প্রতিবন্ধী শিশু বাবা-মার কাছে ফিরতে চায়

কুড়িগ্রাম সদর থানায় পূর্ণিমা নামে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে পাওয়া গেছে। মেয়েটি নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই লিখে জানাতে পারে না। ফলে তার স্বজনদের খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। বর্তমানে শিশুটির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে রংপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনদের পেতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ণিমা নামের বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজারে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জনৈক আইয়ুব আলীর ফলের দোকানের পাশে ছোট্ট ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে ছিল সে। স্থানীয়রা তার আত্মীয়-স্বজনের নাম জিজ্ঞেস করলেও সে নিরুত্তর ছিল। পরে একটি কাগজে সে নিজের নাম পূর্ণিমা বলে লিখে জানায়। এর বাইরে আর কিছুই সে জানাতে পারছিল না। ফলে তার ঠিকানা জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় স্থানীয় লোকজন। পরে ওই এলাকার শিবরাম গ্রামের মোশাররফ হোসেনের পূত্র সাজু আহমেদ পুলিশকে মেয়েটি সম্পর্কে অবগত করে। এরপর পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

প্রতিবন্ধী শিশু বাবা-মার কাছে ফিরতে চায়

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম সদর থানায় পূর্ণিমা নামে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে পাওয়া গেছে। মেয়েটি নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই লিখে জানাতে পারে না। ফলে তার স্বজনদের খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। বর্তমানে শিশুটির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে রংপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনদের পেতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ণিমা নামের বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজারে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জনৈক আইয়ুব আলীর ফলের দোকানের পাশে ছোট্ট ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে ছিল সে। স্থানীয়রা তার আত্মীয়-স্বজনের নাম জিজ্ঞেস করলেও সে নিরুত্তর ছিল। পরে একটি কাগজে সে নিজের নাম পূর্ণিমা বলে লিখে জানায়। এর বাইরে আর কিছুই সে জানাতে পারছিল না। ফলে তার ঠিকানা জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় স্থানীয় লোকজন। পরে ওই এলাকার শিবরাম গ্রামের মোশাররফ হোসেনের পূত্র সাজু আহমেদ পুলিশকে মেয়েটি সম্পর্কে অবগত করে। এরপর পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে রংপুর কোতোয়ালি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।