তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের বাস্তবসম্মত প্রয়োগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক। গতকাল সংগঠন দুটির যৌথ আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি, তামাকদ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা, তামাকজাত দ্রব্য নিরুৎসাহিত করতে নগরে এবং গ্রামের পাশাপাশি স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যকর জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, ১৮ বছরের কম বয়সীরা তামাক নিলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা, পাবলিক প্লেসে ধুমপানসহ মাদক নেয়া রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সরকারি উদ্যোগে সব মিডিয়াতে তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা করা।
সভায় বক্তারা বলেন, মাদক কতটা ক্ষতিকর বর্তমান এই অতিমারীতে আমরা আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। যারা মাদক নেন, করোনায় তারা বেশি সংখ্যায় মারা যাচ্ছেন বলে বর্তমান অনেক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। তাই মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের কোন বিকল্প নেই আমাদের সামনে। প্রতি বছর দিবস আসে-দিবস যায়, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন হয়ে থাকে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এর কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন জনসচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব। তামাক জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।
তারা আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কর কাঠামোর মাধ্যমে তামাকের কর বাড়াতে হবে। তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। যুব সমাজকে তামাক থেকে মুক্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া যুক্ত ছিলেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, অঞ্চল সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম, দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রোমান হক, মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের বাস্তবসম্মত প্রয়োগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক। গতকাল সংগঠন দুটির যৌথ আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি, তামাকদ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা, তামাকজাত দ্রব্য নিরুৎসাহিত করতে নগরে এবং গ্রামের পাশাপাশি স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যকর জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, ১৮ বছরের কম বয়সীরা তামাক নিলে শান্তিমূলক ব্যবস্থা, পাবলিক প্লেসে ধুমপানসহ মাদক নেয়া রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সরকারি উদ্যোগে সব মিডিয়াতে তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা করা।
সভায় বক্তারা বলেন, মাদক কতটা ক্ষতিকর বর্তমান এই অতিমারীতে আমরা আবার নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। যারা মাদক নেন, করোনায় তারা বেশি সংখ্যায় মারা যাচ্ছেন বলে বর্তমান অনেক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে। তাই মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের কোন বিকল্প নেই আমাদের সামনে। প্রতি বছর দিবস আসে-দিবস যায়, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন হয়ে থাকে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিবছর তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এর কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন জনসচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব। তামাক জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।
তারা আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কর কাঠামোর মাধ্যমে তামাকের কর বাড়াতে হবে। তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। যুব সমাজকে তামাক থেকে মুক্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া যুক্ত ছিলেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, অঞ্চল সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম, দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রোমান হক, মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন প্রমুখ।