খুলনার বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুদকের করা মামলায় আটক রয়েছেন ওই আদালতের প্রসেস সার্ভার-জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং নাজমুল হাসান।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান গত সোমবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি দুই লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করেন তারা।
ওই ছাড়কৃত অর্থ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামে খুলনার খানজাহান আলী রোডের জনতা ব্যাংক লিমিটেডে জমা হয়।
পরবর্তীতে নাহিদুল ও নাজমুল ওই আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের বরাবর জমা দেন। ওই পত্রে নাহিদুল ও নাজমুল দুজনের একই ব্যাংকের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরে ওই টাকা জমা দেয়ার অনুরোধ করেন।
এরপর জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিঠি কোনোরূপ যাচাই না করে এবং হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে ভুয়াপত্রের ফটোকপির ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। পরবর্তীতে নাহিদুল ও নাজমুল ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে তা আত্মসাৎ করেন।
দুদক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান আরও জানান, বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনা তদন্ত করে দুদক।
বুধবার, ০২ জুন ২০২১ , ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২০ শাওয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা
খুলনার বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুদকের করা মামলায় আটক রয়েছেন ওই আদালতের প্রসেস সার্ভার-জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং নাজমুল হাসান।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান গত সোমবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি দুই লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করেন তারা।
ওই ছাড়কৃত অর্থ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামে খুলনার খানজাহান আলী রোডের জনতা ব্যাংক লিমিটেডে জমা হয়।
পরবর্তীতে নাহিদুল ও নাজমুল ওই আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের বরাবর জমা দেন। ওই পত্রে নাহিদুল ও নাজমুল দুজনের একই ব্যাংকের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরে ওই টাকা জমা দেয়ার অনুরোধ করেন।
এরপর জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিঠি কোনোরূপ যাচাই না করে এবং হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে ভুয়াপত্রের ফটোকপির ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। পরবর্তীতে নাহিদুল ও নাজমুল ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে তা আত্মসাৎ করেন।
দুদক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান আরও জানান, বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনা তদন্ত করে দুদক।