দেশে করোনা টিকার মজুদ আর মাত্র ২ লাখ

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে মোট ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৫ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৪০ হাজার। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রথম ডোজ টিকা নেয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৫ জন, আর নারী ১৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ হাজার ২১৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে নিয়েছেন ৫ হাজার ২১৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দিয়ে। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ। সে হিসাবে দেশে এখন টিকার মজুদ আছে আর মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫ ডোজ।

এদিকে টিকার সংকটের কারণে প্রথম ডোজ নেয়া সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ২৩ মে জানিয়েছিলেন, ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা পেতে দেরি হবে। টিকার মজুদ এই সপ্তাহের পর শেষ হওয়ার কারণেই দেরি হবে বলে জানান তিনি। তবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

দেশে করোনা টিকার মজুদ আর মাত্র ২ লাখ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে মোট ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৫ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৪০ হাজার। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রথম ডোজ টিকা নেয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৫ জন, আর নারী ১৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ হাজার ২১৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে নিয়েছেন ৫ হাজার ২১৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দিয়ে। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ। সে হিসাবে দেশে এখন টিকার মজুদ আছে আর মাত্র ২ লাখ ৬ হাজার ৫৫ ডোজ।

এদিকে টিকার সংকটের কারণে প্রথম ডোজ নেয়া সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ২৩ মে জানিয়েছিলেন, ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা পেতে দেরি হবে। টিকার মজুদ এই সপ্তাহের পর শেষ হওয়ার কারণেই দেরি হবে বলে জানান তিনি। তবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী অধিদপ্তর।