রাজশাহীর উন্নয়নে ৪৫ দাবি বিশিষ্টজনদের

রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য আগামী বাজেটে ৪৫ দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে শুধু রাজশাহী নয়, উন্নয়ন হবে পুরো রাজশাহী অঞ্চলের। আগামী বাজেটে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য সে এলাকার মানুষ কী চায়Ñ এমন বিষয় নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে রাজশাহীর ব্যবসায়ী নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, আমরা রাজশাহী চেম্বারের পক্ষ থেকে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য বাজেটের জন্য ৪৫টি দাবি জানিয়েছিল। এ দাবির আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়সহ রাজশাহী অঞ্চলের এমপি-মন্ত্রীদের দেয়া হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এগিয়ে নিতে বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো। রাজশাহী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করা। এখান থেকে পণ্যবাহী কার্গোবিমান চালু করা। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ বন্দর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা তৈরি। দ্রুতগতিতে রাজশাহীর বিসিক-২ প্রকল্প চালু করা। রাজশাহীতে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা। চামড়াশিল্পের কারখানা নির্মাণ করা। ভারতের ভলিয়াম থেকে বাংলাদেশের আরিচা ঘাট পর্যন্ত নৌপথ ড্রেজিং করা। রাজশাহী টেক্সটাইল মিল ও জুটমিলকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে হাব তৈরি করা। পাশাপাশি বিনা জামানতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। মাছ, ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি রাজশাহীর জন্য আলাদা বিভাগীয় বাজেট নির্ধারণ করা।

রাজশাহী চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবু বাক্কার বলেন, ‘এই অঞ্চলের কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এখানকার মাছ, ডিম, টমেটো, আমসহ কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই গোটা উত্তরাঞ্চলেই উন্নয়নের জোয়ার নেমে আসবে।

রাজশাহীর ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল বরাবরই বাজেটে অবহেলিত থাকে। এ কারণে আমরা রাজশাহীর জন্য আলাদা বাজেট চেয়েছি। এর বাইরে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাজেটে সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো শিল্পের প্রসারে ব্যাপক হারে ভূমিকা নেয়া। টেকসই উন্নয়ন শিল্পের প্রসার ছাড়া সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে ৫-৭৫ লাখ টাকা দীর্ঘ মেয়াদে ঋণদানের দাবি জানিয়েছি আমরা। এছাড়া ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফের দাবি জানিয়েছি।’

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

রাজশাহীর উন্নয়নে ৪৫ দাবি বিশিষ্টজনদের

সুব্রত দাস, রাজশাহী

image

রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য আগামী বাজেটে ৪৫ দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে শুধু রাজশাহী নয়, উন্নয়ন হবে পুরো রাজশাহী অঞ্চলের। আগামী বাজেটে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য সে এলাকার মানুষ কী চায়Ñ এমন বিষয় নিয়ে সংবাদ কথা বলেছে রাজশাহীর ব্যবসায়ী নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, আমরা রাজশাহী চেম্বারের পক্ষ থেকে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য বাজেটের জন্য ৪৫টি দাবি জানিয়েছিল। এ দাবির আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়সহ রাজশাহী অঞ্চলের এমপি-মন্ত্রীদের দেয়া হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এগিয়ে নিতে বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো। রাজশাহী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করা। এখান থেকে পণ্যবাহী কার্গোবিমান চালু করা। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ বন্দর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা তৈরি। দ্রুতগতিতে রাজশাহীর বিসিক-২ প্রকল্প চালু করা। রাজশাহীতে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা। চামড়াশিল্পের কারখানা নির্মাণ করা। ভারতের ভলিয়াম থেকে বাংলাদেশের আরিচা ঘাট পর্যন্ত নৌপথ ড্রেজিং করা। রাজশাহী টেক্সটাইল মিল ও জুটমিলকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে হাব তৈরি করা। পাশাপাশি বিনা জামানতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। মাছ, ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি রাজশাহীর জন্য আলাদা বিভাগীয় বাজেট নির্ধারণ করা।

রাজশাহী চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবু বাক্কার বলেন, ‘এই অঞ্চলের কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এখানকার মাছ, ডিম, টমেটো, আমসহ কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই গোটা উত্তরাঞ্চলেই উন্নয়নের জোয়ার নেমে আসবে।

রাজশাহীর ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চল বরাবরই বাজেটে অবহেলিত থাকে। এ কারণে আমরা রাজশাহীর জন্য আলাদা বাজেট চেয়েছি। এর বাইরে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাজেটে সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো শিল্পের প্রসারে ব্যাপক হারে ভূমিকা নেয়া। টেকসই উন্নয়ন শিল্পের প্রসার ছাড়া সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে ৫-৭৫ লাখ টাকা দীর্ঘ মেয়াদে ঋণদানের দাবি জানিয়েছি আমরা। এছাড়া ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফের দাবি জানিয়েছি।’