নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন হুমকিতে পদ্মা সেতু

সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা প্রভাবশালী মহলের

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে মেসার্স খোকন কনস্ট্র্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কিন্তু বালুমাহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ একটি প্রকল্পে তা একেবারেই উপেক্ষিত।

তিনটি খননযন্ত্র দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। সেই বালু দিয়ে করা হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীর ভূমি উন্নয়নমূলক কাজ। ভরাট কাজে বালু ফেলার জন্য প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও বালু ক্রয়ের কানাকড়িও যায়নি সরকারের কোষাগারে। পদ্মা নদীর বালু দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক আওয়ামী লীগ নেতা। অপরিকল্পিত খননে ভাঙন আতঙ্কে চরের শত শত পরিবার। হুমকিতে দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস প্রশাসনের।

গত বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে কাটা হচ্ছে বালু।

স্প্যানের গোড়ায় মেশিনগুলো রাত-দিন কেটে চলেছে বালু। কোন ধরনের নকশা ছাড়া সেতুর আশপাশ থেকে হিড়িক পড়েছে বালু তোলার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিনটি খননযন্ত্র বিরতিহীনভাবে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আর একের পর এক বাল্কহেড সেই উত্তোলিত বালু বহন করে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলছে। যেন বালু কাটার প্রতিযোগিতা। সরকারি রেভিনিউ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও চক্রের সদস্যদের দাবি তারা বৈধভাবেই করছেন বালু উত্তোলন। খনন যন্ত্রে দাঁড়িয়ে বাল্ডহেডে সিরিয়াল করছেন খোকন কনস্ট্রাকশনের সুপারভাইজার মো. জসিম উদ্দিন।

সাংবাদিককে দেখে তিনি দৌড়ে ছুটে আসেন। হাতে দুই পৃষ্ঠার একটি কাগজ। তা দেখিয়ে বলেন, বালু কাটার আমাদের লিখিত অনুমোতিপত্র। কিন্তু সেটা পড়ে দেখা গেল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শুধুমাত্র নৌযান চলাচলের অনুমোতি দিয়েছে বিবিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বালু তোলার কোন উল্লেখ নেই। তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তিনি বলেন, এর বাইরে আমার কাছে আর কোন কাগজ নেই। অফিসে থাকতে পারে।

অপরিকল্পিত বালু তোলার ফলে পাইনপাড়া চরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। বালু উত্তোলন রোধে চরের ১১০ পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর করেছেন লিখিত আবেদন। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না বালু কাটা। এতে দুশ্চিন্তায় চরের শত শত দরিদ্র পরিবার। দ্রুত ড্রেজিং বন্ধ করে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। পাইনপাড়া চরের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘ডেজার দিয়ে রাইত দিন কাটতাছে। এইয়া লইয়্যা অনেক কিছু অইয়া গ্যাছে। হ্যারা মানতেই আছে না। চুরি করইরা কাটলেও কাইট্যা নেয়। হ্যারা যদি আমাগো এমন ক্ষতি না করতো তাইলে আমাগো ক্ষতি অইতো না। অহন পোলাহান লইয়া কোনো উপায় নাই। চরের মানুষ আমরা ধানি আলোডি করি। হেইয়া সব বাঙ্গোনে শ্যাষ।’ বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নদীতে নির্মাণ করা এ জাতীয় যে কোন প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই সমীক্ষা ছাড়া এবং নকশা ব্যতীত খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।

কাটলে তা ওই প্রকল্পের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদেরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে পদ্মা সেতু এলাকার চ্যানেল ব্যবহারে জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনুমোতি চাইলে সরকারি ওই প্রকল্পের স্বার্থে নৌযান চলাচলের জন্য অনুমোতি দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি কর্তৃক থেকে বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।

শরীয়তপুর ও মাদারীপুর দুই জেলা নিয়ে ১শ’ ২০ একর জমিতে নির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। শুরু হয়েছে ভূমি উন্নয়ন কাজ। প্রকল্প এলাকায় ফেলা হবে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ ঘন মিটার বালু। নির্মাণ করা হবে সীমানা প্রাচীর। পদ্মা নদী থেকে উত্তোলিত বালু ফেলা হচ্ছে প্রকল্প এলাকায়। কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি.। প্রকল্পে বালু ক্রয়ের মূল্য ২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে কাজ।

মেসার্স খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছেন মাদারীপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার। তার সঙ্গে ফোনে কথা এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, এই অঞ্চলে কোন বালু মহাল না থাকায় সরকারকে কোন রয়েলিটি ছাড়াই আমরা বালু উত্তোলন করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।

শরীয়তপুর এবং মাদারীপুরেও বালু মহাল না থাকায় সরকারকে রয়েলিটি দেয়ার সুযোগ নেই। দেয়ার সুযোগ থাকলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতাম এবং তার বরাবর আবেদন করতাম। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, শরীয়তপুরে বালু মহাল নেই। তাই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নদী থেকে বালু তুলে প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। ওইসব আইন ভঙ্গকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন হুমকিতে পদ্মা সেতু

সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা প্রভাবশালী মহলের

কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শরীয়তপুর

image

শরীয়তপুর : অবৈধ বালু উত্তোলন Ñ-সংবাদ

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে মেসার্স খোকন কনস্ট্র্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কিন্তু বালুমাহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ একটি প্রকল্পে তা একেবারেই উপেক্ষিত।

তিনটি খননযন্ত্র দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। সেই বালু দিয়ে করা হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীর ভূমি উন্নয়নমূলক কাজ। ভরাট কাজে বালু ফেলার জন্য প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও বালু ক্রয়ের কানাকড়িও যায়নি সরকারের কোষাগারে। পদ্মা নদীর বালু দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক আওয়ামী লীগ নেতা। অপরিকল্পিত খননে ভাঙন আতঙ্কে চরের শত শত পরিবার। হুমকিতে দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস প্রশাসনের।

গত বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে কাটা হচ্ছে বালু।

স্প্যানের গোড়ায় মেশিনগুলো রাত-দিন কেটে চলেছে বালু। কোন ধরনের নকশা ছাড়া সেতুর আশপাশ থেকে হিড়িক পড়েছে বালু তোলার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিনটি খননযন্ত্র বিরতিহীনভাবে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আর একের পর এক বাল্কহেড সেই উত্তোলিত বালু বহন করে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলছে। যেন বালু কাটার প্রতিযোগিতা। সরকারি রেভিনিউ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও চক্রের সদস্যদের দাবি তারা বৈধভাবেই করছেন বালু উত্তোলন। খনন যন্ত্রে দাঁড়িয়ে বাল্ডহেডে সিরিয়াল করছেন খোকন কনস্ট্রাকশনের সুপারভাইজার মো. জসিম উদ্দিন।

সাংবাদিককে দেখে তিনি দৌড়ে ছুটে আসেন। হাতে দুই পৃষ্ঠার একটি কাগজ। তা দেখিয়ে বলেন, বালু কাটার আমাদের লিখিত অনুমোতিপত্র। কিন্তু সেটা পড়ে দেখা গেল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শুধুমাত্র নৌযান চলাচলের অনুমোতি দিয়েছে বিবিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বালু তোলার কোন উল্লেখ নেই। তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তিনি বলেন, এর বাইরে আমার কাছে আর কোন কাগজ নেই। অফিসে থাকতে পারে।

অপরিকল্পিত বালু তোলার ফলে পাইনপাড়া চরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। বালু উত্তোলন রোধে চরের ১১০ পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর করেছেন লিখিত আবেদন। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না বালু কাটা। এতে দুশ্চিন্তায় চরের শত শত দরিদ্র পরিবার। দ্রুত ড্রেজিং বন্ধ করে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। পাইনপাড়া চরের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘ডেজার দিয়ে রাইত দিন কাটতাছে। এইয়া লইয়্যা অনেক কিছু অইয়া গ্যাছে। হ্যারা মানতেই আছে না। চুরি করইরা কাটলেও কাইট্যা নেয়। হ্যারা যদি আমাগো এমন ক্ষতি না করতো তাইলে আমাগো ক্ষতি অইতো না। অহন পোলাহান লইয়া কোনো উপায় নাই। চরের মানুষ আমরা ধানি আলোডি করি। হেইয়া সব বাঙ্গোনে শ্যাষ।’ বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নদীতে নির্মাণ করা এ জাতীয় যে কোন প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই সমীক্ষা ছাড়া এবং নকশা ব্যতীত খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।

কাটলে তা ওই প্রকল্পের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদেরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে পদ্মা সেতু এলাকার চ্যানেল ব্যবহারে জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনুমোতি চাইলে সরকারি ওই প্রকল্পের স্বার্থে নৌযান চলাচলের জন্য অনুমোতি দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি কর্তৃক থেকে বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই।

শরীয়তপুর ও মাদারীপুর দুই জেলা নিয়ে ১শ’ ২০ একর জমিতে নির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। শুরু হয়েছে ভূমি উন্নয়ন কাজ। প্রকল্প এলাকায় ফেলা হবে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ ঘন মিটার বালু। নির্মাণ করা হবে সীমানা প্রাচীর। পদ্মা নদী থেকে উত্তোলিত বালু ফেলা হচ্ছে প্রকল্প এলাকায়। কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি.। প্রকল্পে বালু ক্রয়ের মূল্য ২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই বালু দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে কাজ।

মেসার্স খোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছেন মাদারীপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার। তার সঙ্গে ফোনে কথা এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, এই অঞ্চলে কোন বালু মহাল না থাকায় সরকারকে কোন রয়েলিটি ছাড়াই আমরা বালু উত্তোলন করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।

শরীয়তপুর এবং মাদারীপুরেও বালু মহাল না থাকায় সরকারকে রয়েলিটি দেয়ার সুযোগ নেই। দেয়ার সুযোগ থাকলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতাম এবং তার বরাবর আবেদন করতাম। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, শরীয়তপুরে বালু মহাল নেই। তাই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নদী থেকে বালু তুলে প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। ওইসব আইন ভঙ্গকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।