প্রতিটি বিভাগে একটি উপজেলা মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে গোয়েন্দা নজরদারিতে জেনেভা ক্যাম্প

দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রতিটি বিভাগে একটি উপজেলাকে প্রথমে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। আর রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পকে মাদকমুক্ত করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাদকবিরোধী প্রচারণার জেলা উপজেলায় জনসমাগমস্থলে বিলবোর্ড স্থাপন করা হলে অধিক সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া দেশজুড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ডাটাবেজ তালিকা হালনাগাদ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে টপিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে পাঠানো প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মিটিংয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে এসব বিষয় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষার মাদক-২ শাখার ওই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সময় মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব। বিজিবির মহাপরিচালক, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি, কোস্টগার্ডের ডিজি, র‌্যাবের ডিজি, এসপির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় বলা হয়েছে, মাদকমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করার জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে একটি করে উপজেলা বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমন খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার ৪টি উপজেলা, নড়াই জেলার ৩টি উপজেলা। ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলা। রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি সদর উপজেলা। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলা। রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।

সভায় এ প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে মাদকমুক্ত উপজেলা ও জেলা ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম বিভাগীয় কমিশনারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে তার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিটি বিভাগে মাদকমুক্ত উপজেলা বা জেলা ঘোষণার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া দেশকে মাদকমুক্ত করতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচারণার কাজ করানো যেতে পারে। এছাড়া রেল-স্টেশন, বাসস্টান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত চত্বরসহ জনসমাগমস্থলে বিলবোর্ড স্থাপন করা হলে অধিক সুফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আছে। আর মাদক মামলায় সাজা খেটে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সূত্র মতে, ঢাকা ও টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলার নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে মাদকবিরোধী প্রচারণার কাজে লাগাতে হবে। মাদক নির্মূলে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যেমন- টিভিসি, বড় বড় ডিসপ্লে বোর্ডে মাদকের কুফল সম্পর্কে কন্টেইন তৈরি করে বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে প্রচারের ব্যবস্থা করবে।

সভায় মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার ও বিজিবির সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মিটিংয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের প্রতিনিধি জানান, সারাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত মাদক মামলা দায়ের করার রেকর্ড আছে। মাদক মামলাগুলোর অগ্রগতি আদালত থেকে সংগ্রহ করা সহজ হবে এবং প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া আদালত থেকে মাদকদ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তি, মামলার সাজা, মামলা থেকে খালাসের তথ্য উল্লেখপূর্বক প্রতি বছর ডিএনসিসহ বিভিন্ন সংস্থার দায়েরকৃত মামলার পরিসংখ্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগসহ অন্যান্য পাঠানোসহ বছরভিত্তিক হালনাগাদ ডাটাবেজ তৈরি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে ‘না’ বলার কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পাঠ্যবইতে মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে টপিক অন্তর্ভুক্তি করলে ভালো হবে। এজন্য প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এ সম্পর্কে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি আহসানুল জব্বারের সঙ্গে গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং টেলিফোন কেটে দেন। অথচ বৈঠকে তিনি আলোচনায় মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আইনশঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। এরপরও থামছে না মাদক পরিবহন ও বেচাকেনা। এরপরও প্রশাসন মাদককের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

প্রতিটি বিভাগে একটি উপজেলা মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে গোয়েন্দা নজরদারিতে জেনেভা ক্যাম্প

বাকী বিল্লাহ ও রাকিব উদ্দিন

দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রতিটি বিভাগে একটি উপজেলাকে প্রথমে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। আর রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পকে মাদকমুক্ত করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাদকবিরোধী প্রচারণার জেলা উপজেলায় জনসমাগমস্থলে বিলবোর্ড স্থাপন করা হলে অধিক সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া দেশজুড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ডাটাবেজ তালিকা হালনাগাদ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে টপিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে পাঠানো প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে মিটিংয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে এসব বিষয় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষার মাদক-২ শাখার ওই বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সময় মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব। বিজিবির মহাপরিচালক, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি, কোস্টগার্ডের ডিজি, র‌্যাবের ডিজি, এসপির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় বলা হয়েছে, মাদকমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করার জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে একটি করে উপজেলা বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমন খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার ৪টি উপজেলা, নড়াই জেলার ৩টি উপজেলা। ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলা। রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি সদর উপজেলা। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলা। রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।

সভায় এ প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে মাদকমুক্ত উপজেলা ও জেলা ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম বিভাগীয় কমিশনারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে তার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিটি বিভাগে মাদকমুক্ত উপজেলা বা জেলা ঘোষণার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া দেশকে মাদকমুক্ত করতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচারণার কাজ করানো যেতে পারে। এছাড়া রেল-স্টেশন, বাসস্টান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত চত্বরসহ জনসমাগমস্থলে বিলবোর্ড স্থাপন করা হলে অধিক সুফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আছে। আর মাদক মামলায় সাজা খেটে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সূত্র মতে, ঢাকা ও টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলার নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে মাদকবিরোধী প্রচারণার কাজে লাগাতে হবে। মাদক নির্মূলে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যেমন- টিভিসি, বড় বড় ডিসপ্লে বোর্ডে মাদকের কুফল সম্পর্কে কন্টেইন তৈরি করে বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে প্রচারের ব্যবস্থা করবে।

সভায় মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার ও বিজিবির সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মিটিংয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের প্রতিনিধি জানান, সারাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত মাদক মামলা দায়ের করার রেকর্ড আছে। মাদক মামলাগুলোর অগ্রগতি আদালত থেকে সংগ্রহ করা সহজ হবে এবং প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া আদালত থেকে মাদকদ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তি, মামলার সাজা, মামলা থেকে খালাসের তথ্য উল্লেখপূর্বক প্রতি বছর ডিএনসিসহ বিভিন্ন সংস্থার দায়েরকৃত মামলার পরিসংখ্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগসহ অন্যান্য পাঠানোসহ বছরভিত্তিক হালনাগাদ ডাটাবেজ তৈরি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে ‘না’ বলার কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পাঠ্যবইতে মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে টপিক অন্তর্ভুক্তি করলে ভালো হবে। এজন্য প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এ সম্পর্কে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি আহসানুল জব্বারের সঙ্গে গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং টেলিফোন কেটে দেন। অথচ বৈঠকে তিনি আলোচনায় মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আইনশঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। এরপরও থামছে না মাদক পরিবহন ও বেচাকেনা। এরপরও প্রশাসন মাদককের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে।