সাংবাদিক রোজিনার মামলা প্রত্যাহারের দাবি বাম নেতাদের

অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে করা মামলা প্রত্যাহার এবং সংবিধান পরিপন্থী অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। একই সঙ্গে যারা হেনস্তা করেছেন, সেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি করা হয়।

বক্তারা বলেন, দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যখন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অফিস করেন না, ১৮০০ পদে নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ১০ মাস বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে, ৯ সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি’ ইত্যাদি তুলে ধরেছিলেন তখন দুর্নীতিবাজ আমলারা তাকে সংবাদ দেয়ার চক্রান্তমূলক কথা বলে গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএসের (ব্যক্তিগত সহকারী) রুমে ডেকে নিয়ে ছয় ঘণ্টা ধরে হেনস্তা করে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতা, বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতায় সরকারি হস্তক্ষেপের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ এবং সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

সাংবাদিক রোজিনার মামলা প্রত্যাহারের দাবি বাম নেতাদের

অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে করা মামলা প্রত্যাহার এবং সংবিধান পরিপন্থী অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। একই সঙ্গে যারা হেনস্তা করেছেন, সেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি করা হয়।

বক্তারা বলেন, দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যখন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অফিস করেন না, ১৮০০ পদে নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ১০ মাস বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে, ৯ সরকারি হাসপাতালে কেনাকাটায় ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি’ ইত্যাদি তুলে ধরেছিলেন তখন দুর্নীতিবাজ আমলারা তাকে সংবাদ দেয়ার চক্রান্তমূলক কথা বলে গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএসের (ব্যক্তিগত সহকারী) রুমে ডেকে নিয়ে ছয় ঘণ্টা ধরে হেনস্তা করে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতা, বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতায় সরকারি হস্তক্ষেপের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ এবং সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।