পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা চাই, কোন শিক্ষার্থী যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সেটি মনে হয় পিছিয়ে যেতে পারে, এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মনে হয় সেভাবেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটি তাদের বিষয়। অবশ্য উনি বলেছেন যে, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আমরা আরও বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তাদের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাদের সেরকম ফ্রিডম দেয়া হচ্ছে। অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা চলমান আছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে, সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। এত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে যে করোনা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখতে পেরেছি, এটি সম্ভব হয়েছে কয়েকটি নির্দেশনা বা বিধিনিষেধের কারণে।’ অফিসগুলো কী আসলেই বন্ধ আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেগুলো জরুরি সেগুলোই খোলা আছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।’

সোমবার, ৩১ মে ২০২১ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪২

পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা চাই, কোন শিক্ষার্থী যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সেটি মনে হয় পিছিয়ে যেতে পারে, এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মনে হয় সেভাবেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটি তাদের বিষয়। অবশ্য উনি বলেছেন যে, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আমরা আরও বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তাদের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাদের সেরকম ফ্রিডম দেয়া হচ্ছে। অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা চলমান আছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে, সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। এত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে যে করোনা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখতে পেরেছি, এটি সম্ভব হয়েছে কয়েকটি নির্দেশনা বা বিধিনিষেধের কারণে।’ অফিসগুলো কী আসলেই বন্ধ আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেগুলো জরুরি সেগুলোই খোলা আছে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।’