বঙ্গসেফ ওরো ন্যাজাল স্প্রের ট্রায়াল সম্পন্ন

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রে’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়ালের ফলাফল সন্তোষজনক জানিয়ে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) বলেছে, স্প্রেটি ব্যবহার করা হলে নাকে-মুখে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমবে। এটি ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ প্রতিরোধেও সক্ষম। স্প্রেটি লাভ ছাড়া অর্থাৎ মূল্য হিসেবে শুধু উৎপাদন খরচ ধরে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআরআইসিএম জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু’র সহায়তায় একদল অনুসন্ধানী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এ গবেষণা।

বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক ড. মালা খান বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করেন। তার তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞানীদল (মো. মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান রাজু, সাবিহা কামাল, সাদ আল রেজওয়ান রহমান এবং নয়ন কুমার কুন্ডু) এ গবেষণালব্ধ পণ্য (ওরো-ন্যাজাল স্প্রে)টির গুণগত মান, স্ট্যাবিলিটি, নিরাপদ ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকল্পের যাবতীয় অর্থ সংস্থান করেছে বিআরআইসিএম।

নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে গবেষণাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন ডা. মো. শাহরিয়ার আরাফাত, ডা. পার্থ প্রতিম দাস, ডা. জোবায়ের আনাম চৌধুরী, ডা. গাউসুল আজম, ডা. ইসমে আযম, ড. আহসানুল কায়সার, ডা. মো. জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে। গবেষণা প্রটোকলটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) রেজিস্ট্রেশন করার পর সেখানকার ইথিক্যাল কমিটির ছাড়পত্র পায়। এরপর বৃহত্তর পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। গত ১৮ মে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট বিএমআরসিতে জমা দেয়া হয়।

বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে দেশের চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের গবেষণাও এর অংশ। তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা এবং জনসাধারণের উৎসাহ ‘বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রে’র উন্নয়ন ও সফল প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের বাকি কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ , ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৫ শাওয়াল ১৪৪২

করোনারোধক

বঙ্গসেফ ওরো ন্যাজাল স্প্রের ট্রায়াল সম্পন্ন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রে’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়ালের ফলাফল সন্তোষজনক জানিয়ে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) বলেছে, স্প্রেটি ব্যবহার করা হলে নাকে-মুখে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমবে। এটি ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ প্রতিরোধেও সক্ষম। স্প্রেটি লাভ ছাড়া অর্থাৎ মূল্য হিসেবে শুধু উৎপাদন খরচ ধরে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআরআইসিএম জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু’র সহায়তায় একদল অনুসন্ধানী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এ গবেষণা।

বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক ড. মালা খান বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করেন। তার তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞানীদল (মো. মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান রাজু, সাবিহা কামাল, সাদ আল রেজওয়ান রহমান এবং নয়ন কুমার কুন্ডু) এ গবেষণালব্ধ পণ্য (ওরো-ন্যাজাল স্প্রে)টির গুণগত মান, স্ট্যাবিলিটি, নিরাপদ ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকল্পের যাবতীয় অর্থ সংস্থান করেছে বিআরআইসিএম।

নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে গবেষণাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন ডা. মো. শাহরিয়ার আরাফাত, ডা. পার্থ প্রতিম দাস, ডা. জোবায়ের আনাম চৌধুরী, ডা. গাউসুল আজম, ডা. ইসমে আযম, ড. আহসানুল কায়সার, ডা. মো. জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে। গবেষণা প্রটোকলটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) রেজিস্ট্রেশন করার পর সেখানকার ইথিক্যাল কমিটির ছাড়পত্র পায়। এরপর বৃহত্তর পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। গত ১৮ মে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট বিএমআরসিতে জমা দেয়া হয়।

বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে দেশের চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের গবেষণাও এর অংশ। তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা এবং জনসাধারণের উৎসাহ ‘বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রে’র উন্নয়ন ও সফল প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের বাকি কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।