সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্প : সতর্ক থাকতে হবে

অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে দফায় দফায় মৃদু কম্পন অনুভূত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমন কথা। শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সিলেটে ছয় দফায় অনুভূত হওয়া মৃদু ভূমিকম্পকে প্রি-শক বলা যায় কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। তবে তারা এ বিষয়ে একমত যে, ভূতাত্ত্বিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অঞ্চলে ভবিষ্যতে যে কোন সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এ বিষয়ে তারা শুনিয়েছেন সতর্কবাণী। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেতন হওয়ার ওপর তারা জোর দিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ‘বিপজ্জনক ভূকম্পনের’ প্রধান উৎস দুটি। একটি হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ‘ফল্ট’, আরেকটি হচ্ছে টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন জোন। ডাউকি ফল্টের অবস্থান সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে। মৃদু মাত্রায় অনুভূত হলেও দফায় দফায় ভূমিকম্প হওয়ায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই উদ্বেগ গেল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনি প্রস্তুত হতে হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলোতে নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিপদের সময় আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ভূমিকম্প হলে যেন দ্রুত উদ্ধার ও সেবা কাজ শুরু করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে।

ভূমিকম্প প্রতিরোধে ‘বিল্ডিং কোড মেনে’ ভবন তৈরি করা জরুরি। নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করা গেলে অন্তত ছোট বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে। সেটা করা না গেলে ছোট বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৯ শাওয়াল ১৪৪২

সিলেটে দফায় দফায় ভূমিকম্প : সতর্ক থাকতে হবে

অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে দফায় দফায় মৃদু কম্পন অনুভূত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমন কথা। শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত সিলেটে ছয় দফায় অনুভূত হওয়া মৃদু ভূমিকম্পকে প্রি-শক বলা যায় কিনা সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। তবে তারা এ বিষয়ে একমত যে, ভূতাত্ত্বিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অঞ্চলে ভবিষ্যতে যে কোন সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এ বিষয়ে তারা শুনিয়েছেন সতর্কবাণী। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেতন হওয়ার ওপর তারা জোর দিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ‘বিপজ্জনক ভূকম্পনের’ প্রধান উৎস দুটি। একটি হচ্ছে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ‘ফল্ট’, আরেকটি হচ্ছে টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন জোন। ডাউকি ফল্টের অবস্থান সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে। মৃদু মাত্রায় অনুভূত হলেও দফায় দফায় ভূমিকম্প হওয়ায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই উদ্বেগ গেল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনি প্রস্তুত হতে হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলোতে নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিপদের সময় আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ভূমিকম্প হলে যেন দ্রুত উদ্ধার ও সেবা কাজ শুরু করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে।

ভূমিকম্প প্রতিরোধে ‘বিল্ডিং কোড মেনে’ ভবন তৈরি করা জরুরি। নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করা গেলে অন্তত ছোট বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে। সেটা করা না গেলে ছোট বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।