ঈশ্বরদীতে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঈশ্বরদীতে শাকিল আহমেদ (৩২) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শহরের সরকারি কলেজের সামনে রূপনগরের (মাহাতাব কলোনি) ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শাকিল উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুরের দুবলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মীম খাতুনকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। নিহতের মামা মুলাডুলির ইউপি সদস্য তারা মালিথা বলেন, ১০ দিন আগে শাকিল নিজের বাড়ি ছেড়ে শহরের কলেজ রোডের সামনে একটি বাসার দোতলা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাকিলের ফোন থেকে তার স্ত্রী কল করে আমাকে জানায়, শাকিল কি যেন খেয়েছে, কথা বলছে না। এ সময় দ্রুত বাড়িওয়ালার সাহায্য নিয়ে তাকে পাশের হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলি। তিনি আরও বলেন, আমি দূরে থাকায় তাৎক্ষণিক আসতে পারিনি। উপস্থিত লোকজন শাকিলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মীম জানায়, ৪-৫ জন লোক এসে শ্বাসরোধ করে শাকিলকে হত্যা করে চলে গেছে। সে বাঁধা দিলে তাকেও লাথি মেরেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরদী সার্কেলের ফিরোজ কবীর বলেন, স্ত্রী মীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে এখন কোন কিছু বলা সম্ভব নয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনার পরই গোয়েন্দা পুলিশের ফরেনসিক টিম মরদেহ ও ঘটনাস্থল পরীক্ষা ও তদন্ত করছে। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

ঈশ্বরদীতে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

ঈশ্বরদীতে শাকিল আহমেদ (৩২) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শহরের সরকারি কলেজের সামনে রূপনগরের (মাহাতাব কলোনি) ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শাকিল উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুরের দুবলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মীম খাতুনকে (২২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। নিহতের মামা মুলাডুলির ইউপি সদস্য তারা মালিথা বলেন, ১০ দিন আগে শাকিল নিজের বাড়ি ছেড়ে শহরের কলেজ রোডের সামনে একটি বাসার দোতলা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাকিলের ফোন থেকে তার স্ত্রী কল করে আমাকে জানায়, শাকিল কি যেন খেয়েছে, কথা বলছে না। এ সময় দ্রুত বাড়িওয়ালার সাহায্য নিয়ে তাকে পাশের হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলি। তিনি আরও বলেন, আমি দূরে থাকায় তাৎক্ষণিক আসতে পারিনি। উপস্থিত লোকজন শাকিলের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মীম জানায়, ৪-৫ জন লোক এসে শ্বাসরোধ করে শাকিলকে হত্যা করে চলে গেছে। সে বাঁধা দিলে তাকেও লাথি মেরেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরদী সার্কেলের ফিরোজ কবীর বলেন, স্ত্রী মীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে এখন কোন কিছু বলা সম্ভব নয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনার পরই গোয়েন্দা পুলিশের ফরেনসিক টিম মরদেহ ও ঘটনাস্থল পরীক্ষা ও তদন্ত করছে। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।