কর্মী মো. আহম্মেদ কাশেমী, এহসানুল হক, রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সাধারণ সম্পাদক হাসান জামিল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান মাদানি, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি আশরাফ উদ্দিন মাহদি, মোহাম্মদ উল্লাহ জামি, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ আকরাম আলী, শামসুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সদস্য কেফায়েত উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন ও সামছুল ইসলাম জিলানী, গাজী ইয়াকুব ওসমানী, আসাদুল্লাহ আসাদ, আলী হাসান উসামা ও আসাদুল্লাহ আসাদের।

শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৫ শাওয়াল ১৪৪২

হেফাজতের ৪৬ নেতার সম্পদের হিসাব চেয়ে ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় দুদকের চিঠি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরী ও বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ সংগঠনটির ৪৬ নেতার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারি ৪টি দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক আকতার হোসেন গত সোমবার হেজাফতের ওই নেতাদের আয়-ব্যয়, আয়ের উৎস, অবৈধ ও হিসাববহির্ভূত সম্পদের খোঁজে চিঠি পাঠিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি ৪ দপ্তরগুলো হলোÑ বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ), চার জেলার (ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনা) পুলিশ সুপার, তিন থানার (ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও পটিয়া) সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার। বিএফআইইউর প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে সবার ব্যাংক হিসাবের তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে আর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারকে পাঠানো চিঠিতে হেফাজত নেতাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমির দাগ, খতিয়ানসহ নথি চাওয়া হয়েছে।

যেসব হেফাজত নেতার সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক তারা হলোÑ হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমেদ আবদুল কাদের ও মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির, জালাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী ও আজাহারুল ইসলাম, মুসা বিন ইসহাক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন ও সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, সহকারী অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন ইজাহার, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ, সহকারী প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাসেমী, ইসলামি বক্তা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, নুর হোসাইন নুরানী, মাহমুদুল হাসান গুনবী, বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান, আজহারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কাসেমী।

এছাড়া সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আবদুর রহিম কাসেমী, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মুহসিনুল করিম, জামিয়া ইসলামিয়া হলিমিয়া মধুপুর মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম ওবায়দুল্লাহ কাসেমী, মধুপুরের পীরের ছেলে আবু আম্মার আবদুল্লাহ, হেফাজতের কর্মী মো. আহম্মেদ কাশেমী, এহসানুল হক, রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সাধারণ সম্পাদক হাসান জামিল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান মাদানি, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি আশরাফ উদ্দিন মাহদি, মোহাম্মদ উল্লাহ জামি, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ আকরাম আলী, শামসুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সদস্য কেফায়েত উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন ও সামছুল ইসলাম জিলানী, গাজী ইয়াকুব ওসমানী, আসাদুল্লাহ আসাদ, আলী হাসান উসামা ও আসাদুল্লাহ আসাদের।