এলএসডি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত গ্রুপ

অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ৫ জনের তথ্য

ঢাকায় নতুন মাদক লাইসার্জিস এসিড ডাইথ্যালমাইড বা (এলএসডি) নিয়ন্ত্রণ করছে অর্ধশত গ্রুপ। যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিদেশ থেকে কুরিয়ার পার্সেল অথবা অন্য মালামালের সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে এলএসডি। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অভিযানে খিলগাঁও এবং ভাটারা এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রকে গ্রেপ্তারে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার অভিযানে নেমে পুলিশ প্রথমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম সাইফ, এস এম মনওয়ার আকিব আনান, মো. রাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম এবং বিএম সিরাজুস সালেকীন তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। খিলগাঁও জোটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নরুল আমিনের তত্ত্বাবধায়নে এ অভিযান চালানো হয়। প্রথমে সাইফ, আনান এবং সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয় খিলগাঁও কমিউনিটি এলাকা থেকে। তাদের দেয়া তথ্যে ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজমুল ইসলাম এবং তপুকে। পরে তাদের কাছ থেকে ২ হাজার মাইক্রোগাম এলএসডি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর রহস্যোদ্ঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ছাত্র এলএসডি সেবন করতেন আর এলএসডি সেবনের প্রভাবে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ছাত্রের ৩ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এলএসডি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই ৩ ছাত্রের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ৭ থানা এলাকায় এলএসডি সেবনকারী এবং বিক্রেতা আছে কিনা তা নিয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে এ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, তার গত ১ বছর ধরেই এলএসডি সেবনের পাশাপাশি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই তাদের কাস্টমার। প্রচুর দাম হওয়ার কারণে এ মাদক সবাই সেবন করতে পারে না। তারা বিদেশ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস, অন্য মালামালের মধ্যে এলএসডি আনত। অনলাইনে তারা এসব মাদক সরবরাহকারী বিদেশি ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। অনলাইনে অর্ডার দেয়ার পরই এগুলো আসত। গ্রেপ্তারকৃতরা ১৩টি গ্রুপের মাধ্যমে এলএসডি সরবরাহ করত সেবনকারীদের। এদের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রুপ ছাড়াও আরও ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এলএসডি সরবরাহ করে।

ডিসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, পুরো রাজধানীতে যারা এলএসডি নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গ্রুপের নাম, পরিচয় মিলেছে। এ মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় দেয়া যাচ্ছে না। আমরা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অভিযানে নেমেছি। আশা করি গ্রুপ শীঘ্রই এলএসডি সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িত গ্রুপগুলোকে আমরা ধরতে পারব।

ডিসি মতিঝিল জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে এলএসডি সেবন করত। সেবন করতে গিয়ে তারা চরমভাবে আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর নিজেদের প্রয়োজনে এরা সরাসরি অনলাইনে যোগাযোগ করে বিদেশ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন লাগেজের মধ্যে করে কৌশলে এসব মাদক নিয়ে আসত। এরপর ধীরে ধীরে এরা এলএসডির পাইকারি সরবাহকারী হয়ে পড়ে।

এলএসডিসহ গ্রেপ্তার ৩ ছাত্রের রিমান্ড মঞ্জুর

এদিকে নতুন মাদক এলএসডিসহ গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। গতকাল তাদের ধানমন্ডি থানার মাদক আইনের মামলায় আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ ৩ ছাত্রের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এই তিন শিক্ষার্থী হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র সাদমান সাকিব রুপল ও আসহাব ওয়াদুদ তূর্য এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির আদিব আশরাফ।

আদালত সূত্র জানায়, তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এস আই সালাউদ্দিন কাদের তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা এলএসডির যোগসূত্র পাওয়ার সূত্র ধরে গত বুধবার ঢাকার লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি থেকে হাফিজুরের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, এই প্রথম তারা এ ধরনের মাদকসহ কাউকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ধরনের মাদকদ্রব্য সেবনে নতুন মাত্রা। এ মাদক খুবই ভয়ঙ্কর। সেবনকারীদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এলএসডি। রিমান্ডে যাওয়া ৩ ছাত্রের একজন সাদমান সাকিব রুপল গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছিল, তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগাযোগ করে টিম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি আনিয়েছেন। সেজন্য প্রতি ব্লটে খরচ হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওই মাদক দেশে এসেছে। সেগুলো বিক্রির জন্য তাদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে, যেখান থেকে অন্য মাদকও বিক্রি করা হতো।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

এলএসডি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত গ্রুপ

অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ৫ জনের তথ্য

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঢাকায় নতুন মাদক লাইসার্জিস এসিড ডাইথ্যালমাইড বা (এলএসডি) নিয়ন্ত্রণ করছে অর্ধশত গ্রুপ। যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিদেশ থেকে কুরিয়ার পার্সেল অথবা অন্য মালামালের সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে এলএসডি। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অভিযানে খিলগাঁও এবং ভাটারা এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রকে গ্রেপ্তারে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার অভিযানে নেমে পুলিশ প্রথমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম সাইফ, এস এম মনওয়ার আকিব আনান, মো. রাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম এবং বিএম সিরাজুস সালেকীন তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। খিলগাঁও জোটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নরুল আমিনের তত্ত্বাবধায়নে এ অভিযান চালানো হয়। প্রথমে সাইফ, আনান এবং সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয় খিলগাঁও কমিউনিটি এলাকা থেকে। তাদের দেয়া তথ্যে ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজমুল ইসলাম এবং তপুকে। পরে তাদের কাছ থেকে ২ হাজার মাইক্রোগাম এলএসডি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর রহস্যোদ্ঘাটন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই ছাত্র এলএসডি সেবন করতেন আর এলএসডি সেবনের প্রভাবে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ছাত্রের ৩ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এলএসডি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই ৩ ছাত্রের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ৭ থানা এলাকায় এলএসডি সেবনকারী এবং বিক্রেতা আছে কিনা তা নিয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে এ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, তার গত ১ বছর ধরেই এলএসডি সেবনের পাশাপাশি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই তাদের কাস্টমার। প্রচুর দাম হওয়ার কারণে এ মাদক সবাই সেবন করতে পারে না। তারা বিদেশ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস, অন্য মালামালের মধ্যে এলএসডি আনত। অনলাইনে তারা এসব মাদক সরবরাহকারী বিদেশি ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। অনলাইনে অর্ডার দেয়ার পরই এগুলো আসত। গ্রেপ্তারকৃতরা ১৩টি গ্রুপের মাধ্যমে এলএসডি সরবরাহ করত সেবনকারীদের। এদের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রুপ ছাড়াও আরও ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এলএসডি সরবরাহ করে।

ডিসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, পুরো রাজধানীতে যারা এলএসডি নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গ্রুপের নাম, পরিচয় মিলেছে। এ মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় দেয়া যাচ্ছে না। আমরা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অভিযানে নেমেছি। আশা করি গ্রুপ শীঘ্রই এলএসডি সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িত গ্রুপগুলোকে আমরা ধরতে পারব।

ডিসি মতিঝিল জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে এলএসডি সেবন করত। সেবন করতে গিয়ে তারা চরমভাবে আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর নিজেদের প্রয়োজনে এরা সরাসরি অনলাইনে যোগাযোগ করে বিদেশ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন লাগেজের মধ্যে করে কৌশলে এসব মাদক নিয়ে আসত। এরপর ধীরে ধীরে এরা এলএসডির পাইকারি সরবাহকারী হয়ে পড়ে।

এলএসডিসহ গ্রেপ্তার ৩ ছাত্রের রিমান্ড মঞ্জুর

এদিকে নতুন মাদক এলএসডিসহ গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। গতকাল তাদের ধানমন্ডি থানার মাদক আইনের মামলায় আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ ৩ ছাত্রের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এই তিন শিক্ষার্থী হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র সাদমান সাকিব রুপল ও আসহাব ওয়াদুদ তূর্য এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির আদিব আশরাফ।

আদালত সূত্র জানায়, তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এস আই সালাউদ্দিন কাদের তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা এলএসডির যোগসূত্র পাওয়ার সূত্র ধরে গত বুধবার ঢাকার লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি থেকে হাফিজুরের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, এই প্রথম তারা এ ধরনের মাদকসহ কাউকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ধরনের মাদকদ্রব্য সেবনে নতুন মাত্রা। এ মাদক খুবই ভয়ঙ্কর। সেবনকারীদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এলএসডি। রিমান্ডে যাওয়া ৩ ছাত্রের একজন সাদমান সাকিব রুপল গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছিল, তিনি টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগাযোগ করে টিম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি আনিয়েছেন। সেজন্য প্রতি ব্লটে খরচ হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওই মাদক দেশে এসেছে। সেগুলো বিক্রির জন্য তাদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে, যেখান থেকে অন্য মাদকও বিক্রি করা হতো।