আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যত গড়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কর্মমুখী পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পি৪জি শীর্ষ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান। সম্মেলনে তিনি সবুজ ভবিষ্যতের জন্য তিন দফা পরামর্শ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যতের জন্য আমাদের পি৪জি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত।’

গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের সিউল-টি’ইউকপিওলসিতে দুই দিনব্যাপী ‘গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড গ্লোবাল গোলস পি৪জি সামিটের দ্বিতীয় পর্বের লিডার্স সেশনে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বে ধারণকৃত এই ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা সবুজতর ভবিষ্যতের জন্য তার প্রথম পরামর্শে বলেন, পি৪জি’র পাঁচটি মূল ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের জড়িত এবং সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় করতে কর্মমুখী আবেদনের ভিত্তিতে আরও প্রচারণা চালানো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় পরামর্শে সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনে পাশাপাশি পুরো-সমাজ-পদ্ধতির আবেদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ-এর চেয়ারম্যান এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর এডাপটেশনের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের আয়োজক হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মূল দৃষ্টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থকে সমুন্নত রাখা এবং স্থানীয় প্রশমন পদ্ধতিকে উৎসাহিত করা।

সদস্য রাষ্ট্রের ৬০ নেতা এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে ২০২১ পি৪জি সিউল শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে : কার্বন নিরপেক্ষতার দিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ পুনরুদ্ধার।

সম্মেলনের লক্ষ্য এই দশককে আরও উন্নত ও সবুজতর গড়ার লক্ষ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা হিসেবে পি৪জি অবস্থান (সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্ব লক্ষ্য ২০৩০ এর অংশীদারিত্ব) এবং ইউএনএফসিসিসি সিওপি ২৬-র জন্য এবং দশকের কার্যক্রমে গতির সঞ্চার করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সবুজ পুনরুদ্ধার এবং সবুজ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আরও ভালো করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

পি৪জি এর কাজের ক্ষেত্রে পানি বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সুতরাং, আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে একটি ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যা পানির দক্ষ ব্যবহার ও সংরক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে।’

তিনি সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের সম্পদ দিয়ে জয়বায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।

প্রতি বছর আমরা জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করি, উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পি৪জি-এর সদস্য হিসেবে কম কার্বন নিঃসরণের পথ অনুসরণ করে এবং তিনি পূর্বাভাস দেন যে, ‘আমাদের জাতীয় সোলার এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-২০৪১-এর আওতায় ৪০ গিগা ওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সার্বিক ঘূর্ণায়মান অর্থনীতির অংশ হিসেবে যথাযথ ঘূর্ণায়মান ফ্যাশন এবং বস্ত্রের সন্ধান করছে।

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাসস

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যত গড়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কর্মমুখী পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পি৪জি শীর্ষ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান। সম্মেলনে তিনি সবুজ ভবিষ্যতের জন্য তিন দফা পরামর্শ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যতের জন্য আমাদের পি৪জি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত।’

গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের সিউল-টি’ইউকপিওলসিতে দুই দিনব্যাপী ‘গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড গ্লোবাল গোলস পি৪জি সামিটের দ্বিতীয় পর্বের লিডার্স সেশনে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বে ধারণকৃত এই ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা সবুজতর ভবিষ্যতের জন্য তার প্রথম পরামর্শে বলেন, পি৪জি’র পাঁচটি মূল ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক এবং সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের জড়িত এবং সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় করতে কর্মমুখী আবেদনের ভিত্তিতে আরও প্রচারণা চালানো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় পরামর্শে সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনে পাশাপাশি পুরো-সমাজ-পদ্ধতির আবেদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ-এর চেয়ারম্যান এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর এডাপটেশনের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের আয়োজক হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মূল দৃষ্টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থকে সমুন্নত রাখা এবং স্থানীয় প্রশমন পদ্ধতিকে উৎসাহিত করা।

সদস্য রাষ্ট্রের ৬০ নেতা এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে ২০২১ পি৪জি সিউল শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে : কার্বন নিরপেক্ষতার দিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ পুনরুদ্ধার।

সম্মেলনের লক্ষ্য এই দশককে আরও উন্নত ও সবুজতর গড়ার লক্ষ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা হিসেবে পি৪জি অবস্থান (সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্ব লক্ষ্য ২০৩০ এর অংশীদারিত্ব) এবং ইউএনএফসিসিসি সিওপি ২৬-র জন্য এবং দশকের কার্যক্রমে গতির সঞ্চার করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সবুজ পুনরুদ্ধার এবং সবুজ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আরও ভালো করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

পি৪জি এর কাজের ক্ষেত্রে পানি বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সুতরাং, আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে একটি ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যা পানির দক্ষ ব্যবহার ও সংরক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে।’

তিনি সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের সম্পদ দিয়ে জয়বায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।

প্রতি বছর আমরা জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করি, উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পি৪জি-এর সদস্য হিসেবে কম কার্বন নিঃসরণের পথ অনুসরণ করে এবং তিনি পূর্বাভাস দেন যে, ‘আমাদের জাতীয় সোলার এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-২০৪১-এর আওতায় ৪০ গিগা ওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সার্বিক ঘূর্ণায়মান অর্থনীতির অংশ হিসেবে যথাযথ ঘূর্ণায়মান ফ্যাশন এবং বস্ত্রের সন্ধান করছে।