মিতু হত্যা মামলা

বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর

চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল তাকে ফেনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম। গত ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওইদিন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য হাজির করা হলেও তিনি শেষ মুহূর্তে গিয়ে মত পাল্টান। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। যদিও চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বাবুলের আইনজীবীরা আবেদন করলেও কারাবিধিতে তা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে অবস্থানের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ কোন কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন বিশেষ কোন কারণ নেই। কর্তৃপক্ষ চেয়েছে তার অবস্থানটা ফেনী কারাগারে হোক। সেজন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিন রাতে তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি ছিল না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকা-ের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করতে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি ওই সময়। গোয়েন্দা পুলিশ এর আগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। গত ১১ মে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রবিবার, ৩০ মে ২০২১ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৭ শাওয়াল ১৪৪২

মিতু হত্যা মামলা

বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর

চট্টগ্রাম ব্যুরো

image

চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল তাকে ফেনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম। গত ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওইদিন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য হাজির করা হলেও তিনি শেষ মুহূর্তে গিয়ে মত পাল্টান। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। যদিও চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বাবুলের আইনজীবীরা আবেদন করলেও কারাবিধিতে তা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে অবস্থানের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ কোন কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন বিশেষ কোন কারণ নেই। কর্তৃপক্ষ চেয়েছে তার অবস্থানটা ফেনী কারাগারে হোক। সেজন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিন রাতে তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি ছিল না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকা-ের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করতে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি ওই সময়। গোয়েন্দা পুলিশ এর আগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। গত ১১ মে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।